পদ্মায় বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার

Facebook Twitter Google Digg Reddit LinkedIn StumbleUpon Email
ফরিদপুর সংবাদদাতা : ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার চরসালেপুর এলাকায় পদ্মা নদীতে দেড় কিলোমিটার এলাকায় অবৈধভাবে বাঁশের বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার করছে স্থানীয় প্রভাবশালী একটি মহল। এক মাস ধরে এ কাজ চললেও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় ক্ষোভ জানিয়েছেন প্রকৃত মৎস্যজীবীরা। গতকাল সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার গোপালপুর থেকে মৈনটঘাটে যাওয়ার চ্যানেলের মধ্যবর্তী চরসালেপুর এলাকায় পদ্মায় দেড় হাজার মিটার পর্যন্ত আড়াআড়িভাবে কয়েক হাজার বাঁশ পুঁতে অবৈধভাবে বাঁধ দেয়া হয়েছে। নদীর মূল প্রবাহে আড়াআড়িভাবে তৈরি করা বাঁশের বাঁধের সঙ্গে জাল দিয়ে প্রতিদিন মাছ শিকার চলছে। বাঁধের কারণে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ ও মাছের অবাধ বিচরণ ব্যাহত হচ্ছে। একই সঙ্গে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে নৌযান চলাচলও। বাঁধ দিয়ে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ জাটকা, রুই, কাতল, চিতল, পাঙ্গাশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ শিকার করা হচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, কিছু স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিকে ‘ম্যানেজ’ করে অসাধু ব্যবসায়ীরা অবৈধভাবে মাছ শিকার করছেন। এতে প্রকৃত মৎস্যজীবীরা বিপাকে পড়েছেন। তারা ভাটিতে থাকায় মাছ পাচ্ছেন না। পদ্মায় অবৈধভাবে বাঁধ দিয়ে মাছ ধরার বিষয়টি জানা নেই দাবি করে চরঝাউকান্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফরহাদ মৃধা বলেন, কেউ যদি এভাবে বাঁধ দিয়ে মাছ ধরে, তবে সেটা ঠিক করেনি। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি বিষয়টি উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে অবহিত করেন। বাঁধটি উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই দেয়া হয়েছে দাবি করে বাঁধ মালিকদের একজন কাসেম মেম্বার বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে বাঁধ দিলেও কাঙ্খিত পরিমাণ মাছ না পাওয়ায় তা অপসারণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ না করার অনুরোধ জানান তিনি। তিনি বলেন, সুযোগ দিন, আগামীকালই বাঁধটি উঠিয়ে ফেলব। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মালিক তানভির হোসেন জানান, নদীতে বাঁধ দেয়ার বিষয়ে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। তাছাড়া নদীতে এভাবে অবৈধভাবে বাঁধ দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। তিনি আরো জানান, ১৯৫০ সালের মৎস্য সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী নদীতে আড়াআড়িভাবে বাঁধ দেয়া শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আজকের মধ্যে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। চরভদ্রাসন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন সুলতানা জানান, বাঁধ দেয়ার বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমে শুনেছি। বাঁধ অপসারণে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Print প্রিন্ট উপোযোগী ভার্সন



Login to comment..
New user? Register..