করোনাকালেও কমেনি ধর্ষণ-নির্যাতন

Posted: 24 জানুয়ারী, 2021

একতা প্রতিবেদক : বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ জানিয়েছে, করোনাকালে দেশে ধর্ষণ-নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তিন হাজার ৪৪০ নারী ও কন্যাশিশু। ২০২০ সালে নারী ও শিশু নির্যাতন উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়ে এক হাজার ৩৪৬ কন্যাশিশু ও নারী ধর্ষণের ঘটনাসহ মোট তিন হাজার ৪৪০ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্য থেকে মহিলা পরিষদ এই পরিসংখ্যান জানিয়েছে। সংগঠনের লিগ্যাল এইড উপপরিষদে সংরক্ষিত ১৩টি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে এ জরিপ প্রকাশ করা হয়েছে। সংবাদ অনুসারে, ২০২০ সালের মোট ৩৪৪০ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে এক হাজার ৭৪ জন ধর্ষণ, ২৩৬ জন গণধর্ষণ ও ৩৩ জন ধর্ষণের পর হত্যা ও তিনজন ধর্ষণের কারণে আত্মহত্যাসহ মোট এক হাজার ৩৪৬ জন নারী ও কন্যাশিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ছাড়া ২০০ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। মহিলা পরিষদ আরো জানিয়েছে, শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছে ৪৩ জন। ৭৪ জন যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে। এসিডদগ্ধের শিকার হয়েছে ২৫ জন। এর মধ্যে এসিডদগ্ধের কারণে মৃত্যু হয়েছে চারজনের। অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছে ২৯ জন, তার মধ্যে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। উত্ত্যক্তকরণের শিকার হয়েছে ৫৯ জন। অপহরণের ঘটনা ঘটেছে মোট ১২৫ জন। পাচারের শিকার হয়েছে ১০১ জন। তার মধ্যে পতিতালয়ে বিক্রি করা হয়েছে চারজনকে। বিভিন্ন কারণে ৪৬৮ জন নারী ও শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া ৩৫ জনকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। যৌতুকের কারণে নির্যাতন হয়েছে ১১৭ জন, তার মধ্যে ৫২ জন যৌতুকের কারণে হত্যা হয়েছে। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১৫৯ জন। বিভিন্ন নির্যাতনের কারণে ১৬৪ জনকে বাধ্য করা হয়েছে। ২৫২ জন নারী ও কন্যাশিশুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। বাল্যবিয়ে সংক্রান্ত ঘটনা ঘটেছে ১১৭টি, তার মধ্যে বাল্যবিয়ের চেষ্টা ৩৩টি। সাইবার ক্রাইম অপরাধের শিকার হয়েছে ৪৩ জন।