ব্যাংক ও আর্থিক খাতে দুর্নীতি

Posted: 11 ফেব্রুয়ারী, 2018

আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন : বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে ব্যাংক ও আর্থিক খাতে সংঘটিত অন্যতম দুর্নীতিসমূহ: ১) ২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে সংরক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে প্রায় ৮০০ কোটি টাকার সমপরিমাণ ডলার চুরির ঘটনা। ২) আইন ও বিধিমালার তোয়াক্কা না করেই রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বেসিক ব্যাংক থেকে ২০১২-১৩ অর্থবছরের মাত্র ১১টি পর্ষদ সভায় ৩ হাজার ৪৯৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা ঋণ দেয়া হয়। এভাবে অনিয়ম করে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার মতো ভুয়া ঋণ সৃষ্টি করে তা হাতিয়ে নেয়া হয়। ৩) ২০১২ সালে সোনালী ব্যাংক থেকে হলমার্ক নামক একটা প্রতিষ্ঠানকে প্রায় ৪ হাজার ৫৪৭ কোটি টাকা ঋণ দেয়া হয় যা বর্তমানে কুঋণে পরিণত হয়েছে। ৪) ২০১১ ও ২০১২ সালে টেরিটাওয়েল প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বিসমিল্লাহ গ্রুপ দেশের পাঁচটি ব্যাংক থেকে জালিয়াতি করে প্রায় ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। (জনতা ৩৯২ কোটি, প্রাইম ৩০৬ কোটি, যমুনা ১৬ কোটি, শাহজালাল ১৪৮ কোটি, প্রিমিয়ার ৬২ কোটি টাকা)। ৫) আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ম খা আলমগীর, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিদ্দীকী নাজমুলের মালিকানাধীন বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক ফারমার্স ব্যাংক দেউলিয়ায় পরিণত হয়েছে। জনগণের সংরক্ষিত আমানত ফেরত দিতে অক্ষম হয়ে পড়েছে ব্যাংকটি। ৬) জনতা ব্যাংক ২০১০ সাল থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে আইন ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণ প্রদান নির্দেশিকা লংঘন করে একটি গ্রুপকে ৫ হাজার ৪০৪ কোটি টাকার ফাণ্ডেড, নন ফাণ্ডেড ঋণ প্রদান করে। যা বর্তমানে পুরোটাই ফাণ্ডেডে পরিণত হয়েছে। ৭) আওয়ামী লীগ আমলে ১৯৯৬ সালে প্রথমবার পুঁজিবাজারে বিশাল ধ্বস নামে। দ্বিতীয় ধ্বস নামে ২০১০ সালে আওয়ামী লীগ আমলে। ওই কেলেংকারীতে লাখ লাখ বিনিয়োগকারী অন্তত ১৫ হাজার কোটি টাকা খুইয়েছেন। ১৯৯৬ ও ২০১০ উভয় ধ্বসের সৃষ্টিকারী ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অন্যতম উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। ৮) ২০১২ সালে দুর্নীতি দমন কমিশন ডেসটিনির বিরুদ্ধে প্রায় ৪ হাজার ১১৯ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ আনে। ৯) বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্ণর ফরাস উদ্দিন হিসাব করে দেখান ১১ বছরে (২০০৪-১৪) সাড়ে ৬ হাজার কোটি ডলার বিদেশে পাচার হয়ে গেছে।