হঠাৎ ঘোষণায় নিউ জিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়ছেন জেসিন্ডা

Facebook Twitter Google Digg Reddit LinkedIn StumbleUpon Email

একতা বিদেশ ডেস্ক : সবাইকে অবাক করে প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন নিউ জিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা অরডার্ন। ১৯ জানুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে অরডার্ন জানান, দেশের নেতৃত্ব দেওয়া অব্যাহত রাখতে তিনি আর ‘সমর্থন চাইবেন না’ এবং ফেব্রুয়ারির প্রথমদিকেই পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন আর পরবর্তী নির্বাচনে প্রার্থীও হবেন না। চোখের পানি সংবরণ করে ৪২ বছরের এই নারী বলেন, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপালন করা সাড়ে পাঁচ বছর কঠিন সময় ছিল এবং তিনি কেবল একজন মানুষ এবং তার সরে দাঁড়ানো দরকার। তিনি বলেন, ‘এই গ্রীষ্মে, আমি শুধুমাত্র আরেকটি বছরের জন্য না, আরেকটি মেয়াদের জন্য প্রস্তুত হওয়ার একটি উপায় খুঁজে পাওয়ার আশা করেছিলাম- কারণ এই বছরের জন্য এটিই প্রয়োজন। আমি তা করতে পারিনি। আমি জানি এই সিদ্ধান্তের পর এর তথাকথিত ‘প্রকৃত’ কারণ কী ছিল তা নিয়ে অনেক আলোচনা হবে.. কিন্তু আপনারা যা পাবেন তা হল বড় কিছু চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে ছয় বছর পার করার পরেও আমি মানুষ।’ ‘রাজনীতিকরা মানুষ। আমরা যতটা পারি, যতদিন পারি, সবই দেই তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় আসে। আর আমার জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এসে গেছে।’ অরডার্ন জানিয়েছেন, কাজ কঠিন ছিল এর জন্য সরে দাঁড়াচ্ছেন না তিনি, বরং অন্যরা আরও ভালো করবে বলে মনে করেন তিনি। চলতি বছর অরডার্নের কন্যা নেভের স্কুলজীবন শুরু হবে। ওই সময় তিনি কন্যার পাশে থাকার জন্য উন্মুখ হয়ে আছেন, এখন নেভেকে এটি বলতে পারবেন এবং দীর্ঘদিনের জীবনসঙ্গী ক্লার্ক গেফোর্ডকে ‘এখন তাদের বিয়ে করার সময় হয়েছে’ বলে জানাতে পারবেন বলে জানিয়েছেন নিউ জিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী। নেতা হিসেবে অরডার্নের মেয়াদ ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ হবে। এর মধ্যেই নিউ জিল্যান্ডের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির নতুন নেতা নির্বাচনের জন্য ভোট হবে। তিনি আগামী ১৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া সাধারণ নির্বাচন পর্যন্ত দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপালন করবেন। বিভিন্ন জনমত জরিপে অক্টোবরের নির্বাচনে জিতে পুনরায় ক্ষমতায় আসতে তার দল লেবার পার্টিকে যে কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে সে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। দলে তার স্থলাভিষিক্ত হতে যারা আগ্রহী, তাদের কাউকে প্রকাশ্যে সমর্থন দেবেন না বলেও জানিয়েছেন অরডার্ন। নিউ জিল্যান্ডর উপপ্রধানমন্ত্রী গ্রান্ড রবার্টসন এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, পরবর্তী লেবার নেতা হওয়ার দৌঁড়ে নামতে চান না তিনি। রাজনীতি বিশ্লেষক বেন টমাস বলেছেন, অরডার্নের ঘোষণা বিরাট এক বিস্ময়, কারণ ২০২০ এর নির্বাচনের সময় দেখা তার দলের আকাশচুম্বি জনপ্রিয়তা পরবর্তীতে হ্রাস পেলেও দেশের পছন্দের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সবগুলো জরিপে এগিয়ে আছেন তিনি।

Print প্রিন্ট উপোযোগী ভার্সন



Login to comment..
New user? Register..