২০ জানুয়ারি সিপিবির সমাবেশে বোমা হামলা-দুটি স্মৃতিচারণ
মাহাবুবুল আলম ও মোর্শেদ আলী
মাহাবুবুল আলম
“... ২০ জানুয়ারি ২০০১ সালে সিপিবি আয়োজিত মহাসমাবেশে বিকেল ৫টা বাজার কয়েক মিনিট পূর্বে বোমা বিস্ফোরণ হয়। ... তখন মঞ্চে বক্তব্য রাখছেন সিপিবি প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোর্শেদ আলী। পল্টনের যেখানে বোমা বিস্ফোরিত হয় তার পাশেই ছিল মহিলা ও অতিথিদের বসার স্থান। পার্টি কমরেডদের মা, স্ত্রী, কন্যা ও পরিবারের সদস্যরাসহ আমার পরিবারের সদস্যরাও চেয়ারে বসেছিলেন। আমি তাদের পাশেই দাঁড়িয়েছিলাম। ... ব্যাপক সমাবেশ দেখে কর্মী-সমর্থকরা সবাই খুব উৎসাহিত হয়েছিল। ... কেউ কেউ মন্তব্য করছিল যে এই সমাবেশ দেখে বিলোপবাদীদের গায়ে এখন জ্বালা ধরবে। এই কারণে যে কমিউনিস্ট পার্টি ধ্বংস করা গেল না।
ঢাকা কমিটির অনেক সদস্যই তখন সমাবেশস্থলে আগত কমরেডদের খোঁজখবর নেওয়ার জন্য ব্যস্ত। কিছুক্ষণ পরেই সভা শেষ হবে এবং সমাবেশে উপস্থিত কমরেডগণ চলে যাবে; তাদের যাওয়ার সময় যাতে কোনো অসুবিধা না হয় তার ব্যবস্থা করার জন্য ... আমিও ... মাঠের দক্ষিণ দিকে হেঁটে যাচ্ছিলাম।
ঠিক কয়েক পা এগোনোর পরই মর্মান্তিক বোমা বিস্ফোরণটি ঘটে। ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যান অর্ধশতাধিক মানুষ। ঘটনাস্থলেই নিহত হন চারজন। তারা হলেন শহীদ কমরেড হিমাংশু মণ্ডল, কমরেড আব্দুল মজিদ (মোক্তার), কমরেড আবুল হোসেন ও কমরেড মোক্তার হোসেন। এরপর মৃত্যু হয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছাত্রকর্মী বিপ্রদাশের।
যারা মানুষের মুক্তি, আওয়ামী লীগ-বিএনপির সন্ত্রাস ও কালো টাকা নির্ভর নীতিহীন রাজনীতি থেকে দেশ, দেশের মানুষ, রাজনীতি ও সম্পদ রক্ষার বিকল্প পতাকাতলে শুভবুদ্ধিসম্পন্ন সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করছে তাদের সহযোদ্ধারা হলেন শহীদ ও পঙ্গু।
ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে গেল বিস্ফোরণের জায়গাটি, জনতা স্তম্ভিত। পার্টির কর্মীরা এগিয়ে আসে হতাহতদের সরিয়ে নিতে, দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছানোর চেষ্টায় কর্মীরা নিয়ে আসে ভ্যান, আর নিজস্ব উদ্যোগে সংগ্রহ করেন গাড়ি। তখনকার পার্টি সভাপতি মনজুরুল আহসান খান ও সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম মাইকে বারবার পুলিশকে অনুরোধ করেন আহতদের দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করার জন্য। কিন্তু পুলিশ নির্বিকার পুতুলের মতো দাঁড়িয়ে থাকে।
ইতোমধ্যে বিক্ষুদ্ধজনেরা স্বজন হারানোর শোককে শক্তিতে পরিণত করে রাস্তায় নেমে আসে প্রতিবাদ-প্রতিরোধ করতে। পুলিশ বাধা প্রদান করে। ... বিক্ষুব্ধ প্রতিবাদী জনতার ওপর হামলা চালায়। এতক্ষণ পুলিশ ছিল পুতুলের মতন নীরব, এখন হল মারমুখী। লাঠিচার্জ আর টিয়ার গ্যাসের শেলে আরো রক্ত ঝরালো জনতার। শুরু হয় পুলিশের সাথে জনতার সংঘর্ষ। মুহূর্তের মধ্যে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ, স্টেডিয়াম গেট ও আশেপাশের এলাকাসহ সমগ্র ঢাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হলো। পরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সমাবেশ থেকে কমরেড মনজুরুল আহসান খান ২১ জানুয়ারি অর্ধবেলা হরতাল আহ্বান করলেন।
পার্টির সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম আমাকে পার্টির পক্ষ থেকে পল্টন ময়দানে থেকে যেতে বললেন। ... যে জায়গায় বোমা বিস্ফোরণ হয় সেখানে যেতে, যাতে কোনো আলামত না নিয়ে যেতে পারে, সেজন্য পাহারা দিতে হবে। কয়েকজন কর্মী নিয়ে আমি এবং অ্যাড. হরিসাধন চেয়ার নিয়ে এলাকা ঘিরে বসে থাকলাম। ... যে পুলিশ এতক্ষণ পর্যন্ত পুতুলের মতো দাঁড়িয়ে ছিলেন এবং পরে জনতার মিছিলে লাঠিপেটা, টিয়ার গ্যাস শেল মেরেছে অবশেষে এখন তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলো। পুলিশের এক কর্মকর্তাকে বলতে শুনলাম যে- এই বোমা বিস্ফোরণ পার্টির অন্তর্দ্বন্দ্ব থেকে হয়েছে। আমি তাকে তা নিয়ে প্রশ্ন করতেই তিনি চলে গেলেন।
কিছুক্ষণ পর মহানগর পুলিশের কমিশনার আনোয়ার হোসেন এলেন। তিনি এসেই উপস্থিত পুলিশের ওপর হম্বিতম্বি করতে আরম্ভ করলেন- এখানে বসে তোমরা করছো কী? কখন কিভাবে এই বিস্ফোরণ হলো? পুলিশের এক ছোট কর্মকর্তা জবাবে বললেন, স্যার ৫০ হাজার মানুষের সমাবেশ, আমরা কয়েকজন মাত্র পুলিশ ছিলাম। মিছিলের পর মিছিল, তার মধ্যে কী করে সম্ভব কে কোন দিক দিয়ে আসছে তা দেখা। তখন তিনি ধমক দিয়ে বললেন, তুমি ভুল তথ্য দিচ্ছো কেন? আমার কাছে ইনফরমেশন আছে ৭/৮ হাজার লোক হয়েছিল। আমি তাৎক্ষণিকভাবে তার কথার প্রতিবাদ করলাম।
... তিনি আমাকে বললেন যে, আমার কাছে আপনাদের সমাবেশ সম্পর্কে ইনফরমেশন দেয়া হয়েছে যে ৮/১০ হাজার মানুষ সমাবেশে উপস্থিত হয়েছে এবং পার্টির অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। তখন তাকে আমি প্রশ্ন করলাম, পল্টনে আমাদের সমাবেশে বোমা বিস্ফোরণের পর তাহলে কী করে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ অফিসের বিপরীত দিকের গলিতে বোমা বিস্ফোরণ হলো? ... আমি খুব উত্তেজিত ছিলাম। তখন তিনি কোনো উত্তর না দিয়েই চলে গেলেন। ... তারপর, তাদের ইনফরমেশনই যে সঠিক এবং তাদের কথাই যে সত্য- তা প্রমাণ করার জন্য তারা মরিয়া হয়ে উঠলো।
ইতোমধ্যে হাসপাতালে আহতদের কাছে গিয়ে তাদের চিকিৎসার খোঁজখবর না নিয়ে তাদের নানাভাবে প্রশ্ন করে প্রভাবিত করার চেষ্টা করতে শুরু করল পুুলিশ। তারা যেন বলেন যে এই বোমাবর্ষণের ঘটনা পার্টির অন্তর্দ্বন্দ্বের ফলে হয়েছে, তা বলার জন্য চাপ দিতে থাকলো। আমাদের খুলনার বটিয়াঘাটার কৃষক আন্দোলনের কর্মী গুরুতর আহত কমরেড সুনীল মন্ডলকে ভালো চিকিৎসা দেয়ার কথা বলে তারা পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে গেল। তাকে তারা প্রথমে ভয়ভীতি ও নানা ধরনের প্রলোভন দেখলো। কিন্তু কমরেড সুনীল মন্ডল কিছুতেই তাদের ‘ফরমায়সি বয়ান’ রাজি হলেন না। জীবনাশঙ্কার মুখেও তিনি বারংবার তাদের সাজানো বয়ান প্রত্যাখ্যান করলেন। ... ঘটনাস্থলে পাওয়া একটি ক্ষতবিক্ষত ব্যাগকে ঘিরেই তারা মিথ্যা ও বানোয়াট একটি ‘ব্যাগ তত্ত্ব’ প্রচারের চেষ্টায় ছিল। ‘কাহিনী’ পাতার চেষ্টায় ছিল।
২১ জানুয়ারি হরতালের পর নিহতদের লাশ তাদের নিজ গ্রামে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছিল। আহতদের কাউকে-কাউকে হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। স্বেচ্ছাসেবক কমরেডরা পালাক্রমে ২৪ ঘণ্টা আহতদের সেবা করতে থাকলেন। পুলিশ মাঠে এসে আলামত হিসেবে শুধু ব্যাগটি নিয়ে গিয়েছিল।
বহুদিন পর্যন্ত এই হত্যাকাণ্ডের কোনো সুরহা হয়নি। বহুবার তদন্ত কর্মকর্তা বদলি হয়েছে এবং প্রতিবারই তাদের নিয়ে গিয়ে পল্টনে ঘটনাস্থল দেখানো হয়েছে এবং ঘটনার বিবরণ দেওয়া হয়েছে। আমাদের সমাবেশের ধারণকৃত ভিডিও বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকেও দেয়া হয়েছিল।
আজও সেদিনের কথা মনে হলে শিহরিত হই, মর্মাহত হই। সেদিন আমারও হয়তো মৃত্যু হতে পারতো।
২০ জানুয়ারির শহীদদের ভুলি নাই - ভুলবো না। ২০ জানুয়ারির বীর শহীদদের লাল সালাম! শহীদদের উত্তরসূরিরা একদিন রক্তের প্রতিশোধ নিবে! বাংলাদেশে একদিন সমাজতন্ত্র প্রতিষ্টা হবেই!
(লেখক : চেয়ারম্যান, কন্ট্রোল কমিশন, সিপিবি)
###
মোর্শেদ আলী
২০ জানুয়ারি ২০০১ সাল। পল্টন ময়দানে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির বিশাল সমাবেশ। মঞ্চে বসে আছেন দেশের বরেণ্য বামপন্থি নেতৃবৃন্দ, কবি, সাহিত্যিক, সংস্কৃতিকর্মী, সিপিবি কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ আরো অনেকেই। বেশ ক’জন নেতৃবৃন্দের বক্তৃতা হয়ে গেছে। এরপর আমি কৃষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বক্তব্য দিচ্ছি। প্রায় শেষ করে এনেছি বক্তব্য।
হঠাৎ মঞ্চের সামনের বাঁ দিকে মঞ্চ থেকে প্রায় দুইশো গজ সামনে বোমা বিস্ফোরিত হলো। প্রথমে বোঝা যায়নি। কেননা বেশ কিছু বালুসহ কাগজের টুকরা আকাশের দিকে উড়ছিল। যেহেতু মাইক আমার হাতে আমি বারবার ঘোষণা দিচ্ছি এটা সভা প- করার ষড়যন্ত্র, আপনারা বসুন। পরে পিছন থেকে স্বেচ্ছাসেবকরা এসে বললো বোমা ফেটেছে, অনেকে হতাহত হয়েছে। আহতদের নিয়ে মেডিকেল কলেজে যাওয়ার জন্য গাড়ি খোঁজা হচ্ছে। শেষে আশু ভাইয়ের একটি গাড়িতে কোনো রকমে আহতদের ক’জনকে উঠানো হলো।
ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ মিছিল। পুরো পল্টনজুড়ে লোকজনের দৌড়াদৌড়ি। পথে হাজার হাজার লোক, রাস্তাঘাট বন্ধ এবং গাড়ি ভাঙচুর চলছে। বিক্ষুদ্ধ মিছিলকারীরা আশু ভাইয়ের গাড়িকেও আক্রমণ করে সামনের কাঁচ ভেঙে দিয়েছে, মারাত্মক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। যা হোক, পরে জনতা বুঝতে পারে যে এই গাড়িটা আহতদের বহন করছে।
সবচেয়ে বড় বিষয় হলো এই গণজমায়েত ছিল পার্টিতে বিপর্যয় হওয়ার পর একটি বড় শোডাউন। ২০০১ সালের ২০ জানুয়ারি ছিল কমিউনিস্ট পার্টিকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার পর মহামিলন মেলা। তাই আপ্রাণ চেষ্টা হয়েছিল বড় জমায়েত করার জন্য। প্রায় সকলের আত্মীয়-স্বজন, মা-বাবা, ভাই-বোন, স্ত্রী নিয়ে তারা সে জমায়েতে উপস্থিত হন। সেখানে মনজু ভাই, সেলিম ভাইয়ের বৃদ্ধ মা জনতার ধাক্কায় মাটিতে পড়ে যায়, ছোট বাচ্চারা কাঁতে শুরু করে।
ওদিকে আহতদের নিয়ে মেডিকেল কলেজে আমাদের ডাক্তার কমরেডরা চিকিৎসার আপ্রাণ চেষ্টা করছে। রক্ত লাগছে শত শত ব্যাগ। অপারেশন থিয়েটারের বাইরে নারী-পুরুষ রক্ত দেয়ার জন্য লাইন দিয়েছে। তাদের একটাই আকুতি আমার কমরেডদের বাঁচাতে হবে। ওষুধের টাকা নেই মেডিকেল কলেজের সামনে আমাদের মহিলা কমরেডরা পথচারীর কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করছে। তাৎক্ষণিকভাবে কোনো কিছুর অভাব হয়নি। সকল জনতা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। ২১ জানুয়ারি হামলার প্রতিবাদে অর্ধদিবস হরতাল ও মুক্তাঙ্গনে সমাবেশ হয়েছিল।
কিন্তু ঘাতকের বোমার আঘাত থেকে রক্ষা করা গেল না হিমাংশু-হাসেম-মজিদসহ পাঁচজন কমরেডকে। আহত অনেকে শেষ পর্যন্ত পঙ্গু জীবন-যাপন করছে। কিন্তু তারা বিপ্লবের পার্টিকে ছাড়ে নাই। গ্রামে তারা পার্টির কাজ পুরোদমে চালিয়ে যাচ্ছে। হিমাংশু-হাসেম-মজিদসহ কমরেডদের রক্তে কমিউনিস্ট পার্টির পতাকা আরো লাল হয়েছে। ঘাতকরা কমিউনিস্ট পার্টিকে দমাতে পারে নাই।
বাংলাদেশে ‘৭০, ৮০, ৯০’ এর দশকে এবং তারও আগে যতো গণতান্ত্রিক আন্দোলন হয়েছে এবং মেহনতি শ্রমিক শ্রেণির দাবির পক্ষের লড়াই হয়েছে সবসময় তার কেন্দ্রিক ভূমিকায় ছিল সিপিবি। ‘৯০-এর গণঅভ্যুত্থানের হেড কোয়াটার ছিল পল্টনের সিপিবি অফিস। ৩-জোটের আন্দোলনের কন্ট্রোল রুমটি ছিল এখানেই। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত যারা মন্ত্রী হয়েছেন (জামাত ছাড়া) তারা সিপিবি অফিসের লাল চা খায় নাই এমন কথা তাদের কেউ বলতে পারবে না। এই বিষয়টি দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সাম্রাজ্যবাদী শক্তির চোখ এড়ায়নি। চোখ এড়ায়নি প্রতিবেশী দেশগুলোর প্রতিক্রিয়াশীলদেরও।
তাদের প্ল্যান অনুযায়ীই সিপিবির উত্থানকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র হয়। ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস এ ব্যাপারে প্রত্যক্ষ অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে। ‘৯৩-এ পার্টির ওপর আঘাত আসা স্বত্ত্বেও তৃণমূল কমরেড ও নেতৃত্বের বলিষ্ঠ ভূমিকায় পার্টি যখন আবার মাথা তুলে দাঁড়াতে শুরু করলো তখন বিষয়টি আবার প্রতিক্রিয়াশীলদের চক্ষুশূল হয়ে উঠলো। তাই আবার ২০ জানুয়ারি আক্রমণ।
তবে পার্টি দুর্বল হয়নি। নব উদ্যমে এগিয়ে চলেছে মেহনতি মানুষের লড়াই-সংগ্রামের ঝান্ডা নিয়ে। গার্মেন্টস শ্রমিক, ক্ষেতমজুর, কৃষক, ছাত্র-যুব, মহিলা, বুদ্ধিজীবী, শিশু-কিশোর, সাংবাদিকসহ সব পেশার মানুষের মধ্যে পার্টি কমরেডরা অসহনীয় দুঃখ-কষ্টের মধ্যে উদ্যোগের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। কমিউনিস্ট পার্টিকে ধ্বংস করা যায় না, যারা ধ্বংস করার জন্য চেষ্টা করে তারাই ধ্বংস হয়ে যায়- বলছেন পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কমরেড মণি সিংহ। শুধু দরকার মার্কসবাদ, লেনিনবাদ ও তা সৃজনশীলভাবে প্রয়োগের ধারায় নিজেকে সজ্জ্বিত করে সমাজ বিপ্লবের লক্ষ্যে মেহনতি মানুষের লড়াই-সংগ্রাম-সংগঠন করার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়া। মনে রাখতে হবে বিশ্ব সাম্রাজ্যবাদ আজ গরিব দেশগুলোতে ভোগবাদী কর্পোরেট সংস্কৃতি গড়ে তুলে সমাজ বিপ্লবকে ঠেকানোর জন্য নানা রকমের ফাঁদ পেতেছে। তাকে মোকাবিলা করেই এগিয়ে যেতে হবে।
লেখক: প্রয়াত প্রেসিডিয়াম সদস্য সিপিবি এবং সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ কৃষক সমিতি
Login to comment..