কাদিয়ানী জলসায় হামলা, সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণে হতাহতে উদ্বেগ, বিচার দাবি

Facebook Twitter Google Digg Reddit LinkedIn StumbleUpon Email
একতা প্রতিবেদক : বাম গণতান্ত্রিক জোট কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সমন্বয়ক ও বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, জোটের কেন্দ্রীয় নেতা ও সিপিবি’র সভাপতি শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবীর জাহিদ, বাসদ (মার্ক্সবাদী)’র সমন্বয়ক মাসুদ রানা, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু ও সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের সভাপতি হামিদুল হক গত ৫ মার্চ সংবাদপত্রে দেয়া এক বিবৃতিতে গত ৩ মার্চ পঞ্চগড়ে কাদিয়ানীদের জলসাকে কেন্দ্র করে উগ্র সাম্প্রদায়িক শক্তির হামলা-ভাংচুর, বাড়ীঘরে অগ্নিসংযোগ ও হতাহতের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে ৫১ বছর পর এহেন সাম্প্রদায়িক হামলা, হতাহতের ঘটনা প্রত্যাশিত নয়। কিন্তু শাসকশ্রেণি স্বাধীনতাত্তোরকাল থেকে আজ পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপরীতে দেশ পরিচালনা করে ধর্মান্ধ সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে আঁতাত করে ক্ষমতায় যাওয়া এবং থাকার যে ঘৃণ্য রাজনৈতিক অপকৌশল নিয়ে চলছে তারই বিষ্ময় ফল ভোগ করছে জাতি। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ ধর্মভীরু; তারা ধর্মান্ধ বা সাম্প্রদায়িক নয়। শাসকশ্রেণির আশ্রয়-প্রশ্রয়ে ধর্মভিত্তিক মৌলবাদী দল ও শাসক বুর্জোয়া দলের রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহারের ফলেই আজ ধম-বর্ণ-সম্প্রদায়ে হানাহানি চলছে। ক্ষমতাসীন সরকার জনগণের মৌলিক গণতান্ত্রিক অধিকার যখন রক্ষা করতে ব্যর্থ, দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া ও সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম বন্ধ করে বাজার নিয়রন্ত্রণে চরমভাবে ব্যর্থ, তখন শাসকেরাও জনগণের দৃষ্টিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে ধর্ম সাম্প্রদায়িকতাকে এবং ধর্মান্ধ দলগুলোকে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করে। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, সকল ধর্মের, সকল সম্প্রদায়ের জানমালের নিরাপত্তা বিধান এবং ধর্ম পালনের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার দায়িত্ব রাষ্ট্র ও সরকারের। অথচ সরকার সকল নাগরিকের ধর্ম পালন ও জানমালের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। বিবৃতিতে পঞ্চগড়ে কাদিয়ানীদের জলসায় হামলা, ভাংচুর, বাড়ী ঘরে অগ্নিসংযোগ ও হতাহতের ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় আনার জোর দাবি জাননো হয়। একই সাথে সকল গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল রাজনৈতিক দল, ব্যক্তিকে সকল প্রকার সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান। অপর এক বিবৃতিতে তারা ৪ মার্চ চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সীমা অক্সিজেনে ভয়াবহ বিস্ফোরণে ৬ জনের প্রাণহানী ও ২০/২৫ জনের আহত হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে হতাহতদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান, আহতদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসন এবং ঘটনার জন্য দায়িদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, ৯ মাস আগে সীতাকুণ্ডে বিএম ডিপোতে বিস্ফোরণে ৫১ জন মানুষের প্রাণহানী ও শতাধিক আহত হয়েছিল। কিন্তু ঐ ঘটনায় মামলা হলেও মালিকদের নাম এজাহারে রাখা হয়নি। এবং সেই মামলাও আর এগোয়নি। একের পর এক করখানা প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের অগ্নিকাণ্ড, বিস্ফোরণ ও হতাহতের ঘটনা ঘটলেও কোন ঘটনারই সুষ্ঠ তদন্ত, বিচার ও দায়িদের শাস্তি না হওয়ায় অবহেলা, অনিয়ম, দুর্নীতি ও কাঠামোগত হত্যাকাণ্ড সংগঠিত করে অপরাধীরা পার পেয়ে যাচ্ছে। বিবৃতিতে সীতাকুণ্ডের ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত, বিচার ও দায়ীদের শাস্তি দাবি করা হয়।

Print প্রিন্ট উপোযোগী ভার্সন



Login to comment..
New user? Register..