যমুনা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন

Facebook Twitter Google Digg Reddit LinkedIn StumbleUpon Email
বগুড়া সংবাদদাতা : সারিয়াকান্দিতে যমুনা নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে একটি সংঘবদ্ধ চক্র উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ড্রেজার দিয়ে প্রতিদিন অবৈধভাবে হাজার হাজার ঘনফুট বালু উত্তোলন করে বিক্রি ও বিভিন্ন জায়গায় পাচার করছে। এই অবৈধ কাজ বন্ধের কোনো দৃশ্যমান তৎপরতা নেই। এভাবে বালু উত্তোলন করায় নদী ভাঙনরোধে কয়েকশ’ কোটি টাকা ব্যয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্মিত গ্রোয়েন, হার্ডপয়েন্ট ও নদীতীর সংরক্ষণ কাজ ঝুঁকির মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। অপরদিকে বালুমহাল ঘোষণা করে লিজ না দেওয়ায় সরকারও বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। জানা গেছে, ক্ষমতাসীন দলের নাম ভাঙিয়ে চক্রটি উত্তোলন করা বালু কালিতলা ঘাট এলাকায় জড়ো করে। সেখান থেকে প্রতিদিন দেড় দুইশ ট্রাক বালু বিভিন্ন জায়গায় বিক্রির জন্য পাঠানো হয়। ধারণক্ষমতা অনুযায়ী এক ট্রাক বালু দুই/তিন হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে বন্দর ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের অবকাঠামো রক্ষার স্বার্থে অবিলম্বে এই অবৈধ তৎপরতা বন্ধের দাবিতে এলাকার কয়েকশ’ লোক গত ১৪ সেপ্টেম্বর বগুড়া জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, যমুনার ভয়াবহ ভাঙন থেকে বন্দর ও জনপদ রক্ষার্থে পানি উন্নয়ন বোর্ড কয়েক বছর আগে আড়াইশ’ কোটি টাকা ব্যয়ে ওই গ্রোয়েন ও দুটি হার্ডপয়েন্ট নির্মাণ করে। এরপর বিভিন্ন সময়ে ছয়শ কোটি টাকা ব্যয়ে আরো ১৯ কিলোমিটার নদী তীর সংরক্ষণ কাজ বাস্তবায়ন করে। কিন্তু যমুনার বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে অবৈধ ও অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের ফলে উল্লেখিত অবকাঠামো হুমকির মুখে পড়া ছাড়াও নদীর গতিপথ পরিবর্তন ত্বরান্বিত হবে। একই সংগে পরিবেশ-প্রতিবেশের উপরেও বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে নদী বিশেষজ্ঞ ও পানি বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিশেষায়িত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহিনুজ্জামান বলেন, বালু উত্তোলন বন্ধ না হলে হার্ডপয়েন্ট ও তীর রক্ষা কাজের ব্যাপক ক্ষতি হবে। নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ইঞ্জিঃ লুৎফর রহমান বলেন, নিরাপদ দূরত্ব থেকে পরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন না করা হলে ওই স্থাপনার যে শুধু ক্ষতি হবে তাই নয় , দ্রুত নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে জনপদ ও জানমালের ব্যাপক ক্ষতি হবে। সারিয়াকান্দি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সিরাজুল ইসলাম জানান, বালু উত্তোলন বন্ধ করা ওসির দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না। তিনি ইউএনওর সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। ইউএনও মনিরুজ্জামান বলেন, আমি অনেক কিছুই করেছি। ড্রেজার পুড়িয়ে পর্যন্ত দিয়েছি। জেলাকে জানিয়েছি। পৌরসভার মেয়রকে চিঠি দিয়েছি। কিন্তু মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেতে যে লজিস্টিক সাপোর্ট প্রয়োজন তা আমার নেই। অন্যদিকে, জেলা প্রশাসক নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করতে প্রতিনিয়ত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। সারিয়াকান্দি এলাকায় খোঁজ-খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শেষের পাতা
রাষ্ট্রীয় খাতেই আধুনিকায়ন করে পাটকল চালু করতে হবে
লুটেরাদের বিকল্প ক্ষমতা কেন্দ্র গড়ে তোলার আহ্বান
ছাত্র রাজনীতি বন্ধ সমাধান নয় বলছেন শিক্ষার্থীরা
সন্ত্রাসী ছাত্র সংগঠনগুলোর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে
‘বাড়তি টাকা নিয়ে এসেও কুলাতে পারছি না’
শিক্ষা বাণিজ্যের বিরুদ্ধে ছাত্র সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান
উপজেলা নির্বাচনে জামানত বৃদ্ধি দেশকে লুটেরাদের হাতে তুলে দেয়ার চক্রান্ত
ক্ষেতমজুর নেতা ছাইদার আলী মণ্ডলের মৃত্যুতে শোক
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল ও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ প্রতিষ্ঠাসহ ৮ দফা দাবি সিপিবির
খাল-বিলের পানি সেচে চলছে মাছ ধরার ধুম
সিন্ডিকেটকারীদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে না
৭ দিনের সংবাদ...

Print প্রিন্ট উপোযোগী ভার্সন



Login to comment..
New user? Register..