মার্কসবাদ

মোহাম্মদ ফরহাদের রচনা

Facebook Twitter Google Digg Reddit LinkedIn StumbleUpon Email
(কমিউনিস্ট পার্টির নেতা ও অন্যতম নির্মাতা হিসেবে কমরেড মোহাম্মদ ফরহাদ ছিলেন একজন প্রথম শ্রেণির প্রচারক, এপাগানডিস্ট। ষাটের দশকে অল্প কিছুদিন তিনি পেশাদার সাংবাদিকও ছিলেন। আইয়ুব সরকারের স্বৈর শাসনামলে হুলিয়া মাথায় নিয়ে ছদ্মনামে কলাম লিখেছেন দৈনিক পত্রিকায়। পার্টি নেতা হিসেবে পার্টির বহু দলিলের খসড়া রচনা ছাড়াও বহু রাজনৈতিক প্রবন্ধ-নিবন্ধ তিনি লিখেছেন। মার্কসীয় দৃষ্টিকোণ থেকে চলতি ঘটনায় বিশ্লেষণে তিনি ছিলেন দক্ষ। সাপ্তাহিক একতায় সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ছিলেন তিনি। বহু ব্যস্ততার মধ্যেও সাপ্তাহিক একতায় স্বনামে ও নাম উহ্য রেখে তিনি লিখেছেন অজস্র। এ ব্যাপারে তাঁর কলম ছিল ঝরণাধারার মতো। আমরা এখানে তাঁর একটি লেখা পুনর্মুদ্রিত করলাম। বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা কার্ল মার্কসের তিরোধানের শতবার্ষিকী ১৯৮৩-তে তাঁর ১৬৫তম জন্মজয়ন্তী (৫ মে) উপলক্ষে ঐ বছর ৬ মে সংখ্যা একতায় এটি প্রকাশিত হয়েছিল।) ১৯১৮ সালে ৫ মে জার্মানিতে মহামতি কার্ল মার্কসের জন্ম। স্বদেশের ভূমিতে তাঁর শেষ শয্যা রচিত হয়নি। প্রবাসী অবস্থায় ১৮৮৩ সালে ১৪ মার্চ তাঁর নশ্বর জীবনের মৃত্যু ঘটে। তাঁর শেষ শয্যা রচিত হয়েছে লন্ডন হরের হাইগেট ভিলেজের সমাধিক্ষেত্রে। তাঁর এই সমাধি আজ হয়েছে বিশ্ব প্রলেতারিয়তে এবং প্রগতিশীল কোটি কোটি মানুষের তীর্থভূমি। স্বদেশে কেন তাঁর সমাধি হলো না–সে ইতিহাস আমরা কম আর বেশি সকলেই জানি। যে লোকটি বিজ্ঞানসম্মত ভিত্তিতে তত্ত্ব দিয়ে আবিষ্কার করেছিলেন পুঁজিতান্ত্রিক সমাজের ধ্বংস অনিবার্য এবং বিশ্বকে অবশ্যম্ভাবীরূপে জয় করে নেবে সর্বহারা শ্রমিকশ্রেণি, সে লোকটিকে জার্মানির ধনিকশ্রেণি এবং তাদের সেবাদাস সরকারগুলো কেন স্বদেশে থাকতে দেবে। তাই অদ্যাবধি এই বিশ্বের শ্রেষ্ঠ বিপ্লবী দার্শনিক, সমাজবিদ, বিজ্ঞানী, অর্থনীতির পণ্ডিত, সর্বহারা শ্রমিকশ্রেণির বিপ্লবী সংগঠক ও রাজনীতিবিদ মহান কার্ল মার্কসকে কোনো দেশেই স্থায়ী ভাবে কোনো বুর্জোয়া সরকারই বসবাস করতে দেয়নি। নির্বাসন, নিপীড়ন, নির্যাতন, প্রবাস জীবন এবং অচিন্তনীয় অর্থসংকটে কেটেছে তাঁর সমগ্র জীবন। এই অবস্থায় তাঁর মৃত্যু ঘটেছে। এবছর তাঁর মৃত্যুর শতবার্ষিকী পূর্ণ হলো। কার্ল মার্কস বিজ্ঞানভিত্তিক যে ভবিষ্যদ্বাণী করে গিয়েছিলেন, আজ তা পরিপূর্ণ বাস্তবতার রূপ লাভ করেছে। পুঁজিবাদী সমাজের হোতা এবং নেতারাও পুঁজিতন্ত্রের অনিবার্য ধ্বংসের সম্ভাব্যতা আজকে আর অস্বীকার করতে পারে না। পুঁজিতন্ত্রের নেতারা আজ পুঁজিবাদী রাষ্ট্র ও সমাজব্যবস্থার আয়ু বৃদ্ধির প্রচেষ্টা অথবা তাদের অনিবার্য ধ্বংসের বিপদ দেখে সমগ্র মানবসভ্যতা ও মানবগোষ্ঠীকেই সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করার জন্য পারমাণবিক মহাযুদ্ধের দানবীয় ষড়যন্ত্র ব্যতিত আর কিছুই করতে পারছে না। ইতোমধ্যেই বিশ্বের বহু দেশে বুর্জোয়া ও অন্য শোষক শ্রেণিগুলোর পরাজয় ঘটেছে এবং সর্বহারা শ্রেণি ও তাদের মিত্ররা ক্ষমতা দখল করে নিয়ে নতুন সমাজ গড়ে তুলেছে এবং তুলছে। পূর্ব ইউরোপ ভূখণ্ডে নতুন সমাজ-সমাজতন্ত্র ইতোমধ্যে মহীরুহের আকার ধারণ করেছে। সমাজতান্ত্রিক বিশ্বব্যবস্থা সার্বিকভাবে অমিত শক্তির অধিকারী হয়েছে। কার্ল মার্কস নেই। কিন্তু দুনিয়ার এমন কোনো দেশ নেই, এমন কোনো জাতি অথবা মানবগোষ্ঠী নেই সেখানে মার্কসবাদের চর্চা নেই। আমাদের এই উপমহাদেশেও জনগণের মধ্যে মার্কসবাদের অনুশীলন শুরু হয়েছে প্রায় ছয় দশক আগে থেকে। আমাদের এই উপমহাদেশে মার্কসবাদী আন্দোলন একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক আন্দোলনের ধারা হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। আমাদের স্বদেশভূমি বাংলাদেশেও মার্কসবাদের চর্চা এবং মার্কসবাদ-লেনিনবাদের ভিত্তিতে রাজনৈতিক সংগঠন-আন্দোলন ব্রিটিশ আমলেই শুরু হয়েছিল। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর কয়েক মাসের মধ্যেই এদেশে স্বতন্ত্রভাবে মার্কসবাদী-লেনিনবাদী পার্টি প্রতিষ্ঠিত হয়। সে পার্টিই এবার “বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি” হিসেবে তার প্রতিষ্ঠার ৩৫তম বার্ষিকী পালন করলো। আমাদের দেশেও আজ ক্ষমতাসীন অথবা তার বাইরের সকল রাজনৈতিক শক্তিকেই এটা সব সময় বিবেচনায় রাখতে হয় যে এখানেও মার্কসাবদী-লেনিনবাদী শক্তি ও সংগঠন আছে। আমাদের শ্রেণিশত্রুরা এবং সকল প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী সর্বদাই মার্কসবাদ-লেনিনবাদকে জনগণের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখার জন্য একাধারে কমিউনিস্টদের ওপর কঠোর ও তীব্র দমননীতি এবং অপরদিকে বিভ্রান্তি সৃষ্টির জন্য মিথ্যা প্রচারণার ঝড় সৃষ্টি করে রাখে। তাদের সহজ অপপ্রচার হলো মার্কসবাদ-লেনিনবাদ “বিদেশি ইজম” তাই এদেশে চলবে না এবং মার্কসবাদ-লেনিনবাদ হলো ‘ধর্মবিরোধী মতবাদ’। পাকিস্তান আমলে আমাদের বাংলাদেশের সমগ্র জনগণের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক আন্দোলনের মূল দাবি ছিলো পূর্ণ গণতন্ত্র এবং পূর্ণ জাতীয় স্বায়ত্ত্বশাসন। এই ঘটনা থেকেই সৃষ্টি হয়েছিল জাতীয় স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা এবং পরিণতিতে আমরা এক সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জনও করেছি। গণতন্ত্র এবং স্বায়ত্ত্বশাসনের সংগ্রামে এবং সর্বোপরি স্বাধীনতার সংগ্রামে, সশস্ত্র মুক্তি সংগ্রামে মার্কসবাদী-লেনিনবাদী তথা কমিউনিস্টদের গৌরবময় ভূমিকা কি কেউ অস্বীকার করতে পারে? জনগণ কি ঐসব সংগ্রামের সময় কমিউনিস্টদের প্রত্যাখ্যান করেছিলেন? না, তা করেননি বরং জনগণ কমিউসিস্টদের আত্মত্যাগী এবং নিঃস্বার্থ সংগ্রামী দেশপ্রেমিক হিসেবে প্রশংসা করেছেন। আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নেতৃত্বের ভূমিকায় ছিলেন। এদেশের ব্যাপক জনগণের তিনিই হয়েছিলেন কণ্ঠস্বর। সেই কণ্ঠস্বর এদেশের মার্কসবাদী-লেনিনবাদী তথা কমিউনিস্টদের সম্পর্কে বলেছিলেন- “আমি ব্যক্তিগতভাবে আন্দোলন জানি” ...কারাগারের নির্জন প্রকোঠে যখন ছিলাম, তখনো আপনাদের অনেক কমরেডের সাথে আমাকে বছরের পর বছর কাটাতে হয়েছে। আলোচনা করার সুযোগ পেয়েছি। আপনাদের জনমত জানবার-বুঝবার সুযোগ পেয়েছি। আপনারা স্বাধীনতার জন্য সংগ্রামে আত্মদান করেছেন, আপনাদের কর্মীরা ত্যাগ স্বীকার করেছেন। এ সম্বন্ধে কোনো দ্বিধা থাকতে পারে না।” (কমিউনিস্ট পার্টির দ্বিতীয় কংগ্রেসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণ)। কমিউনিস্টদের ধর্মবিরোধী বলে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করার অপচেষ্টাও আজ ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে। আমাদের দেশবাসী নিজ অভিজ্ঞতা থেকেই বুঝতে পারছেন এই অপপ্রচার একটি ধারা। মার্কস-এঙ্গেলস বলেছেন যে, “গোড়ায় খ্রিষ্টধর্ম ছিল নিষ্পেষিত জনগণের একটি আন্দোলন; এর প্রথম অভ্যুদয় হয়েছিল দাস এবং মুক্তদাসদের ধর্ম হিসাবে। গরিব জনগণ যারা সকল অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছিল তাদের ধর্ম।” এঙ্গেলস আরো লিখেছেন “খ্রিষ্টধর্ম ও শ্রমিকদের সমাজতন্ত্র, উভয়ই শৃঙ্খল ও দারিদ্র্য থেকে পরিত্রাণের কথা বলে। খ্রিষ্টধর্ম এই পরিত্রাণের পথ খোঁজে পরকালে, মৃত্যুর পর, স্বর্গে; সমাজতন্ত্র মনে করে এই পৃথিবীতেই পরিত্রাণ আছে, সমাজের রূপান্তর সাধনের মধ্যেই এই পরিত্রাণ আছে। খ্রিষ্টধর্ম ও সমাজতন্ত্র উভয়কেই বিরোধিতার সম্মুখীন হতে হয়েছে” (ফ্রেডরিখ এঙ্গেলস, খ্রিস্টধর্মের আদি ইতিহাস প্রসঙ্গে)। ইসলাম সম্পর্কে নোট লিখতে গিয়ে এঙ্গেলস বলেছেন যে, এখানে ‘ধনবৈষম্য’ ইসলাম ধর্মের অভ্যুদয়ের পটভূমিতে ছিল আফ্রিকা বিশেষজ্ঞ আরবদেশে শহরের বাসিন্দা যারা ব্যবসা-বাণিজ্য করে, তাদের ধনস্ফীতি ঘটে, আর অন্যদিকে বেদুইনরা ছিল নিতান্তই গরিব। এই পটভূমিতে তারা রসুলের (সঃ) নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল। ধর্ম প্রসঙ্গে আলাপ করতে গিয়ে মহামতি লেনিন লিখেছিলেন- ‘যারা সোস্যাল-ডেমোক্র্যাসির চেয়ে ‘বাম’ বা বৈপ্লবিক’ হতে চায়, ধর্মের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণার অর্থে নিরীশ্বরবাদের সরাসরি স্বীকৃতিকে পার্টি কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত করতে ইচ্ছুক, তাদের প্রচেষ্টা এঙ্গেলস একাধিকবার নিষিদ্ধ করেছেন। ....ধর্মের বিরুদ্ধে এরূপ যুদ্ধ ঘোষণার অর্থ, এঙ্গেলস বলেন, বিসমার্কের চেয়েও বেশি বিসমার্কিপনা। “মার্কস আধুনিক গির্জাগুলিকে মনে করতেন বুর্জোয়া প্রতিক্রিয়ার সংস্থা, যাদের কাজ হলো শ্রমিকশ্রেণিকে ধাপ্পা দিয়ে তাদের ওপর ধনিকের শোষণ বজায় রাখা। এই প্রসঙ্গে মার্কস, এঙ্গেলস, লেনিন কেউই এ সত্য গোপন করেননি যে কমিউসিস্টরা দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদী দর্শনে বিশ্বাসী। কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে ধর্মের বিরুদ্ধে ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে। যারা এরকম করে তাদের বরং “হঠকারী” বলা হয়েছে। মার্কসবাদের মূল তত্ত্ব এবং তার বাস্তব প্রয়োগের লেনিনীয় শিক্ষা সামনে রেখে বাংলাদেশের কমিউস্টিরা তাদের মূল কর্মসূচিতে দলিল বা ঘোষণাপত্রে পরিষ্কারভাবে লিখেছেন যে- “ইসলাম ধর্মে কার্যতঃ মানবতা ও সাম্য-ভ্রাতৃত্ব প্রভৃতি কথা আছে। কমিউনিস্ট পার্টির সংগ্রাম ধর্মের বিরুদ্ধে নয়। কমিউনিস্টরা জনগণের কল্যাণ, শান্তি, মানবতা, সাম্য, ভ্রাতৃত্ব প্রভৃতি প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করে, যে কথাগুলি ধর্মের মধ্যেও রহিয়াছে।” একই সঙ্গে কমিউনিস্টরা তাদের মূল দলিলে এটাও বলেছেন যে- “প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীগুলি প্রগতির ধারাকে প্রতিহত করার জন্য ধর্মকে ব্যবহার করে। পার্টির ধর্মের এইরূপ অপব্যবহারের বিরুদ্ধে জনগণকে সচেতন করিবে।” ধর্ম সম্পর্কে কমিউনিস্টদের এই বাস্তবসম্মত দৃষ্টিভঙ্গি সত্ত্বেও প্রগতির শত্রুরা কমিউনিস্টবিরোধী অপপ্রচার কখনো বন্ধ করে না। তবে জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি আমাদের দেশেও কেটে যাচ্ছে। বিজ্ঞান কখনো দেশি বা বিদেশি হয় না। মার্কসবাদ হলো একটি বিজ্ঞান। মার্কসবাদ সমাজ বদলের বিজ্ঞান। রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজনীতি ইতিহাসের ব্যাখ্যা সম্পর্কিত বিজ্ঞান। মার্কসবাদ হলো বিজ্ঞানভিত্তিক দর্শন। এই বিজ্ঞান যেহেতু শোষকদের স্বরূপ উদঘাটন করে সমাজ বদলের অবশ্যম্ভাবী কারণগুলো চিহ্নিত করে বিপ্লব সাধনের পথ দেখায়, তাই প্রতিক্রিয়াশীল এবং শোষক শ্রেণিগুলো মার্কসবাদ ও কমিউনিস্টদের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার চালিয়ে তাদের নির্যাতন করে সমাজ বদলের সংগ্রামকে নস্যাৎ করতে চায়। কিন্তু দুনিয়ার অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশেও প্রতিক্রিয়াশীল ও শোষক শ্রেণির এই অপচেষ্টা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হচ্ছে। যারাই মার্কসবাদী-লেনিনবাদী তথা কমিউনিস্টদের জনগণের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে চেয়েছে তারাই ক্রমে জনগণের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে অবশেষে ইতিহাসের আঁস্তাকুড়ে হারিয়ে গেছে। এরকম হবেই। কারণ সমাজ ও সভ্যতার বিকাশের রথযাত্রাকে কখনো এবং কোথাও কোথাও বিলম্ব করে দেয়া যায় সত্য; কিন্তু চূড়ান্ত বিশ্লেষণে সে যাত্রাকে উল্টোমুখে ফিরিয়ে দেয়া যায় না। তাই আমাদের দেশেও সময় আসছে, মার্কসবাদ তথা সমাজতন্ত্র কায়েম হবেই, কেউ আটকাতে পারবে না। এটা দ্রুত করা যায়, যদি আমরা মার্কসবাদ এবং লেনিনবাদ আত্মস্থ করে সৃজনশীলভাবে তা প্রয়োগ করতে শিখি। এবং সেটা প্রয়োগ করার জন্য আমাদের গণভিত্তি আরো প্রসারিত করাই হলো আজকের সবচাইতে বড় মূলগত কাজ। কার্ল মার্কসের জন্মদিনে এবং তাঁর মৃত্যু শতবার্ষিকী উপলক্ষে আসুন আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি এই মহান নেতা, পণ্ডিত ও বিপ্লবী দার্শনিকের স্মৃতি। মার্কসবাদ জিন্দাবাদ।

Print প্রিন্ট উপোযোগী ভার্সন



Login to comment..
New user? Register..