একতা প্রতিবেদক :
ভোটারবিহীন আমি ও ডামীর নির্বাচনের ভেতর দিয়ে এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জাতীয় সংসদকে কোটিপতিদের ক্লাবে পরিণত করেছে। এই সংসদে ২৯২ জন কোটি কোটি টাকার মালিক। সংসদ যখন কোটিপতিদের তখন তাদের স্বার্থ রক্ষার আইন প্রণয়ন হবে। আমরা দেখি এই কোটিপতিরা জনগণের টাকা লুটপাট করে কোটিপতি হয়েছে। এরাই জনগণের পকেট কেটে, বিভিন্ন প্রকল্প থেকে টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করে দেশটাকে পঙ্গু করছে। এরাই বেগমপারা, সেকেন্ড হোম তৈরি করছে, যাতে দেশ অচল হয়ে গেলে এরা সেখানে নিরাপদে থাকতে পারে। এবারের উপ নিবাচনে ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে জামানত লক্ষ টাকা করেছে যাতে সাধারণ মানুষের নির্বাচন করার অধিকার কেড়ে নিয়েছে। জাতীয় সংসদ থেকে স্কুল কমিটি নির্বাচন সকল সংস্থাকে কোটিপতিদের ক্লাবে পরিণত করছে। মহান মুক্তিযুদ্ধ তো এজন্য হয় নাই।
গত ১০ মে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), সূত্রাপুর থানার ১৯তম সম্মেলন উদ্বোধনী সমাবেশে কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ এসব কথা বলেন।
উদ্বোধনী সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন থানা কমিটির সভাপতি আবু তাহের বকুল। থানা কমিটির সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বী খানের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কমিটির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য হাসিনুর রহমান রুশো, ত্রিদিব সাহা, জাহিদ হোসেন খান, বিকাশ সাহা, সাইফুল ইসলাম সমীর, আনোয়ার হোসেন, হামিদুর রহমান ইকবাল, পরেশ মজুমদার, ধণেশ চন্দ্র শীল প্রমুখ।
কমরেড মিহির ঘোষ আরও বলেন, এই দুঃশাসন হঠাতে হবে, ব্যবস্থা বদলাতে হবে, বিকল্প গড়তেই হবে। নয়তো জনগণের মুক্তি আসবে না। জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি হবে না।
সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ বলেন, নগর জীবন নাগরিক সুবিধার পাশাপাশি মানুষকে তার অধিকার দিতে হবে।