যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস নিরাপত্তা পরিষদে, তবু বেপরোয়া ইজরায়েল

Facebook Twitter Google Digg Reddit LinkedIn StumbleUpon Email

একতা বিদেশ ডেস্ক : জনমতের চাপে আর সরাসরি বাধা দিতে পারল না মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাশ হলো গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব। গত বছরের অক্টোবর থেকে বিভিন্ন সময়ে নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব এলেও তা আটকে গিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাধায়। নিরাপত্তা পরিষদে পাশ প্রস্তাবে ‘এখনই’ এবং ‘নিঃশর্ত’ যুদ্ধবিরতির কথাই বলা হয়েছে। বিশ্ব বিভিন্ন প্রান্তে এই দাবিতে রাস্তায় নেমেছে একের পর এক মিছিল। রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদেও বিপুল ভোটে পাশ হয়েছে সেই প্রস্তাব। কিন্তু নিরপাত্তা পরিষদে আটকে গিয়েছে সেই প্রস্তাব। নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য দেশগুলির কোনও একটি ভেটো প্রয়োগ করলেই প্রস্তাব আটকে যায়, পক্ষে বেশি ভোট থাকলেও পাশ হয় না প্রস্তাব। ৭ অক্টোবর ইজরায়েলের হামলা চালিয়েছিল গাজার হামাস। সঙ্গে সঙ্গেই যুদ্ধ ঘোষণা করে ইজরায়েল। বস্তুত হামাসের হামলার অনেক আগে থেকেই লাগাতার গাজা এবং প্যালেস্তাইনের ওয়েস্ট ব্যাঙ্কে আগ্রাসী দখলদারি চালাচ্ছিল ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, ‘‘এই প্রস্তাব নিরাপত্তা পরিষদে পাশ হওয়ার অত্যন্ত গুরুত্বের। প্রতিটি অক্ষর যেন পালন করা হয়।’’ ইজরায়েল আন্তর্জাতিক জনমতকে কার্যত ব্যঙ্গ করেই লাগাতার হানাদারি চালিয়ে যাচ্ছে গাজা ভূখন্ডে। সম্প্রতি গাজার দক্ষিণে মিশর সীমান্তের কাছে রাফায় বসতি ঘর বোমায় উড়িয়ে দিয়েছ। অন্তত ১৮ প্যালেস্তানীয় নাগরিক মারা গিয়েছেন ওখানেই। আরও বাড়তে পারে নিহতের সংখ্যা। আল শিফা হাসাপাতলের কাছে সামরিক বাহিনীর গোলায় আরও অন্তত ৩০ নাগরিকের মৃত্যুর খবর দিচ্ছে ফিলিস্তিনের সংবাদমাধ্যম। ইজরায়েল ঘোষণা করেছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব পাশ হলেও গাজাকে সম্পূর্ণ দখল করার নীতি থেকে সরে আসার প্রশ্ন নেই। ফিলিস্তিনের বিবৃতি অনুযায়ী গত বছরের অক্টোবরে হামাসের হামলায় প্রাণ গিয়েছিল ১১৩৯ জনের। কিন্তু তারপর থেকে ইজরায়েলের লাগাতার আক্রমণে ৩২ হাজার ৩৩ ফিলিস্তিনি নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। অর্ধেকের বেশি শিশু এবং মহিলা। রাষ্ট্রসঙ্ঘ গত প্রায় এক মাসে বারকয়েক দুর্ভিক্ষ এবং অনাহারে মৃত্যুর আশঙ্কা জানিয়েছে। আমেরিকার মদতেই হামলাবাজি চালিয়ে যেতে পেরেছে ইজরায়েল। কিন্তু মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন তার ডেমোক্র্যাটিক পার্টির একাংশের প্রশ্নের সামনে পড়ছেন। কড়া বারন সত্ত্বেও আমেরিকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে হয়েছে মিছিল, প্রতিবাদ। চলতি বছরেই ভোট রয়েছে আমেরিকায়। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, রাষ্ট্রসঙ্ঘে এবার ভোট না দিয়ে বিরত থাকলেও বাইরে ইজরায়েলের পক্ষেই ওকালতি শুরু করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। নিরাপত্তা পরিষদে মার্কিন প্রতিনিধি বাইরে বলেছেন, যে প্রস্তাব পাশ হয়েছে তাতে পূর্ণ সমর্থন নেই। হামাসের প্রসঙ্গও রাখার কথা বলা হয়েছিল।

Print প্রিন্ট উপোযোগী ভার্সন



Login to comment..
New user? Register..