কিউবার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরও নিষেধাজ্ঞা

Facebook Twitter Google Digg Reddit LinkedIn StumbleUpon Email
একতা বিদেশ ডেস্ক : কিউবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি ইউনিটের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের সপ্তাহখানেক পর এবার দেশটির পুলিশ বাহিনী ও এর দুই শীর্ষ কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিল যুক্তরাষ্ট্র। ক্যারিবীয় দেশটিতে চলতি মাসের সরকারবিরোধী বিক্ষোভে দমনপীড়ন চালানোর অভিযোগে ৩০ জুলাই ওয়াশিংটন এ নতুন নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কিউবান-আমেরিকান নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে হাভানার বিরুদ্ধে আরও ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, ১১ জুলাই কিউবায় শুরু হওয়া শান্তিপূর্ণ, গণতন্ত্রপন্থি বিক্ষোভ চাপা দিতে নেওয়া পদক্ষেপের পাল্টায় তাদের এ নিষেধাজ্ঞা। এবারের নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্যবস্তু হচ্ছে কিউবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা ন্যাশনাল পুলিশ বাহিনী ও এর দুই শীর্ষ কর্মকর্তা, বলেছে মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়। কিউবার পুলিশ ও এর কর্মকর্তাদের উপর এ নিষেধাজ্ঞা খুব একটা প্রভাব ফেলবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। যে কারণে একে ‘প্রতীকী’ নিষেধাজ্ঞা বলা হচ্ছে। “আরও ব্যবস্থা নেওয়া হবে, যদি না কিউবায় নাটকীয় কোনো পরিবর্তন আসে। তবে মনে হচ্ছে না তেমনটা (পরিবর্তন) হবে,” হোয়াইট হাউসে কিউবান-আমেরিকান নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এমনটাই বলেছেন বাইডেন। যুক্তরাষ্ট্র থেকে কিউবায় কী উপায়ে রেমিট্যান্স পাঠালে সেখান থেকে হাভানা সরকার লাভ করতে পারবে না, তা এক মাসের মধ্যে জানাতে অর্থ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। কমিউনিস্ট পার্টিশাসিত দেশটিতে জুলাইয়ের মাঝামাঝি সরকারবিরোধী বিক্ষোভ দেখা দিলেও, কর্তৃপক্ষ দ্রুতই তা নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। কিউবার প্রেসিডেন্ট মিগেল দিয়াজ-কানেল এই বিক্ষোভের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেছন, বিক্ষোভকারীদের অনেকে দেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যার সমাধান আন্তরিকভাবে চাইলেও তারা যুক্তরাষ্ট্রের সাজানো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রচারে বিভ্রান্ত হয়েছেন। দেশটির সরকারপন্থিরা পরে হাভানাসহ একাধিক শহরে ‘যুক্তরাষ্ট্রের চক্রান্তের’ বিরুদ্ধে সমাবেশও করে। সপ্তাহখানেক আগে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় কিউবায় বিক্ষোভ দমন ও কয়েকশ বিক্ষোভকারীকে আটকের ঘটনায় ক্যারিবীয় দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি বিশেষ ইউনিটের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। ওয়াশিংটনের একের পর এক নিষেধাজ্ঞার বিপরীতে অনেক দেশ কিউবার পাশে এসেও দাঁড়িয়েছে।ক্যারিবীয় দেশটিতে খাবার, ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম পাঠিয়েছে মেক্সিকো, রাশিয়া ও বলিভিয়া। ভিয়েতনাম জানিয়েছে, তারাও শিগগিরই কিউবায় ১২ হাজার টন চাল পাঠাবে।

Print প্রিন্ট উপোযোগী ভার্সন



Login to comment..
New user? Register..