একতরফা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে রাজধানীতে সিপিবি ঢাকা দক্ষিণের বিক্ষোভ মিছিলএকতা প্রতিবেদক :
স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে আরেকটি প্রহসনমূলক ও একতরফা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার মধ্য দিয়ে পুতুল নির্বাচন কমিশন দেশের গণতন্ত্রকামী জনগণকে চূড়ান্ত লড়াইয়ের পথে ঠেলে দিয়েছে। একতরফা নির্বাচন বর্জনের পথেই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে। শেখ হাসিনা সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মধ্য দিয়ে চিরকাল রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকার প্রকল্প রচনা করেছেন। সেই প্রকল্পের অংশ হিসেবে ২০১৪ ও ২০১৮ সালে নির্বাচনের নামে দুটি প্রহসন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানুষের ভোটাধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করা, লেখক-রাজনৈতিক কর্মীদের হত্যাসহ নিষ্ঠুর ফ্যাসিবাদী দমন-পীড়নের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষাকে পদদলিত করা হয়েছে। বর্তমান সরকার তার স্বৈরাচারী শাসন দ্বারা রাষ্ট্রের বিচার ব্যবস্থা ও সকল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানসমূহ ধ্বংস করেছে। গত ১৭ নভেম্বর বিকেল ৪টায় রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড়ে প্রতিকূল আবহাওয়া উপেক্ষা করে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কমিটির উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন নেতৃবৃন্দ।
সিপিবি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুজ্জামান হীরার সভাপতিত্বে ও সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সাইফুল ইসলাম সমীরের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সিপিবি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কমিটির সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আক্তার হোসেন, শংকর আচার্য্য, মঞ্জুর মঈন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের মানুষ চিরকাল মরণপণ লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করেছে। দেশের রাজনৈতিক এই ক্রান্তিকালে তারা গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচারী সরাকারের পতন ঘটাবে। ক্ষমতাসীন সরকার দেশের শ্রমিক ও মেহনতি মানুষকে অর্ধাহারে-অনাহারে থাকতে বাধ্য করছে। একদিকে চরম বাজার নৈরাজ্য, অন্যদিকে সীমাহীন লুটপাট-অর্থপাচারের মধ্য দিয়ে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করা হয়েছে। বৈদেশিক ঋণ নির্ভর তথাকথিত উন্নয়ন মানুষের পেটে অন্নের যোগান দিতে পারছে না। শ্রমিক বাঁচার মতো মজুরি চাইলে গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। এই সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে শ্রমিক-কৃষক-মেহনতি মানুষের অধিকার আদায় করতে হবে। এই অবস্থায় স্বৈরাচারী সরকার পতনের লক্ষ্যে আপসহীন সংগ্রামে সকল বিবেকবান মানুষকে রাজপথে নামতে হবে।
সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।