স্থানীয় সরকার নির্বাচনও ব্যবসায়ীদের দখলে

Facebook Twitter Google Digg Reddit LinkedIn StumbleUpon Email
একতা প্রতিবেদক : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচনে অধিকাংশ এমপি ব্যবসায়ী ও ব্যবসায়িক নেতা। উপজেলা নির্বাচনে জামানত বৃদ্ধি হওয়ায় রাজনীতিতে সাধারণ মানুষ মুখ ফিরেয়ে নিয়েছে ফলে সম্পৃক্ততা বেড়েছে ব্যবসায়ীদের। রাজনীতি এখন অনেকের কাছেই ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। সংসদের অধিকাংশ এমপি ব্যবসায়ী হওয়ায় কেউ জনগণের কথা বলছেন না বলে অভিযোগ তৃণমূলের। সম্পদ অর্জনে এমপিদের পেছনে ফেলেছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানরা। পাঁচ বছরে অস্থাবর সম্পদ বৃদ্ধিতে একজন উপজেলা চেয়ারম্যানের সম্পদ বৃদ্ধির হার ৪ হাজার ২০০ শতাংশের বেশি। এর বিপরীতে সংসদ সদস্যদের সম্পদ বৃদ্ধির হার ছিল সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৬৫ শতাংশ। নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া ১৪৪ উপজেলার প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণ করে গত ৬ মে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের প্রার্থীর মধ্যে ১১৭ জন কোটিপতি। যেখানে ৫৬০ চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে ৯৪ জন কোটিপতি। এছাড়া ৬১১ ভাইস চেয়ারম্যানের মধ্যে ১৭ জন ও ৪৩৫ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের মধ্যে ৬ কোটিপতি প্রার্থী এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত নারী চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে অংশ নেওয়াদের ৫৬ শতাংশই পেশায় ব্যবসায়ী। এর মধ্যে ৭০ শতাংশ চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী, ৬৯ শতাংশ ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এবং ২৪ শতাংশ সংরক্ষিত নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী। ২০১৯ সালের উপজেলা নির্বাচনে একই উপজেলায় এ হার ছিল ৫৩ শতাংশ। আর ২০১৪ সালের ছিল ৪৮ শতাংশ। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ৯৪ জন চেয়ারম্যান, ১৭ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও ৬ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানসহ মোট ১১৭ জন প্রার্থীর প্রত্যেকের এক কোটি টাকা বা তার বেশি মূল্যের অস্থাবর সম্পদ রয়েছে। এই ধরনের প্রার্থীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে বলেও জানায় টিআইবি। ২০১৯ সালের নির্বাচনে মোট ৪৫ জন প্রার্থীর এক কোটি টাকা বা তার বেশি মূল্যের অস্থাবর সম্পদ ছিল। ২০১৪ সালে ছিল ৩৪ জনের। উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের সম্পদের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির বিষয়টি খতিয়ে দেখার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশন, এনবিআর ও দুদকের বলে মনে করেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. মো. ইফতেখারুজ্জামান। তিনি বলেন, আমরা দেখেছি প্রথম ধাপে প্রথম পর্বে মন্ত্রী-এমপিদের ১৩ জন স্বজন নির্বাচন করছেন। প্রথম ধাপেই চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৬ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। গবেষণায় দেখা যায়, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও ব্যবসায়ী প্রার্থীদের দাপট বেড়েছে ।

Print প্রিন্ট উপোযোগী ভার্সন



Login to comment..
New user? Register..