হাজার কোটি বছর আগে ‘নক্ষত্র সৃষ্টির’ ছবি দেখাল জেমস ওয়েব

Facebook Twitter Google Digg Reddit LinkedIn StumbleUpon Email

একতা বিজ্ঞান ডেস্ক : জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের তোলা এক নতুন ছবিতে দেখা যাচ্ছে, কীভাবে এক হাজার কোটি বছরেরও বেশি সময় আগে মহাবিশ্বের শুরুর দিকে সর্বপ্রথম তারাপুঞ্জ গঠিত হয়েছিল। পৃথিবীর চেয়ে দুই লাখ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত ‘এনজিসি ৩৪৬’ নামে পরিচিত একগুচ্ছ নক্ষত্রের শুরুর দিকের অবস্থা দেখা গেছে ওই ছবিতে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এতে মহাবিশ্বের শুরুর পরিস্থিতির দেখা মেলায় এটি জোতির্বিদদের আগ্রহের জায়গা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আর ‘বিং ব্যাংয়ের’ দুইশ বা তিনশ কোটি বছর পর কীভাবে প্রথম নক্ষত্রগুলো গঠিত হয়েছে, এইসব জায়গা নিয়ে গবেষণা করে সে সম্পর্কে তারা আরও বেশি শেখার চেষ্টা সবসময়ই করেছেন। এই সময়টা ‘কসমিক নুন’ নামে পরিচিত। সে সময় নক্ষত্র গঠনের প্রক্রিয়া সবচেয়ে বেশি কার্যকর ছিল। ‘আমরা যে বিল্ডিং ব্লকগুলো দেখছি, কেবল বিভিন্ন নক্ষত্রেরই নয়, বরং সম্ভাব্য গ্রহেরও।’ বলেন ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির জোতির্বিদ ও গবেষণা দলের সহ-তদন্তকারী গুইডো দে মারচি। তিনি আরও যোগ করেন, বিভিন্ন ‘পাথুরে গ্রহ’ মহাবিশ্বে প্রথম ধারণারও আগে গঠিত হতে পারে, এমন সম্ভাবনাও রয়েছে। ‘এনজিসি ৩৪৬’ তারাপুঞ্জে বেশ কিছু সংখ্যক ‘প্রোটোস্টার’ আছে, যেগুলো মূলত বিভিন্ন গ্যাসের মেঘমালা ও ধুলোর সংমিশ্রণ। আর এগুলোই পরবর্তীতে বিভিন্ন নক্ষত্রে পরিণত হয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, নক্ষত্র গঠনের সঙ্গে সঙ্গে এর বিভিন্ন উপাদান একটি ডিস্কে সংগৃহিত হয়, যা চলে যায় কেন্দ্রীয় নক্ষত্রের কাছে। ‘ইউকে অ্যাস্ট্রনমি টেকনোলজি সেন্টার’-এর ‘সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ফ্যাসিলিটিস কাউন্সিল’ বিভাগের কর্মী ও এ বিষয়ে আসন্ন এক গবেষণা পত্রের মূল লেখক অলিভিয়া জোন্স বলেন, এই টেলিস্কোপে তোলা উচ্চ রেজুলিউশনের ছবিগুলো বিজ্ঞানীদের অনেক বেশি তথ্য দিয়েছে। ‘এই প্রথম আমরা অন্য কোনো ছায়াপথের নিম্ন ও উচ্চ ভরের নক্ষত্র গঠনের পুরো প্রক্রিয়া শনাক্ত করতে পারবো।’-বলেন তিনি। ‘নক্ষত্রের জন্ম পরিবেশকে কীভাবে আকার দেয়, সে সম্পর্কে নতুন তথ্য জানার পাশাপাশি এটি আমাদের নক্ষত্র গঠনের প্রক্রিয়া নিয়ে আরও বিশদভাবে দেখার সুযোগ দেবে।’ বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দুরবিন জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ উন্মোচিত হয়েছিল ২০২১ সালের বড়দিনে। শুরুর দিকের বিভিন্ন নক্ষত্র ও ছায়াপথের গঠন সম্পর্কে বিশেষজ্ঞরা যেন আরও বিস্তারিত দেখতে পান, ওই প্রত্যাশায়। গত বছরের জুলাই মাসে এই টেলিস্কোপ সৌরজগতের সবচেয়ে দূরবর্তী গ্রহ নেপচুন ও এর বিভিন্ন রিংয়ের ছবিও তুলেছিল।

Print প্রিন্ট উপোযোগী ভার্সন



Login to comment..
New user? Register..