এগিয়ে গেলো চার্জার

Posted: 13 অক্টোবর, 2019

একতা প্রতিবেদক : বালিশ ও পর্দার মূল্যকে এবার পেছনে ফেলে দিয়েছে মোবাইলের চার্জার। একটা চার্জারের দাম যদি ২২ হাজার ২৯০ টাকা হয়। তাহলে বালিশের কাভারের দাম ২৮ হাজার টাকা হলে সে আর তেমন কি? আসলে কিছুই না। আর পর্দা সেতো আরো মেলা বড় বড় জিনিস তার দামও নিশ্চয় আরেকটু বেশিই হবে। বিভিন্ন পত্রপত্রিকা সূত্রে জানা গেছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) কর্মকর্তাদের জন্য ২০১৭ সালে কেনা হয় কিছু মোবাইল ফোন, আইপ্যাড, মোবাইলের কভার ও চার্জার। আর সেই চার্জারের দামই হচ্ছে প্রায় সাড়ে বাইশ হাজার টাকা। যখন এই চার্জার কেনা হয়েছিল তখন দায়িত্বে ছিলেন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের অবসরে যাওয়া সদস্য সুলতান উল আবেদীন মোল্লা। সেই তিনি এখন অবসরে গিয়েছেন। কিন্তু এই চার্জারের অবিশ্বাস্য মূল্য তার চিরকালীন অবকাশ যাপনে কিছুটা বিঘ্ন ঘটিয়েছে। সাংবাদিকরা তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেছেন এসব বিষয়ে তিনি বিন্দু পরিমাণ কিছু জানেন না। তিনার অগোচরে এই কাণ্ড কারা করেছে তাও বলতে পারেন না। তার দাবি ‘আইডিআরএ থেকে কখনও মোবাইলের চার্জার কেনা বাবদ তিনি কোনো টাকা নেননি’। অবশ্য তার অভিমত একটা চার্জারের দাম কিছুতেই এতো টাকা হতে পারে না। তিনার মতে এখন তো বালিশসহ কতো কিছু বেরিয়ে আসছে। এখন খরচের খাতে তিনার নাম দেখালে কিছু করার নেই। কারণ তিনি আর এখন সেখানে চাকরি করেন না। অবসর যাপনে আছেন। অতএব কেউ যদি তিনার নাম বলেন তার দায়দায়িত্বও মোল্লা সাহেবের নয়। কারণ তিনার অগোচরে কেউ যদি ৫০০ টাকা দামের চার্জার সাড়ে বাইশ হাজার টাকা কিনে থাকে তিনিই বা কি করবেন। বড় পদ বলে কথা! কতো দিকে নজর রাখতে হয়েছে। তিনি কি আর জানতেন একটি ক্ষুদ্র চার্জার এতোটা বৃহৎ আকার ধারণ করবে। জানলে নিশ্চয় চার্জার কেনার দিকেও খেয়াল রাখতেন। তবে জানা মতে যে তিনি এতো দাম দিয়ে চার্জার কেনেননি এটা হলফ করে বলেছেন। সে যাই হোক পাবলিকের টাকার বাঁশ গেলেও, একটা অমূল্য চার্জার তো আমরা পেয়েছি।