ধাপ্পা

Posted: 04 এপ্রিল, 2021

একতা প্রতিবেদক : দুই দফায় ভোট হয়েছে ৬০ আসনে। কিন্তু দুই দল এরই মধ্যে জিতে গেছে ৫০+৫০, ১০০ আসনে। অবশ্য এবার ভোটের যে তাপ, তাতে ভুতুড়ে কিছু আসন যোগ হয়ে গেলেও অবাক হওয়া যাবে না। বলছিলাম, পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে। ৮ দফার নির্বাচন শুরু হয়েছে ২৭ মার্চ। ১ এপ্রিল দ্বিতীয় দফার ভোটও হয়ে গেছে। ২৯৪টি আসনের মধ্যে ৬০টিতে লড়াই কেবল শেষ হল। এখনও বিস্তর দূর। কিন্তু দুই ফুলের শীর্ষ কর্মকর্তারা ‘এখনই জিতে গেছি’ এমন একটা ভাব নিয়ে হাজির। কাউকে গণায় ধরছেন না তারা। তাদের ধামাধরা গণমাধ্যমে বাম-কংগ্রেস-আইএসএফের সংযুক্ত মোর্চার নামগন্ধও নেই। কিন্তু ১ এপ্রিল নন্দীগ্রামের হাইভোল্টেজ আসনে সংযুক্ত মোর্চার এজেন্টই সব কেন্দ্রে ছিল। বিজেপি বা তৃণমূলের সব কেন্দ্রে ছিল না। অবশ্য এটা তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়, এজেন্ট থাকলেই তো আর ভোটে জেতা নিশ্চিত হল না। তা যা হোক, দুই দফার ভোট শেষে অন্য আসনের প্রচারে গিয়ে মমতা দাবি করেছেন, তৃণমূলকে নিয়ে চিন্তা নেই। ৬০ আসনের মধ্যে ৫০টিতে জিতেই গেছে; বাকি ২৩৪টিতে ৯৮ এর চেয়েও অনেক অনেক বেশি পাবে। কথা বাসি হতে পারেনি। একই ‘টোন’ অমিত শাহেরও। বললেন, ২ মে দিদিকে গুডবাই বলে দেবে পশ্চিমবঙ্গ। বিজেপিতো ৬০ এ ৫০টা জিতেই আছে। কে জানে, আমরা হয়তো ভোট শেষ হওয়ার আগেই তৃণমূল আর বিজেপি কাকে কাকে নিয়ে মন্ত্রিসভা বানাবে সে কথাও শুনে ফেলবো। হাসি তামাশা করছি ঠিকই; কিন্তু দেখা গেল, মমতা আর মোদী দুজনেই সত্যি কথা বলছেন। কে যে কখন তৃণমূল আর কখন বিজেপি, তা বোঝাই তো মুশকিল। দেখা গেল, ভোটে জিতল ঘাসফুলের ব্যানারে, কিন্তু শপথ নিল পদ্মফুলে। হয়তো এ তরিকাতেই দু’জনে সত্যি কথাই বলছেন। অবশ্য এদের ধাপ্পা দেওয়ার অভ্যাসও তো পুরনো নয়। যা হোক, তাও তো পশ্চিমবঙ্গের ভোট নিয়ে কথা বলা যাচ্ছে, সমালোচনা করা যাচ্ছে, ভুতুড়ে আসনের হিসাব নেওয়া যাচ্ছে। আমাদের এখানে তো ভোটই...।