বাতিল হচ্ছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ‘মামলা ও সাজা’

Posted: 12 অক্টোবর, 2025

একতা প্রতিবেদক : প্রতিবাদ, সমালোচনা, আপত্তির মুখে দুই বছর আগে বাতিল করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সব মামলা বাতিল ঘোষণা করে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশে একটি ধারা যুক্ত করেছে সরকার। আইনটির ৫০ ধারার ৪ উপ-ধারার পর নতুন করে (৪ক) উপ-ধারা যুক্ত করা হয়েছে। এর ফলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কয়েকটি ধারায় কারও সাজা হয়ে থাকলে তা বাতিল বলে গণ্য হবে। তদন্তাধীন মামলাও বাতিল হবে। গত ৯ অক্টোবর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই সংশোধনের অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে তাঁর কার্যালয়ে এই বৈঠক হয়। পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলন করে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান প্রধান উপদেষ্টার তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী। উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন হওয়া খসড়ায় বলা হয়, রহিত করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ এর ২১, ২৪, ২৫, ২৬, ২৭, ২৮, ২৯ ও ৩১ ধারাগুলোর অপরাধ সংঘটনে সহায়তার অপরাধে কোনো আদালত বা ট্রাইব্যুনালে নিষ্পন্নাধীন কোনো মামলা বা অন্যান্য কার্যধারা অথবা পুলিশ কর্মকর্তা বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষের কাছে তদন্তাধীন মামলা বা কার্যক্রম বাতিল হবে এবং এ বিষয়ে আর কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করা যাবে না। এ ছাড়া ওই ধারাগুলোর অধীন কোনো আদালত বা ট্রাইব্যুনালের দেওয়া দণ্ড ও জরিমানা বাতিল বলে গণ্য হবে। বৈঠক শেষে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব সাংবাদিকদের বলেন, ‘২০১৮ সালের ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের অধীনে হওয়া সব মামলা বাতিল করা হয়েছে। এর ফলে ওই আইনে সাজাপ্রাপ্ত ও মামলায় অভিযুক্ত সবাই মুক্তি পেয়েছেন।’ ভার্চুয়াল জগতের অপরাধ দমনে ২০১৮ সালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করে আওয়ামী লীগ সরকার। শুরু থেকেই আইনটির বেশ কিছু ‘নিবর্তনমূলক’ ধারা নিয়ে আপত্তি ওঠে। সমালোচনা ও প্রতিবাদের মুখে ২০২৩ সালে আইনটি রহিত করে সাইবার নিরাপত্তা আইন করে সরকার। অন্তর্বর্তী সরকার এসে সেটা আরও সংশোধন করে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ করে। সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের পাশাপাশি ‘ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫’ এবং ‘জাতীয় উপাত্ত সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫’ অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ।