বিশ্বকে ফ্যাসিবাদের কবল থেকে মুক্ত করার ক্ষেত্রে সোভিয়েত ইউনিয়ন, লাল ফৌজ ও কমরেড স্তালিনের ভূমিকা ছিল অতুলনীয়। গোটা পুঁজিবাদী বিশ্বের নেতারাও এই সত্যকে মেনে নিয়েছিলেন। কিন্তু সাম্প্রতিককালে সমাজতন্ত্রের সেই গৌরবের ভূমিকাকে বিস্মৃত করার অপচেষ্টা চলছে। এর প্রতিক্রিয়ায়, ইতিহাসের প্রকৃত সত্য তুলে ধরার প্রয়াসে, সিপিবির প্রয়াত সাবেক সাধারণ সম্পাদক কমরেড সৈয়দ আবু জাফর আহমেদের কয়েক বছর আগের এই লেখাটি বর্তমান প্রেক্ষাপটে প্রাসঙ্গিক বিধায় পুনরায় ছাপা হলো
১৯৪৫ সালে মানবসভ্যতার ইতিহাস প্রত্যক্ষ করেছিল ফ্যাসিস্ট জার্মানির সৈন্য বাহিনীর বিরুদ্ধে সোভিয়েত লাল ফৌজের চূড়ান্ত বিজয়। ১৯৪৫ সালের ৮ মে মধ্যরাতে বার্লিনের দক্ষিণ-পূর্ব অংশে কার্লসহস্টে অনুষ্ঠিত হয় ফ্যাসিস্ট জার্মানির শর্তহীন আত্মসমর্পণের দলিলে স্বাক্ষর অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানে সোভিয়েত ইউনিয়নের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সোভিয়েত ইউনিয়নের সেনাবাহিনীর সর্বাধিনায়ক ডেপুটি মার্শাল গিওর্গি জুকভ, ব্রিটেনের চিফ এয়ার মার্শাল এ. টেডার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যাট্রেজিক এয়ার ফোর্সের অধিনায়ক জেনারেল ক. স্পাটস এবং ফ্রান্সের সেনাবাহিনীর সর্বাধিনায়ক জ-ম দে লাৎত্র দে তাসিনি।
পরাভূত ফ্যাসিস্ট জার্মান বাহিনীর পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ফিল্ড মার্শাল ভ. কেইটেলকে, নৌবাহিনীর সর্বাধিনায়ক ফ্লিট এড্মিরাল গ. ফ্রিডেবুর্গ এবং বিমান বাহিনীর কর্নেল জেনারেল গ. শটুম্বকে। সোভিয়েত ইউনিয়ন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও ফ্রান্সের জাতীয় পতাকা সজ্জিত কক্ষে উপস্থিত ছিলেন বার্লিন ঝঞ্ঝা আক্রমণে অংশগ্রহণকারী সোভিয়েত জেনারেলগণ ও বিদেশি সাংবাদিকরা। দলিল স্বাক্ষর অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন ও পরিচালনা করেন সোভিয়েত জেনারেল মার্শাল গিওর্গি জুকোভ। এই অনাড়ম্বরপূর্ণ আত্মসমর্পণের দলিল স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হলো ৬ বছর ব্যাপী দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের উষ্ণতা। এই আত্মসমর্পণের দলিল স্বাক্ষরিত হয়েছিল ৮ মে মধ্যরাতে। তাই ৯ মে পালিত হয় ফ্যাসিবাদবিরোধী বিজয় দিবস।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়েছিল ১৯৩৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর। এই যুদ্ধে জড়িত হয়ে পড়েছিল ৬১টি দেশের ১৭০০ মিলিয়ন জনগণ। যা সে সময় পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার ৮০%। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মারা গেছে ৫০ মিলিয়ন মানুষ, যার মধ্যে ৪০% শতাংশ সোভিয়েত জনগণ। ১২ মিলিয়ন মানুষকে ফ্যাসিস্ট কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে বন্দি করে নির্যাতন করা হয়েছে। ৯৫ মিলিয়ন মানুষ পঙ্গুত্ববরণ করেছেন। কেন এই হত্যাযজ্ঞ, ধ্বংসযজ্ঞ?
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ বেঁধেছিল পুঁজিবাদের সাধারণ সংকটের ক্রমবর্ধমান তীব্রতার মুখে। যেখানে সমগ্র বিশ্বকে নিজেদের বশীভূত রাখার কূটকৌশল রচনা করেছিল সাম্রাজ্যবাদ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ছিল পৃথিবীকে পুনর্বণ্টনের জন্য, বিশ্ব বাজারের জন্য ও কাঁচামালের জন্য, সবচেয়ে বড় পুঁজিতান্ত্রিক দেশগুলোর মধ্য বিরোধিতা ও দ্বন্দ্ব-সংঘাত বৃদ্ধির জন্য। এই দ্বন্দ্ব-সংঘাতের একদিকে ছিল নাৎসি জার্মানি, ফ্যাসিস্ট ইটালি ও সমরবাদী জার্মান আর অন্যদিকে, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এই দুটি গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব থাকলেও তাদের মধ্যে একটা সাধারণ ঐক্যসূত্র ছিল। তা হচ্ছে সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রতি, তার সাফল্যসমূহের প্রতি এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তার প্রভাব প্রতিপত্তি বৃদ্ধির প্রতি শ্রেণিগত বিদ্বেষ।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়েছিল পুঁজিবাদী রাষ্ট্রসমূহের দুটি শিবিরের মধ্যে পৃথিবীকে ভাগ-বাটোয়ারা করে নেয়ার সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধ হিসেবে। ফ্যাসিস্ট জার্মানি কর্তৃক সোভিয়েত ইউনিয়নে আক্রমণের দরুণ যুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশগ্রহণ এবং হিটলারবিরোধী জোট গঠনের ফলে যুদ্ধের সাম্রাজ্যবাদী চরিত্র পাল্টে যায় এবং ন্যায়সঙ্গত ও ফ্যাসিবাদ বিরোধী যুদ্ধে মোড় নেয়।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্সের সাথে সোভিয়েত ইউনিয়নের জোট গঠিত হয়েছিল। তার গুরুত্ব অনস্বীকার্য। কিন্তু এই জোটের সকলের লক্ষ্যের মধ্যে সমতা ছিল না। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য প্রভৃতি পুঁজিবাদী রাষ্ট্রগুলোর লক্ষ্য ছিল হিটলার যদি সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েত ইউনিয়নকে দুর্বল করে ফেলতে পারে তা হলে এতে সমাজতন্ত্রের প্রভাব কমবে। তাই মিত্র-শক্তি যুদ্ধের শেষ পর্বে এসে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত দ্বিতীয় ফ্রন্ট খুলেছিল। দ্বিতীয় ফ্রন্ট খুলতে বিলম্ব হওয়ায় জার্মান ফ্যাসিস্ট বাহিনী ইস্টার্ন ফ্রন্টে, যেখানে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে যুদ্ধ হচ্ছিল, তার মোট ২৫৬ ডিভিশন সেনার মধ্যে ১৭৬ ডিভিশন সেনা মোতায়েনের সুযোগ পেয়েছিল। অর্থাৎ ফ্যাসিস্ট জার্মানি তার ৮০% সৈন্য ইস্টার্ন সীমান্তে মোতায়েনের সুযোগ পেয়েছিল। দ্বিতীয় ফ্রন্ট খোলার পেছনে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের আরও একটা মনোভাব কাজ করছিল যে, সোভিয়েত লালফৌজ মস্কো, স্ট্যালিনগ্রাদ, কুরক্স মুক্ত করে অপ্রতিরোধ্য গতিতে অগ্রসর হচ্ছে, তাতে সোভিয়েত ইউনিয়ন এককভাবে সম্পূর্ণ ইউরোপ মুক্ত করে ফেলবে এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রভাব গোটা ইউরোপে পড়বে। সে প্রভাব থেকে ইউরোপকে মুক্ত রাখার অভিপ্রায়ও দ্বিতীয় ফ্রন্ট খোলার নেপথ্যে কাজ করেছিল।
যুদ্ধের ব্যাপকতা, বিস্তৃতি যদিও সর্বত্র ছিল তবুও সোভিয়েত জার্মান রণাঙ্গনই ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রধান ও নির্ধারক রণাঙ্গন। এর মধ্যে স্তালিনগ্রাদ যুদ্ধ এবং বিজয় যুদ্ধের গতিতে আমূল পরিবর্তন এনে দিয়েছিল। ১৯৪২ সালের ১৯ নভেম্বর সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে কামানের গোলা নিক্ষেপ করে বিশাল যুদ্ধের সূচনা ঘোষণা করেছিল সোভিয়েত বাহিনী। সে মহাসমর চলে পুরো ২০০ দিন- দিবারাত্র। ফ্যাসিস্ট জোট ওই সময় সোভিয়েত-জার্মান রণাঙ্গনে যুদ্ধরত সমস্ত শক্তির এক চতুর্থাংশ হারায়। এই যুদ্ধে যে ঐতিহাসিক বিজয় অর্জিত হয়েছিল যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল ফ্যাসিস্ট বিরোধী জোটের অনুকূলে। তাছাড়া ষোল মাস জার্মান ফ্যাসিস্ট দ্বারা অবরুদ্ধ থাকা লেনিনগ্রাদবাসীকে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্ত করার জন্য ১৯৪৩ সালের ১২ জানুয়ারি অভিযান শুরু করে সোভিয়েত বাহিনী। ১৭ দিনের লড়াইয়ে অবরোধ ভেঙে পড়ে। এই অবরোধ ভাঙার ভেতর দিয়ে সামরিক ক্রিয়াকলাপের উদ্যোগ চলে আসে সোভিয়েত ইউনিয়নের হাতে। এভাবে একের পর এক লড়াই এবং অর্জন করে অগ্রসর হতে থাকে সোভিয়েত বাহিনী। এভাবে পোল্যান্ড, পূর্ব প্রুশিয়া, অস্ট্রিয়া, চেকস্লোভাকিয়ার মুক্তি এবং অবশেষে তীব্র প্রতিরোধ এমনকি হাতাহাতি লড়াইয়ের পর ৩০ এপ্রিল জার্মান পার্লামেন্ট রাইখস্টাগের উপর উড়ল বিজয়ের লাল নিশান। ঐদিন হিটলারও আত্মহত্যা করেন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের ভূমিকা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে জার্মান ইতিহাসবিদ কে. রিফার বলেছেন, “দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সুনির্দিষ্ট ফলাফল হচ্ছে রাশিয়াতে জার্মানির পরাজয়...... পূর্ব ইউরোপে তিন বছরের তীব্র লড়াইয়ের পর জার্মান সৈন্যরা এতই দুর্বল হয়ে পড়েছিল যে তারা নর্মান্ডিতে অবতরণকারী আমেরিকা ও ব্রিটিশ সৈন্যদের বিরুদ্ধে কোনো প্রতিরোধই সৃষ্টি করতে পারছিল না।”
১৯৪৫ সালের ৯ মে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। এই বিজয়ের জন্য মানবজাতিকে ভয়ংকর মূল্য দিতে হয়েছে। এই যুদ্ধে মোট ৫ কোটি মানুষ মৃত্যুবরণ করেছেন, ১ কোটি ২০ লক্ষ মানুষ পঙ্গু হয়েছেন। ঘর-বাড়ি, শস্য খামার, কারখানা, গ্রামগঞ্জ ধ্বংসের হিসাব অকল্পনীয়।
মানবসভ্যতা দুটি বিশ্বযুদ্ধ প্রত্যক্ষ করেছে। দুটি বিশ্বযুদ্ধই ছিল পৃথিবীর সম্পদ ও তার উৎস নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেয়ার জন্য পুঁজিবাদী-সাম্রাজ্যবাদী দেশসমূহের মধ্যে দ্বন্দ্ব-সংঘাতের ফল, পুঁজিবাদী অর্থনীতির সাধারণ সংকটের তীব্রতার পটভূমিতে সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্রসমূহের আগ্রাসী নীতির ফল। দুটি বিশ্বযুদ্ধের ক্ষেত্রে তা সমভাবে প্রযোজ্য। শুধু দ্বিতীয় বিশ্বযুুদ্ধে সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্রসমূহের সোভিয়েত বিরোধী নীতিও যুদ্ধের জন্য দায়ী। কিন্তু তাদের সেই স্বপ্ন সফল হয়নি। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় বিশ্বের প্রথম সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব সংগঠিত হয়েছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বিজয়ের প্রভাবে চৌদ্দটি দেশ সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে, সমাজতান্ত্রিক বিশ্বব্যবস্থার সৃষ্টি হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রতিরোধ, আস্থা ও সমর ক্ষমতা গোটা বিশ্বকে মুগ্ধ করেছে। সোভিয়েতের প্রভাবে দেশে দেশে জাতীয মুক্তি আন্দোলন তীব্রতর হয়েছে। ঔপনিবেশবিরোধী সংগ্রাম তীব্র গতি বেগ লাভ করছে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জোসেফ স্ট্যালিনের অসামান্য অবদানের মূল্যায়ন করতেই হয়। মার্শাল জুকভ স্ট্যালিন প্রসঙ্গে উচ্চ মূল্যায়ন করেছেন তাঁর যুদ্ধস্মৃতি বইতে। সোভিয়েত ইউনিয়নের কষ্টসহিষ্ণু জনগণ কমরেড স্ট্যালিনের দুঃসাহসী ও দূরদর্শী নেতৃত্বে পরিচালিত সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্ট পার্টি ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিজয়ের মূল চাবিকাঠি। বর্তমানে অনেক বুর্জোয়া পণ্ডিত(!) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের ভূমিকার অবমূল্যায়ন করার জন্য ইতিহাস বিকৃতি করছেন, স্ট্যালিন আর হিটলারকে এক কাতারে ফেলে বিচার করছেন। তাদের উদ্দেশ্যে মিখাইল গর্বাচেভের স্ট্যালিন প্রসঙ্গে একটা উদ্ধৃতির উল্লেখ করছি। গর্বাচেভ ১৯৮৭ সালের ২ নভেম্বর মস্কোতে অনুষ্ঠিত মহান অক্টোবর বিপ্লবের ৭০তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রদত্ত বক্তৃতায় বলেন, ‘জনগণকে সুশৃঙ্খল ও সংগঠিত রাখার যে প্রচণ্ড রাজনৈতিক ইচ্ছা ও দৃঢ় ক্ষমতা যুদ্ধের বছরগুলোতে যোশেফ স্ট্যালিন দেখিয়েছিলেন তা বিজয় লাভের একটা উপাদান হিসেবে কাজ করেছে।’
ফ্যাসিবাদ মূর্তিমান আতঙ্কের নাম। ফ্যাসিবাদ এমন একটা মতবাদ যা মানুষকে অমানুষ বানায়। ফ্যাসিবাদ হত্যা-ধ্বংস ছাড়া কিছু বুঝে না। ফ্যাসিবাদের একটা অর্থনৈতিক ভিত্তি আছে, রাজনৈতিক দর্শন আছে। তৃতীয় আন্তর্জাতিকে ফ্যাসিবাদকে সংজ্ঞায়িত করে বলা হয়েছিল- ‘ফ্যাসিবাদ হলো ফিন্যান্স পুঁজির সব চাইতে প্রতিক্রিয়াশীল, সব চাইতে উগ্র জাতীয়তাবাদী ও সাম্রাজ্যবাদী এবং সর্বাধিক প্রকাশ্য সন্ত্রাসবাদী একনায়কত্ব।’ ফ্যাসিবাদ ৪০ এর দশকে পরাজিত হয়েছে। কিন্তু যে আর্থ-সামাজিক অবস্থায় ফ্যাসিবাদের উদ্ভব তা এখনও বহাল রয়েছে। তাই নব্য ফ্যাসিবাদ আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে। তার লক্ষণও দেখা যাচ্ছে।