নির্মাণ শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আব্দুর রাজ্জাক আমৃত্যু লড়াই করেছেন
Posted: 12 অক্টোবর, 2025
একতা প্রতিবেদক :
ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন বাংলাদেশ (ইনসাব) এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের (টিইউসির) কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও ঢাকা মহানগর কমিটির সভাপতি প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা আব্দুর রাজ্জাকের মৃত্যুতে শোকসভার আয়োজন করে বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র (টিইউসি)।
গত ১০ অক্টোবর বিকেলে টিইউসির উদ্যোগে শোকসভাটি অনুষ্ঠিত হয়। রাজধানীর পুরানা পল্টনস্থ মণি সিংহ-ফরহাদ স্মৃতি ট্রাস্ট ভবনের শহীদ-মুনীর আজাদ সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত উক্ত শোকসভায় সভাপতিত্ব করেন টিইউসির সহ-সভাপতি মাহবুব আলম। শোকসভার শুরুতে আব্দুর রাজ্জাক এর জীবন সংগ্রাম স্মরণে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন টিইউসির দপ্তর সম্পাদক সাহিদা পারভীন শিখা।
শোকসভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ) এর যুগ্ম সমন্বয়কারী আব্দুল কাদের হাওলাদার, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব বুলবুল, প্রয়াত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে আরিফুল ইসলাম রাজিব, টিইউসির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মালেক, অর্থ সম্পাদক কাজী মো. রুহুল আমিন, প্রচার সম্পাদক মোবারক হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা ইদ্রিস আলী, হাফিজুল ইসলাম, ইনসাব নেতা আলী হোসেন, আজিজুর রহমান আজিজ, সায়েরা খাতুন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, মো. আব্দুর রাজ্জাক ৯০ এর দশকের শুরুর দিকে নির্মাণ শ্রমিকদের সংগঠিত করার কাজে আত্ননিয়োগ করেন। শ্রমিক থেকে হয়ে উঠেন এদেশের লক্ষ লক্ষ নির্মাণ শ্রমিকদের আস্থাভাজন নেতা। নির্মাণ শ্রমিকদের অধিকার সচেতন ও সংগঠিত করে ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন বাংলাদেশ (ইনসাব) গঠন এবং সারাদেশে নির্মাণ শ্রমিকদের একটি শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে গড়ে তুলতে তার অবদান অতুলনীয়। ইতিমধ্যে ইনসাব বাংলাদেশের নির্মাণ শ্রমিকদের আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী সর্ববৃহৎ প্রধান সংগঠন হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছে। তিনি নিরলসভাবে জীবনের দীর্ঘ সময় নির্মাণ শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের পরিক্ষিত নেতা হিসেবে ইনসাবের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। বিশেষভাবে নির্মাণ শ্রমিকদের ১২ দফা দাবি প্রণয়ন ও আদায়ের সংগ্রামে তিনিই ছিলেন প্রধান নেতা। তিনি নির্মাণ শ্রমিকদের কল্যাণে অসংখ্য পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। তার নেতৃত্বে¡ বহু সফল আন্দোলন হয়েছে, যা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখেছে। শ্রমিক আন্দোলনের পাশাপাশি সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের নেতৃত্বে থেকে সামাজিক ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার্থে তিনি অনন্য ভুমিকা পালন করেছেন।
তিনি শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের সাথে শোষণ-বৈষম্যহীন সমাজ বিনির্মাণের চেতনায় উদ্ভুদ্ধ হয়ে নানাবিধ ভূমিকা রাখেন। তার মুত্যুতে এদেশের নির্মাণ শ্রমিকসহ অপরাপর শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।