ঘেরাও ও স্মারকলিপি প্রদান
উচ্ছেদ বন্ধ করে অবিলম্বে হকারদের বসার ব্যবস্থার দাবি
একতা প্রতিবেদক :
নগরীর বংশাল, কোতোয়ালী, সূত্রাপুর, সদরঘাট, কামরাঙ্গীচর ও চকবাজার এলাকায় নির্বিচারে হকার উচ্ছেদ ও মালামাল ধ্বংসের প্রতিবাদে এবং জীবিকা সুরক্ষা আইন প্রণয়ন ও পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদ না করার দাবিতে বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে লাগাতার বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হচ্ছে। একই দাবিতে গত ৮ মে দুপুর ১১টায় লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনের কার্যালয় ঘেরাও ও স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি পালন করে হকাররা।
বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল হাশিম কবীরের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক জসিম উদ্দিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন হকার্স ইউনিয়নের উপদেষ্টা শ্রমিকনেতা জলি তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী, সহ-সভাপতি আফসার হোসেন, সহকারী সাধারণ সম্পাদক আনিস পাটোয়ারি, কেন্দ্রীয় নেতা মো. ফিরোজ, রাকিব উল্লাহ, শাহীনা বেগম, কাইয়ুম, হোসেন মোল্লা, মো. নাদিম প্রমুখ।
সমাবেশে হকার্স ইউনিয়নের উপদেষ্টা শ্রমিকনেতা জলি তালুকদার বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন পুনর্বাসন ছাড়া হকার উচ্ছেদ চলবে না, তা সত্ত্বেও এখন নির্বিচারে হকার উচ্ছেদ চলছে। এই সরকার গরিব মানুষের ওপর তীব্র জুলুম-নির্যাতন চালাচ্ছে। হকারসহ সকল শ্রমজীবী মানুষের রুটি-রুজির অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। হকার উচ্ছেদের ফলে লক্ষ লক্ষ মানুষ না খেয়ে থাকার উপক্রম হয়েছে। তিনি অবিলম্বে হকার উচ্ছেদ বন্ধ করে হকারদের বসার ব্যবস্থা করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
সমাবেশে হকার্স ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল হাশিম কবীর বলেন, সরকার গরিব মারার নীতি নিয়েছে, তা দিয়ে দেশ পরিচালনা করতে পারবে না। হকারসহ এ দেশের শ্রমজীবী মানুষ দেশের অর্থনীতিকে টিকিয়ে রেখেছে। অথচ সরকার সেই শ্রমজীবী মানুষদেরকে কর্মহীন করে নিঃস্ব করে দিচ্ছে। হকাররা নিজেদের উদ্যোগে ক্ষুদ্র ব্যবসা চালিয়ে পরিবার-পরিজন চালাচ্ছে এমনকি দেশের অর্থনীতিতে বিশেষ ভূমিকা রাখছে। অবিলম্বে হকারদেরকে বসার ব্যবস্থা করে চলমান সংকট নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
সমাবেশে হকার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী বলেন, জীবিকা সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করার দাবি আমরা দীর্ঘদিন ধরে জানিয়ে আসছি। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশের হকারদের নিয়ে একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা করে হকারদের সমস্যা সমাধানে সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি এবং একইসাথে সরকারকে বলতে চাই পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করে একজন হকারকেও উচ্ছেদ করা যাবে না। তিনি অবিলম্বে নগরীর বিভিন্ন স্থানে উচ্ছেদকৃত হকারদের সমস্যা সমাধান করার উদ্যোগ গ্রহণ করার আহ্বান জানান।
সমাবেশে হকার নেতৃবৃন্দ বলেন, হকার উচ্ছেদের ফলে লক্ষ লক্ষ মানুষ না খেয়ে থাকার উপক্রম হয়েছে। সরকার এই ক্ষুদ্র পুঁজির হকারদের রক্ষা করার বদলে তাদের ওপর ক্রমাগত জুলুম-নির্যাতন বাড়িয়ে চলছে। হকারি করে জীবিকা নির্বাহ করা একটি পেশা। যা সারা পৃথিবীতে প্রচলিত। পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতে হকারদের জন্য সুনির্দিষ্ট নীতিমালা ও ব্যবস্থা রয়েছে। অবিলম্বে পুনর্বাসন ও সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করে হকারদের সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে হবে।
ঘেরাও কর্মসূচি শেষে লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে।
শেষের পাতা
‘মূল্যবৃদ্ধির আঘাত জনজীবনকে অসহনীয় করে তুলবে’
জাতীয় সম্মেলনকে সামনে রেখে বিভিন্ন উপজেলায় ক্ষেতমজুর সমিতির তৎপরতা
ড. গোলাম মহিউদ্দিন সাংস্কৃতিক উৎসবে বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ
ওয়াসার পানি নিয়ে ভোগান্তিতে নগরবাসী
৭ দিনের সংবাদ...
গাইবান্ধায় সিপিবির ব্যতিক্রমী পহেলা বৈশাখ উদযাপন
গাজায় গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ বন্ধে জাতিসংঘকে উপযুক্ত উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান
গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহমুদের মুক্তি দাবি
কমরেড বিষ্ণু চ্যাটার্জীর মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
বীর মুক্তিযোদ্ধা কমরেড আলী আহম্মদ সমাহিত
অতিরিক্ত লোকসানের কারণে পরপর দুজন পেঁয়াজ চাষীর আত্মহত্যা
Login to comment..