গণহত্যা দিবসকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও সাম্প্রদায়িক রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি

শিখা চিরন্তনে সিপিবির আলোক প্রজ্জ্বালন ও শপথ

Facebook Twitter Google Digg Reddit LinkedIn StumbleUpon Email

২৫ মার্চ গণহত্যায় নিহতদের স্মরণে মুক্তিযুদ্ধের চারনীতি বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে রাজধানীর শিখা চিরন্তনে মোমবাতি প্রজ্জ্বালন শেষে সিপিবির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম শপথ বাক্য পাঠ করান
একতা প্রতিবেদক : গণহত্যা দিবসে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) উদ্যোগে আলোক প্রজ্জ্বালন ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ গত ২৫ মার্চ সন্ধ্যা ৭টায় ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিখা চিরন্তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলোক প্রজ্জ্বলন পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ। সমাবেশ শেষে শপথবাক্য পাঠ করান সিপিবি সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম। সমাবেশে সিপিবি’র কেন্দ্রীয় নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক এম এম আকাশ, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. মন্টু ঘোষসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও গণসংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। নেতৃবৃন্দ বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এসমসয় নেতৃবৃন্দ বলেন, শহীদদের স্বপ্ন এখনো পূরণ হয়নি। দেশে এখন পাকিস্তানি ভাবাদর্শ, অর্থনীতি পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে, ধনবৈষম্য ও শ্রেণি বৈষম্য প্রতীয়মান। গণতন্ত্র-ধর্মনিরপেক্ষতা-জাতীয়তাবাদ-সমাজতন্ত্রের অঙ্গীকার থেকে দূরে সরে গেছে শাসকগোষ্ঠী। নেতৃবৃন্দ বলেন, গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে, সমাজতন্ত্র নির্বাসিত। অন্যদিকে রাষ্ট্রধর্ম সংবিধানে জেঁকে বসেছে। রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর সাথে যোগসাজশে শিক্ষাব্যবস্থা ও পাঠ্যসূচি সাম্প্রদায়িকীকরণ করা হচ্ছে। কমিউনিস্টরা জাতীয় কর্তব্য ও শ্রেণির কর্তব্য সম্পাদন করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করবে। বক্তারা দেশের বাম-প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দুর্নীতি লুটপাটের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে ৭১’র চেতনায় মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করার আহ্বান জানান। সেই সাথে নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি নিষিদ্ধ ও গণহত্যা দিবসকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতির দাবি জানান।

Print প্রিন্ট উপোযোগী ভার্সন



Login to comment..
New user? Register..