‘আজিমের সমাজ বদলের স্বপ্নের পথ ধরে এগিয়ে যাবে যুব ইউনিয়ন’

Facebook Twitter Google Digg Reddit LinkedIn StumbleUpon Email
একতা প্রতিবেদক : বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আজিমের স্মরণে শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ১০ মে বিকেল ৫টায় রাজধানীর পুরানা পল্টনস্থ মুক্তিভবনের মৈত্রী মিলনায়তনে এ শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের সভাপতি খান আসাদুজ্জামান মাসুমের সভাপতিত্বে এবং সাংগঠনিক সম্পাদক ম. ইব্রাহিমের সঞ্চালনায় শোকসভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি ডা. সাজেদুল হক রুবেল, কাফরুল থানার সভাপতি আলী কাওসার মামুন, পরিবারের পক্ষে আসাদুজ্জামান আজিমের মাতা, বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন নান্নু, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি ইরান মোল্লা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি শাহীন ভূইয়া, সংগঠনের সাবেক সভাপতি আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন, হাসান হাফিজুর রহমান সোহেল, হাফিজ আদনান রিয়াদ, সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রকৌশলী রাশেদুল হাসান রিপন, শিশির চক্রবর্তী, বাংলাদেশ গার্মেন্ট ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রর সাধারণ সম্পাদক কাজী রুহুল আমিন, গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রর সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান শামীম, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক রেজওয়ানুল হক মুক্ত প্রমুখ। শোকসভায় বক্তারা বলেন, যেকোনো আন্দোলন-সংগ্রামে আজিম দায়িত্ব পালন করেছেন নিষ্ঠার সাথে। ছাত্র রাজনীতি থেকে যুব রাজনীতি, পার্টি রাজনীতিতে সাধারণ মানুষকে সংগঠিত করে আন্দোলন গড়ে তোলার নিরন্তন প্রচেষ্টা তাকে অনন্য করেছে। তিনি বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করা ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের প্রচার সম্পাদক, সিপিবি মিরপুর পূর্ব শাখার সহ-সম্পাদক, সিপিবি ১৪নং ওয়ার্ড শাখার সহ-সম্পাদক এবং সম্পাদক, অবিভক্ত মিরপুর থানার সদস্য, মিরপুর জোন কমিটির সদস্য, মিরপুর থানা কমিটির সদস্য, বাম গণতান্ত্রিক জোট, মিরপুরের সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। শোকসভায় বক্তারা আরও বলেন, যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে আজিম ছিলেন অগ্রসৈনিক। ২০০৪ সালের এবং ২০০৮ সালের বন্যায় মিরপুরের রুটি ও স্যালাইন প্রকল্প চালু করার ও এর পেছনে তার ভূমিকা অপরিসীম। বন্যা, জলোছ¡াস, শীতসহ নানা ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগে আজিমকে পাওয়া যেত মানবতার স্বেছাসেবক হিসেবে। করোনা ভাইরাসের প্রকোপে যখন থমকে ছিল পৃথিবীর জনজীবন, বাইরের জগত থেকে নিজেকে গুঁটিয়ে নিয়ে গৃহবন্দি জীবনে যখন নিরাপত্তা খুঁজে নিয়েছিলাম আমরা সবাই, তখন নিজের জীবনের পরোয়া না করে বাংলাদেশের যুব ইউনিয়নের গঠিত কোভিড-১৯ ভলেন্টিয়ার বাহিনীর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আরও বলেন, যে জীবনের ভোগের নয় ত্যাগের, যে জীবন শুধু নিজের জন্য নয়, সমগ্র জনগণের জন্য নিবেদিত। বিলাসি-আয়েসি মধ্যবিত্ত জীবনের প্রলোভন, আত্মপ্রচেষ্টার হাতছানি, পারিবারিক পিছুটান কোনো কিছুই তাকে আদর্শকে-লক্ষ্য এবং বিপ্লবী জীবন থেকে বিচ্যুত করতে পারেনি। একজন কমিউনিস্ট হিসেবে অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন তিনি। জীবন-মৃত্যুর লড়াইয়ে পরাজিত হননি আজিম। জীবন প্রদীপ নিভে গেছে কিন্তু তার মৃত্যু হয়নি। মহৎ আদর্শ এবং মহৎ জীবনের কোনো মৃত্যু নেই। আজিম চিরঞ্জীব। সমাজপ্রগতির লড়াইয়ে তার বিপ্লবী জীবনের আহ্বান উদ্দীপ্ত বিপ্লবী কর্মীদের, ছড়িয়ে এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মের কাছে। এর আগে যুবনেতা আসাদুজ্জামান আজিমের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান যুব ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটি, সংগঠনের সাবেক নেতৃবৃন্দ এবং বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি।

Print প্রিন্ট উপোযোগী ভার্সন



Login to comment..
New user? Register..