বন্দর রক্ষায় সভা সমাবেশের কর্মসূচি বামজোটের

Posted: 12 অক্টোবর, 2025

১৬ অক্টোবর মৈত্রী মিলনায়তনে মতবিনিময় সভা একতা প্রতিবেদক : বাম গণতান্ত্রিক জোট কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সভা গত ৭ অক্টোবর বাসদ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। বাম জোটের সমন্বয়ক ও বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন সিপিবির সভাপতি সাজ্জাদ জহির চন্দন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ কাফি রতন, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাসদ (মার্কসবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা, সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী ও বাসদের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নিখিল দাস। সভার এক সিদ্ধান্তে- চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল বিদেশি কোম্পনিকে ইজারা দেওয়ার প্রতিবাদে ১৬ অক্টোবর ২০২৫ সকাল সাড়ে ১১টায় মৈত্রী মিলনায়তনে মতবিনিময় সভা এবং একই দাবিতে ২৭ অক্টোবর ২০২৫ নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সামনে সকাল ১১টায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে বলে। সভা থেকে, দেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা স্বাধীন জাতীয় বিকাশের নীতির বিপরীতে সাম্রাজ্যবাদের কাছে নতজানু হয়ে দেশ পরিচালনা করা এবং অর্থনৈতিক সংকট ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। সভার এক প্রস্তাবে জনমত উপেক্ষা করে চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশি কোম্পানির কাছে হ্যান্ডলিং এর জন্য ইজারা দেওয়ার প্রক্রিয়া এগিয়ে নেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে অবিলম্বে জনমতের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে সাম্রাজ্যবাদের ক্রীড়ানক হিসাবে জাতীয় স্বার্থ জলাঞ্জলি দেওয়া থেকে বিরত থাকার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানানো হয়। সভায় গণশুনানি ছাড়া এলপিজির দাম বৃদ্ধি এবং গণশুনানির নামে নাটক মঞ্চস্থ করে গ্যাস, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির উদ্যোগকে শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট শাসনামলের ধারাবাহিকতায় উদ্বেগ প্রকাশ করে- অবিলম্বে গ্যাস-বিদ্যুসহ জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির পাঁয়তারা বন্ধ করার দাবি জানানো হয়। সভার আরেক প্রস্তাবে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কারের কথা বলতে বলতে মানুষের কান ঝালাপালা করে ফেললেও আসল সংস্কার জনগণের জীবন-জীবিকা তথা দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, কর্মসংস্থান, জানমালের নিরাপত্তা বিধানে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছেন। সর্বোপরি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় উত্তরণে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠ, গ্রহণযোগ্য অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে এখনও জনগণের সংশয় দূর করতে পারেনি। ফলে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে শাসন ক্ষমতা হস্তান্তরের বিষয়ে দেশবাসীর সংশয় দূর করতে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ তথা নির্বাচন তফসিল ঘোষণার দাবি জানান। একই সাথে নির্বাচনে টাকার খেলা, পেশী শক্তির দৌরাত্ম ও সাম্প্রদায়িকতা বন্ধসহ গণতান্ত্রিক নির্বাচন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় জোর দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।