![](showThumb.php?id=8758)
একতা বিদেশ ডেস্ক :
তিন দশকের বেশি সময়ের বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গের শাসনক্ষমতায় এসেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতৃত্বাধীন দলটির শীর্ষ নেতারা জোর গলায় বলেছিলেন, আগামী ৫০ বছরেও রাজ্যের শাসনক্ষমতা থেকে তৃণমূলকে হটানো যাবে না। ‘সততার প্রতীক’ হয়ে রাজ্য শাসন করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এক যুগ যেতে না যেতেই দৃশ্যপট পাল্টে গেছে। মমতার সরকারের ওপর পড়েছে কালিমা। দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন দলটির শীর্ষ নেতাদের অনেকে।
এই আবহেই শুরু হচ্ছে লোকসভা নির্বাচন। এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের দুর্নীতি নিয়ে সরব বিরোধী শিবির। প্রতিদিনই দুর্নীতির নানা অভিযোগ উঠছে শাসক দলের নেতা-কর্মী ও মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে। তৃণমূলের শীর্ষ নেতাদের অনেকেই এখন কারাগারে। কারাবন্দী নেতাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মতো শীর্ষস্থানীয় নেতারা।
৫৪৩ আসনের লোকসভার ৪২টি আসন পশ্চিমবঙ্গে। আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে ১ জুন সাত দফায় এসব আসনে ভোট গ্রহণ হবে। এখন পর্যন্ত সব আসনে শুধু তৃণমূলই প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। বিজেপি প্রার্থী দিয়েছে ৩৮ আসনে। এ ছাড়া বামফ্রন্ট ২১ আসনে ও কংগ্রেস ১২ আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। আইএসএফ বা ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট এখনো প্রার্থী তালিকা চূড়ান্তই করতে পারেনি।
দুর্নীতির কারণে তৃণমূলের জনপ্রিয়তায় এবার যেমন কমেছে, তেমনি কিছুটা হলেও জনপ্রিয়তা বেড়েছে কংগ্রেস-বাম জোটের। তাই বাম-কংগ্রেস জোট মনে করছে, তৃণমূলের দুর্নীতির ছায়া এবার লোকসভা নির্বাচনে পড়বেই।
এদিকে অতীত ভুলে বাম-কংগ্রেস জোট এবার ভালো ফলের আশা করছে। জোট নেতাদের দাবি, রাজ্যের মানুষ যেমন তৃণমূলের দুর্নীতি নিয়ে ক্ষুব্ধ, তেমনি বিজেপির ধর্মান্ধ রাজনীতি নিয়েও তারা বীতশ্রদ্ধ। ফলে এবার বহু ভোটারই তৃণমূল ও বিজেপিকে ভোট না দিয়ে তাদের ভোট দেবেন। এতে বহু আসনে ত্রিমুখী লড়াইয়ে জয় পেতে পারেন জোটের প্রার্থীরা।