শি-বাইডেন বৈঠকে চীনের লক্ষ্য পূরণ

Facebook Twitter Google Digg Reddit LinkedIn StumbleUpon Email

একতা বিদেশ ডেস্ক : সম্পতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এক বৈঠকে মিলিত হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকো শহরে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে বৈঠকটি হয়। এক বছরের মধ্যে এই প্রথম বাইডেন ও সির মধ্যে মুখোমুখি বৈঠক হলো। তাঁরা প্রায় চার ঘণ্টা বৈঠক করেন। বিশ্বের বিভিন্ন নামীদামি প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীরাও এতে অংশ নেন। চীনা প্রেসিডেন্ট এই নির্বাহীদের মুখোমুখি হলে মার্কিন ব্যবসায়ী নেতারা একবার নয়, তিন-তিনবার দাঁড়িয়ে তাঁকে অভিবাদন জানান। ছয় বছর পর যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম সফরে চীনের নেতা যেসব ক্ষেত্রে জয়ী হলেন, মার্কিন ব্যবসায়ী নেতাদের দাঁড়িয়ে তাঁকে অভিবাদন জানানোর এই ঘটনা সেসবেরই একটি। সান ফ্রান্সিসকোতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গেও বৈঠক করেন সি। দুই পরাশক্তির রাষ্ট্রপ্রধানদের বৈঠকে ফেন্টানিল মাদক থেকে শুরু করে পারস্পরিক সামরিক যোগাযোগ ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো ইস্যুতে সমঝোতা হয়েছে। চীনের লক্ষ্য ছিল সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নীতিগত ছাড় আদায় করা; দ্বিপক্ষীয় উত্তেজনা কমানো, যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ওপর আরও বেশি মনোযোগী হওয়ার সুযোগ করে দেবে এবং বিদেশি বিনোয়োগ আকর্ষণ করা যাবে। সির সঙ্গে বৈঠকের পর যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় একক সংবাদ সম্মেলন করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। সির সঙ্গে বৈঠককে সবচেয়ে গঠনমূলক ও ফলপ্রসূ হিসেবে বর্ণনা করেছেন বাইডেন। তিনি বলেন, বৈঠকে তাঁরা সব সময় সবকিছুতে একমত হননি। তবে সির সঙ্গে তাঁর পুরো আলোচনা ছিল সোজাসাপটা। সির সঙ্গে বৈঠকে তাইওয়ানের বিষয়ে মার্কিন নীতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন বাইডেন। মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাইওয়ান, ইউক্রেন, মধ্যপ্রাচ্য ইস্যু নিয়েও দুই নেতার মধ্যে কথা হয়েছে। সিনহুয়ার খবরে বলা হয়, বৈঠকে দুই নেতা পারস্পরিক শ্রদ্ধা, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান, যোগাযোগ বজায় রাখা ও সংঘাত রোধের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন। এমন এক সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের প্রধান দুই নেতার বৈঠক হলো, যখন নানামুুখী সংকটে জর্জরিত গোটাবিশ্ব।

Print প্রিন্ট উপোযোগী ভার্সন



Login to comment..
New user? Register..