৩ কারখানায় ১৬৭ শ্রমিক চাকরিচ্যুত, শ্রম অধিদপ্তর ঘেরাও

Posted: 20 অক্টোবর, 2019

একতা প্রতিবেদক : দক্ষিণখানের চালাবনে অবস্থিত চৈতী গ্রুপের আশিক জিন্স এ্যাপারেলস লিমিটেড, নাইস এ্যাপারেলস লিমিটেড, আশিক ড্রেস ডিজাইন লিমিটেডে ট্রেড ইউনিয়ন করার কারণে ইউনিয়নের নেতৃত্ব ও সদস্যদের মধ্যে ১৬৭ জনকে পুলিশ দিয়ে আটকে রেখে লিখিত ও বিভিন্ন অলিখিত কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে বেআইনিভাবে চাকুরিচ্যুতি করার প্রতিবাদে শ্রম অধিদপ্তর ঘেরাও করেছে গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র। গত ১৩ অক্টোবর এ ঘেরাও কর্মসূচিতে কার্যকরি সভাপতি রুহুল আমীনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন শ্রমিকনেতা মন্টু ঘোষ, জলি তালুকদার, সাদেকুর রহমান শামীম, ইকবার হোসেন, জয়নাল আবেদীন, মঞ্জুর মঈন, শফিকুল ইসলাম, বিল্লাল হোসেন, ফেরদৌসী, শফিক, হৃদয়, জাহানারা, বাচ্চু, শংকর, কামরুল। তিন কারখানার শ্রমিকরা অভিযোগ করেছেন, যেসব শ্রমিক সেদিন স্বাক্ষর দিতে অস্বীকার করেছিল তাদের ওপর শারীরিকভাবে নির্যাতন ও নারী শ্রমিকদেরকে লাঞ্ছিত করা হয়। ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দের জীবননাশেরও হুমকি দেয়া হয়। নেতৃবৃন্দ বলেন, গত ৬ সেপ্টেম্বর উক্ত ইউনিয়নগুলো নিবন্ধনের জন্য রেজিস্টার অব ট্রেড ইউনিয়নের দপ্তরে আবেদন করে। বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ এর ধারা ১৮৬ তে উল্লেখ্য যে, ‘রেজিস্ট্রিকরণের দরখাস্ত অনিম্পন্ন থাকাকালে চাকুরির শর্তাবলী অপরিবর্তিত থাকিবে (১) কোন মালিক উহার প্রতিষ্ঠানে গঠিত কোন ট্রেড ইউনিয়নের রেজিস্ট্রিকরণের দরখাস্ত অনিম্পন্ন থাকাকালে ইউনিয়নের কোন কর্মকর্তার অসুবিধা হয় এরূপভাবে তাহার দরখাস্ত পূর্ব চাকুরির শর্তাবলীর কোন পরিবর্তন করিবেন না (২) কোন দরখাস্ত অনিম্পন্ন থাকাকালে উক্ত ট্রেড ইউনিযনের সদস্য এরূপ কোন শ্রমিকের চাকুরি অবসান করিতে পারিবেন না।’ শ্রম আইনের ধারা ১৯৫ অনুসারে ট্রেড ইউনিয়নের কোন কার্যক্রমে বাধাদান, কোন নেতৃত্ব বা সদস্যকে চাকুরির অবসান, ভীতি প্রদর্শন, বল প্রয়োগ, চাপ প্রয়োগ, হুমকি প্রদর্শন কোন স্থানে আটক, শারীরিক আঘাত বা অন্য কোন পন্থা অবলম্বন করিয়া ট্রেড ইউনিয়নের কাজে বাধাদান অসৎ শ্রম আচরণ এবং এন্ট্রি ট্রেড ইউনিয়ন ডিসক্রিমিনেশনের সামিল এবং ফৌজদারী অপরাধ। এহেন কর্মকাণ্ড আইএলও কনভেনশন ৮৭ ও ৯৮ পরিপন্থী বিধায় চাকুরিচ্যুত ১৬৭ জন শ্রমিককে চাকুরিতে পুনর্বহাল করতে হবে। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে সরকার ও শ্রম অধিদপ্তরকে ট্রেড ইউনিয়ন করার বাধাদানাকারী মালিকদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া এবং উত্তরায় উদ্ভূত পরিস্থিতিকে স্বাভাবিক করার আহ্বান জানান। আন্দোলনের চাপে শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সাথে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। শ্রম পরিচালক পরে ১৪ অক্টোবর সকালে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক আহ্বান করেন।