দেশে বেকারের সংখ্যা বাড়ছে
একতা প্রতিবেদক :
সরকারি হিসাব মতে দেশে এখন বেকারের সংখ্যা প্রায় ২৬ লাখ (২৫ লাখ ৯০ হাজার)। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ত্রৈমাসিক জরিপের তথ্যানুযায়ী জানুয়ারি থেকে মার্চ সময়ে আগের বছরেরও এই পরিমাণ বেকার ছিল। কিন্তু গড় হিসাবে ২০২৩ সাল শেষে বেকারের সংখ্যা ছিল ২৪ লাখ ৭০ হাজার। সেই হিসাবে বেকারের সংখ্যা এ বছরের প্রথম প্রান্তিকে বেড়েছে। পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাব অনুযায়ী জরিপকালীন সময়ে বিগত সাত দিনে কমপক্ষে এক ঘণ্টাও কোনো কাজ করেনি কিন্তু কাজ করার জন্য প্রস্তুত ছিল এবং বিগত ৩০ দিনে বেতন, মজুরি বা মুনাফার বিনিময়ে কোনো না কোনো কাজ খুঁজছেন তাদেরকে বেকার হিসাবে আনা হয়েছে।
এছাড়া শ্রমশক্তির বাইরে বিশাল জনগোষ্ঠী আছে। তারা কর্মে নিয়োজিত নয়, তারা বেকার হিসেবেও বিবেচিত নয়।
বিবিএসের হিসাব অনুসারে, বর্তমানে বেকারের হার ৩ দশমিক ৫১ শতাংশ, যা ২০২৩ সালের গড় বেকারের হার ছিল ৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ। এদিকে পুরুষ বেকারের সংখ্যা বেড়েছে, নারী বেকার কমেছে। বিবিএস হিসাব অনুসারে, গত মার্চ মাস শেষে পুরুষ বেকারের সংখ্যা ছিল ১৭ লাখ ৪০ হাজার। ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকে (মার্চ-জানুয়ারি) সময়ে এই সংখ্যা ছিল ১৭ লাখ ১০ হাজার। অন্যদিকে গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩০ হাজার নারী বেকার কমেছে। এখন নারী বেকারের সংখ্যা ৮ লাখ ৫০ হাজার।
বিবিএসসের কর্মকর্তারা জানান, শহর ও পল্লি এলাকায় দেশব্যাপী ১২৮৪টি নির্বাচিত নমুনা এলাকায় সর্বমোট ৩০ হাজার ৮১৬টি খানায় ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে তথ্য সংগ্রহ করে এই ফলাফল তৈরি করা হয়েছে। বর্তমানে দেশের জনসংখ্যা ১৭ কোটি ২৯ লাখ। এর মধ্যে ১৫ ও এর ওপরে বয়সী কর্মক্ষম জনসংখ্যা ১২ কোটি ২০ লাখ ১০ হাজার। জরিপ অনুযায়ী শ্রমশক্তিতে রয়েছে মোট ৬ কোটি ৪ লাখ মানুষ। কিন্তু ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকে ছিল ৬ কোটি ১৩ লাখ মানুষ। অর্থাৎ শ্রমশক্তিতে জনসংখ্যা কমে গেছে। গত বছর প্রথম প্রান্তিতে (জানুয়ারি-মার্চ) ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সী মানুষের শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণ ছিল ২ কোটি ৭৩ লাখ। এ বছর প্রথম প্রান্তিকে এই সংখ্যা কমে হয়েছে ২ কোটি ৫৯ লাখ।
বিবিএস বলছে, শ্রমশক্তিতে এখন ৭ কোটি ৩৭ লাখ ৫০ হাজার নারী-পুরুষ আছেন। তাদের মধ্যে ৭ কোটি ১১ লাখ ৬০ হাজার লোক কর্মে নিয়োজিত। বাকিরা শ্রমশক্তির বাইরে। তারা মূলত কোনো কাজ খুঁজে না। এছাড়াও রয়েছেন শিক্ষার্থী, বয়স্ক নারী-পুরুষ, কাজ করতে অক্ষম ব্যক্তি, অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তি।
বাংলাদেশ যুব ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় নেতা ত্রিদিব সাহা সাপ্তাহিক একতাকে বলেন, সরকার প্রতিবছর একটা কাগজে কলমে হিসাব কষে তারপর তা প্রকাশ করে দায়িত্ব শেষ করে। কিন্তু কেন এত কর্মঠ মানুষ বেকার, কেন শিক্ষিত তরূণরা চাকরি পাচ্ছে না সেখানে সরকারের নজর নেই। সরকারি দপ্তরে অনেক শূণ্যপদ থাকার পরও সরকার নিয়োগ দিচ্ছে না। সরকার বেকারদের উদ্দ্যেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে উদ্যোক্তা হতে বলছেন। কিন্তু এত বৃহৎ একটা বেকার জনগোষ্ঠী কিভাবে কোথা থেকে টাকা পাবে। ব্যাংক বিনা শর্তে বেকারদের ঋণ দিচ্ছে না। তাই ইচ্ছে থাকলে যুবক ভাইরা উদ্যোক্তা হতে পারে না। অনেক বেকার যুবক অনাহারে কষ্টে আত্মহত্যা পর্যন্ত করছেন। আমরা অবিলম্বে সেইসকল শূণ্যপদে নিয়োগ এবং বেকার তরূণদের ভাতা ও সরকারি উদ্যোগে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বিনা সুদে আর্থিক প্রণোদনা প্রদান ও প্রশিক্ষণের দাবি জানাচ্ছি।
প্রথম পাতা
দেশে দ্রুত স্থিতিশীলতা আনতে হবে
শেয়ারবাজার কারসাজিতে লুটপাট কয়েক হাজার কোটি টাকা
‘জাতীয় সম্পদ রক্ষা ও মানব মুক্তির সংগ্রাম এগিয়ে নিতে হবে’
জাতীয় সঙ্গীত-পতাকা মুক্তিযুদ্ধ, সংবিধান নিয়ে ষড়যন্ত্র রুখে দাঁড়াতে হবে
আন্দোলনে ওষুধ কারখানার শ্রমিকরা, উৎপাদন বন্ধ
ডেঙ্গু রোগী বাড়ছেই
মুক্তিযুদ্ধ, জাতীয় সংগীত ও জাতীয় পতাকা প্রশ্নে কোনো আপস নয়
‘কৌতুহলোদ্দীপক’
Login to comment..