বন্যা মোকাবেলা করুন, সীমান্তে হত্যা বন্ধে ভারতকে চাপ দিন

Posted: 05 জুলাই, 2020

একতা প্রতিবেদক : বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সভা থেকে সুনামগঞ্জ ও দেশের উত্তরাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বন্যা মোকাবেলায় আগাম প্রস্তুতি নেয়া এবং বন্যার্তদের প্রয়োজনীয় ত্রাণ সহায়তা প্রদানের জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানানো হয়। গত ৩০ জুন বাম জোটের সমন্বয়ক ও বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বজলুর রশীদ ফিরোজের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাদিুল ইসলাম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম, বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাসদ (মার্কসবাদী)’র সাধারণ সম্পাদক ড মুবিনুল হায়দার চৌধুরী, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহ্বায়ক হামিদুল হক। সভার এক প্রস্তাবে করোনা শনাক্তকরণ পরীক্ষায় সরকারি হাসপাতালে ফি নির্ধারণের সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে গণবিরোধী এই সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়েছেন। প্রস্তাবে বলা হয়, এমনিতেই করোনা উপসর্গ গোপন করার প্রবণতা জনগণের রয়েছে বলে শোনা যায় এর ওপর টেস্টে ফি লাগলে সাধারণ দরিদ্র জনগণ আর কেউ টেস্ট করাতে যাবে না। এতে করে করোনা সংক্রমণ বহুগুনে বেড়ে যাবে। ফলে সকল নাগরিকের করোনা টেস্ট ও চিকিৎসা রাষ্ট্রীয় দায়িত্বেই করতে হবে। সভার অন্য এক প্রস্তাবে ভারতের বিএসএফ কর্তৃক সীমান্তে অব্যাহতভাবে বাংলাদেশী হত্যার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয় বিজিবি এবং বিএসএফ এর মধ্যে চুক্তি রয়েছে সীমান্তে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার না করার। ভারতও বার বার বলছে সীমান্ত হত্যা বন্ধে তারা কার্যকর উদ্যোগ নেবে কিন্তু বিএসএফ ও ভারত সরকারের কোন আশ্বাসই কাজে আসছে না। অপর দিকে বাংলাদেশের সরকার নতজানু নীতি গ্রহণ করে সীমান্ত হত্যা বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ নিচ্ছে না। বাম নেতৃবৃন্দ নতজানু নীতি পরিহার করে সীমান্ত হত্যা বন্ধে ভারতকে কার্যকর চাপ প্রয়োগ করার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান।