
একতা বিদেশ ডেস্ক :
রাশিয়ার সঙ্গে লড়তে শীগগিরই পশ্চিমা মিত্রদের থেকে আধুনিক ট্যাংক পাচ্ছে ইউক্রেন। দীর্ঘ দিন ধরেই দেশটি এই আবেদন জানিয়ে আসছিল। অবশেষে ২৫ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি ইউক্রেনকে ট্যাংক দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। তবে একদিনও দেরি না করে সঙ্গে সঙ্গে যুদ্ধবিমান চাইতে শুরু করেছে কিয়েভ।
ট্যাংক পাওয়ার খবরের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকভের উপদেষ্টা ইয়ুরি স্যাক বলেন, ‘ইউক্রেন এখন যুদ্ধবিমানের জন্য চেষ্টা করবে। যদি আমরা সেগুলো পাই তাহলে যুদ্ধক্ষেত্রে এর প্রভাব হবে ব্যাপক। এফ-১৬এস ছাড়াও চতুর্থ প্রজন্মের অন্য যুদ্ধবিমানগুলিও আমরা চাই।’
গণমাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে, ইউক্রেন এখন পশ্চিমাদের থেকে এফ-১৬ এর মতো আধুনিক যুদ্ধবিমান চায়।
এর মধ্যেই কয়েক ডজন পশ্চিমা ট্যাংক আসার বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছে দেশটি। এগুলো আসবে ব্রিটেন, জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলছেন, চ্যালেঞ্জার-২, আব্রামস এবং লিওপার্ড-২ এর মতো ট্যাংকগুলো দিয়ে তারা রাশিয়ানদের সীমানা ছাড়া করার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী। তবে পাশাপাশি তাদের এখন যুদ্ধবিমানও প্রয়োজন।
ইয়ুরি স্যাক বলেন, ইউক্রেনের এতদিন সেই সোভিয়েত আমলের কিছু যুদ্ধবিমান ছিল। এর বেশিরভাগই রাশিয়া ধ্বংস করে দিয়েছে। ফলে আকাশে রাশিয়ার একচ্ছত্র আধিপত্য চলছে। এ কারণে ইউক্রেনের এখন রাশিয়াকে টেক্কা দেয়া সম্ভব এমন যুদ্ধবিমান প্রয়োজন।
রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে দেশটিতে বানের পানির মতো অস্ত্র পাঠাতে শুরু করেছে পশ্চিমারা। যদিও এর আগে বিষয়টি সহজ ছিল না। তবে আস্তে আস্তে সেই ট্যাবু ভেঙে বেড়িয়ে আসছে পশ্চিমা বিশ্ব।
ইয়ুরি স্যাক বলেন, প্রথমে তারা আমাদের ভারী আর্টিলারি দিতে চায়নি, কিন্তু পরে তারা তা দিয়েছে। এরপর তারা আমাদের হিমার্স দিতে চায়নি, কিন্তু তারপর তারা হিমার্স পাঠিয়েছে। তারা আমাদের ট্যাংক দিতে চায়নি, এখন ট্যাংকও আসছে। পরমাণু বোমা ছাড়া আর যা যা অস্ত্র আছে ইউক্রেন সবই আনবে।
এদিকে চলমান যুদ্ধের মধ্যেই নতুন আরেক যুদ্ধে জড়িয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি। দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন তিনি।