কাকা বাবুর মন খারাপ

Facebook Twitter Google Digg Reddit LinkedIn StumbleUpon Email
হাবীব ইমন : কিছু মোল্লা ও তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা বেশ হইচই করছে। সঙ্গে সঙ্গে অসাম্প্রদায়িক বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ সরকারও তাদের কাছে নতজানু। অসহায় হয়ে পড়েছে। ব্যক্তিগত আলাপে কোনো কোনো আওয়ামী লীগারের মতে হেফাজতের পেটে চলে গেছে ঐতিহ্যের পুরোনো এ দলটি। এতোদিন ধরে একটা অভিযোগ প্রচলিত আছে, বিএনপি নিয়ন্ত্রণ করে জামায়াত-শিবির তথা ইসলামি দলগুলো। এ অভিযোগটা যে হঠাৎ করে পাল্টে গেছে তাও না। এখন প্রশ্ন হলো ওই জায়গাটা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নিয়ে ফেলছে? আমরা মনে করি সরকার মুক্তিযুদ্ধেরই ছায়া। এটা আমাদের বিশ্বাসে রাখতে চাই। ২০১১ সালে নির্বাচনে তরুণদের বড় অংশের ভোটে নির্বাচিত এই আওয়ামী লীগ সরকার। তরুণদের একটা আশা ছিল আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের দল। অসাম্প্রদায়িক দল। এটা অবশ্যই মানতে হবে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা থাকাবস্থায় আন্তর্জাতিক ও বিভিন্ন চাপের মুখেও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে অনেকাংশে সফল হয়েছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ একটি বিশাল ভূমিকা রেখেছে। কাজেই আজ সরকারের নগ্ন কর্মকাণ্ডে আমরাও বড্ড অসহায়। মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকারে বড্ড অভাববোধ করছি। মনে হচ্ছে মহান শহীদদের কাছে আমাদের যে শপথ সেখান থেকে আমরা অনেকটাই সরে গেছি। ব্যাপারটা বেশ কয়েক মাস ধরে চলছে। এর আগে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য খেলাফত মজলিসে এ আওয়ামী লীগ চুক্তি করেছিল। হেফাজতের দাবি ও চাপের মুখে এখন স্কুলের কোমলমতি ছাত্রদের পাঠ্যপুস্তকে রবীন্দ্রনাথ, নজরুলসহ প্রগতিশীল লেখকদের লেখা বাদ ও বিতর্কিত সংশোধন দিয়ে তারা অশনিসংকেতের শক্ত অবস্থানে পৌঁছে গেছে। প্রতিনিয়ত এদেরকে তোয়াজ করে চলেছে। এখন ভীষণভাবে হুঙ্কার শুনছি– সুপ্রিম কোর্টের সামনে স্থাপিত ভাস্কর্য ভেঙে ফেলতে হবে। সেই সাথে একই মহল থেকে আওয়াজ তোলা হচ্ছে অন্যান্য ভাস্কর্যও ভেঙে ফেলা হবে। ভারত থেকে ফিরে আমাদের প্রধানমন্ত্রীও তার বক্তব্যে ভাস্কর্য পছন্দ নয় বলে হেফাজতের সাথে একাত্ম্য হলেন। আমি ভীষণভাবে শঙ্কিত, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও কী তাহলে বঙ্গবন্ধুকে শোকেসে সাজানো একটি অলঙ্কার হিসেবে রেখে দিচ্ছেন! তাঁর মহীরুহ আদর্শকে নিশ্চয় এখন আর তিনি এবং তার দল মেনে চলেন না। কিছুদিন আগে বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন খিলগাঁওয়ে ঘুষ ছাড়া চাকরি চাই দাবিতে গণস্বাক্ষর ও সমাবেশ করেছিল। সভাপতির বক্তব্যে আমি বলেছিলাম, ‘ঘুষ নাকি ইসলামে হারাম। কিন্তু আমাদের মোল্লারা এ ঘুষ নিয়ে কথা বলেন না। তারা বলে ভাস্কর্য ভাঙো। হারামের কথা বলে না।’ পরে আমার বক্তব্য জানতে চেয়ে আমাকে থানায় ডাকে। অনেক আগ থেকে এদেশে ভাস্কর্য আছে। আমাদের ভাস্কর্যের ইতিহাস সাম্প্রতিককালের নয়। ভাস্কর্য (ইংরেজি ভাষায়: Sculpture) ত্রি-মাত্রিক শিল্পকর্মকে ভাস্কর্য বলে। অর্থাৎ, জ্যামিতিশাস্ত্রের ঘণকের ন্যায় ভাস্কর্যকে দৈর্ঘ্য, প্রস্থ এবং গভীরতা সহ ত্রি-মাত্রিক হতে হবে। ভারত, বাংলাদেশ এবং চীনের মতো বিশ্বের সর্বত্র বিভিন্ন ধরনের, বহুমূখী আকৃতির ভাস্কর্য দেখতে পাওয়া যায়। রেনেসাঁ এবং আধুনিককালে এটি ব্যাপকভাবে প্রসারিত হয়েছে। পুতুল, মুখোশ, মাটির জিনিসপত্র ভাস্কর্যের উদাহরণ। যিনি প্রস্তরাদি, কাঠ ইত্যাদি দিয়ে মূর্তি বা ভাস্কর্য নির্মাণ করেন, তিনি ভাস্কররূপে জনসমক্ষে পরিচিতি লাভ করেন। খ্রিষ্টপূর্ব ৩৩০০-১৭০০ সালে প্রতিষ্ঠিত সিন্ধু সভ্যতায় প্রথম ভাস্কর্যের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। বর্তমান পাকিস্তানের মহেঞ্জোদারো এবং হরপ্পায় দেখা গিয়েছিল। পরবর্তীতে হিন্দু, বৌদ্ধ এবং জৈন ধর্মের উত্তরণে ভারতে ব্রোঞ্জ ধাতু ও পাথরে খোদাই করে সৃষ্টি করা হয় ভাস্কর্যগুলো। তন্মধ্যে ইলোরা এবং অজন্তায় পাথরের ভাস্কর্যগুলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় এবং সর্বাধিক মর্যাদাপূর্ণ ভাস্কর্য শিল্পকলা হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আসছে। খ্রিষ্টপূর্ব ৪র্থ থেকে ৬ষ্ঠ শতকের মধ্যে গুপ্ত সাম্রাজ্যে মথুরা নগরের বেলে পাথর দিয়ে গড়া ভাস্কর্যগুলো খুবই উচ্চ সৌন্দর্যমণ্ডিত ও উন্নত রূচিশৈলীর পরিচয় বহন করে। পরবর্তীতে চীনের সুই রাজবংশের সময়কালীন শিল্পকলার প্রভাব গুপ্ত সাম্রাজ্যে লক্ষ্য করা যায় যা সমগ্র পূর্ব এশিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছিল। আফগানিস্তানে নতুন ধরনের ভাস্কর্যকলার চর্চা শুরু হয়। এতে শিলা মাটি, কাদা মাটি, চুনাবালি ব্যবহার করার মাধ্যমে গুপ্ত সাম্রাজ্য পরবর্তীকালের বহমান ধারা ও ধ্রুপদী শিল্পকলার প্রভাব বিস্তার করেছিল। এই প্রজন্ম একাত্তরের সংগ্রাম দেখিনি। বই পড়ে, গল্প শুনে আমার মনে একটা আবছা ছবি তৈরি হয়েছে স্বাধীনতা নিয়ে। আর আমি যখন স্বাধীনতার ভাস্কর্য দেখি তখন আমার চোখের সামনে ধরা দেয় মুক্তিযুদ্ধ। ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিচ্ছে একটা পা হারানো একজন মুক্তিযোদ্ধা। ‘অপরাজেয় বাংলা’ দেখে জেনেছি নারীরা কীভাবে যুদ্ধ করেছে। চোখের সামনে ভাসে উঠেছে তাদের ফাস্ট এইড বক্স নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার দৃশ্য। তারা অংশ নিয়েছে মুক্তিযুদ্ধে। আর এইসব ভাস্কর্য না থাকলে আমরা চোখের সামনে এইসব দৃশ্য দেখতাম না। হয়তো কল্পনা করতে পারতাম মুক্তিযুদ্ধের চিত্র। মনের মধ্যে অস্পষ্ট থেকেই যেত। ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের’ ভাস্কর্য, ছবি না থাকলে আমরা কল্পনায় তাদের আঁকতে পারতাম না। রবীন্দ্রনাথের সাদা দাঁড়ি ছিল কি ছিল না, নজরুলের চুল কতটা লম্বা ছিল বুঝতাম না। ওদের গান কবিতা ঠিকই পড়তাম কিন্তু তাদের চেহারা আমরা ভুলে যেতাম। ভুলে যেতাম বঙ্গবন্ধু কেমন ছিলেন। ভাস্কর্য, ছবি, এসবের জন্যই এখনো বিকৃত হয়নি আমাদের ইতিহাস। কিন্তু অনেকেই আপ্রাণ চেষ্টা করছে এই দেশের ইতিহাসকে বিকৃত করার। তারা চায় না আগামী প্রজন্ম আমাদের স্বাধীনতা সম্পর্কে জানুক। প্রত্যেকটা চৌরাস্তায় যদি মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য থাকতো তবে একুশে বইমেলায় যাওয়া দর্শনার্থীদের কাছ থেকে আমরা শুনতাম না–তারা একুশে ফেব্রুয়ারি কি সেটা জানে না। স্বাধীনতা দিবস কবে সেটা জানে না। এজন্যই প্রয়োজন ভাস্কর্যের। যেন চোখের সামনে ভেসে উঠে মুক্তিযুদ্ধ। আর এ জন্যই ভাস্কর্য প্রয়োজন। আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম যাতে ভুলে না যায় আমাদের ইতিহাস। যেন মুখে মুখে বিকৃতি না হয় এই ইতিহাসের। আজ এগুলো নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। তাতে করে আমরা বেশি ধর্মপ্রাণ হচ্ছি? নাকি একটি সামাজিক সম্প্রীতি ভেঙে দেয়ার দিকে রাষ্ট্র কিংবা রাষ্ট্রযন্ত্র এগিয়ে যাচ্ছি? নবী মুহাম্মদ (সা.) কাবা শরীফের ৩৬০টি মূর্তি অপসারণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। দেয়ালের সব ফ্রেসকো নষ্ট করার কথাও তিনি বললেন। হঠাৎ তার চোখে পড়লো কাবার মাঝখানের একটি স্তম্ভে। যেখানে বাইজেন্টাইন যুগের মাদার মেরির একটি অপূর্ব ছবি আঁকা। নবী (সা.) সেখানে হাত রাখলেন এবং বললেন, ‘এই ছবিটা তোমরা নষ্ট করো না।’ কাজটি তিনি করলেন সৌন্দর্যের প্রতি অসীম মমতা থেকে। নবীজির প্রয়াণের পরেও ৬৮৩ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ধর্মপ্রাণ খলিফাদের যুগে কাবা শরিফের মতো পবিত্র স্থানে এই ছবি ছিল, এতে কাবা শরীফের পবিত্রতা ও শালীনতা ক্ষুণ্ন হয়নি। মহানবীর (সা.) প্রথম জীবনীকার ইবনে আসকার (আরব ইতিহাসবিদ) লেখা দি লাইফ অব মোহাম্মদ গ্রন্থ থেকে ঘটনাটি বললাম। হজরত আয়েশা (রা.) নয় বছর বয়সে নবী (সা.) স্ত্রী হন। তিনি পুতুল নিয়ে খেলতেন। নবী তাতে আপত্তি করেন নি কোনো। বরং তিনিও মজা পেতেন এবং কৌতুহূল প্রদর্শন করতেন। (মুহাম্মদ আলী আল-সাবুনী, রাওযাইউল বয়ন, ২য় খণ্ড, পৃষ্টা ৪১৩)। ৬৩৮ খ্রিস্টাব্দে হজরত ওমর (রা.) জেরুজালেম জয় করেন। প্রাণির ছবিসহ একটি ধূপদানি তার হাতে আসে। তিনি সেটি মসজিই-ই নববীতে ব্যবহারের জন্য আদেশ দেন। (আব্দুল বাছির, ‘ইসলাম ও ভাস্কর্য শিল্প : বিরোধ ও সমন্বয়’, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কলা অনুষদ পত্রিকা, জুলাই ২০০৫ জুন ২০০৬) এটা হয়তো অনেকে জানেন না, উত্তেজিত মোল্লারা ক্ষেপে যাবেন, শেখ সাদির মাজারের সামনেই তার একটি মর্মর পাথরের ভাস্কর্য আছে। পারস্যের সুফি সাধক জালালুদ্দিন রুমি ও ফরিদউদ্দিন আত্তারের মাজারের সামনের তার আবক্ষমূর্তি আছে। (বরফ ও বিপ্লবের দেশে, ড. আবদুস সবুর খান, ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) লিবিয়া, কঠিন ইসলামিক দেশ। লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপালিতে বিশাল একটা মসজিদ আছে। মসজিদের সামনেই গ্রিকদের তৈরি একটি মূর্তি স্বমহিমায় শোভা পাচ্ছে। সেখানকার মাদ্রাসার ছাত্ররা মূর্তিটা ভেঙে ফেলেনি। বর্ষবরণকে ঘিরে চট্টগ্রাম নগরের বাদশা মিয়া সড়কের পাশের দেয়ালে চারুকলার শিক্ষার্থীরা এঁকেছিলেন চিত্র। দেয়ালচিত্রে ফুটিয়ে তোলা লোকজ সংস্কৃতি ঢেকে দেয়া হয়েছে পোড়া মবিলের কালো আবরণে। এসব চক্র মঙ্গল শোভাযাত্রাসহ বৈশাখের নানা অনুষজ্ঞ বন্ধ করার জন্য হুমকি দিয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় তারা প্রকাশ্যে অবস্থান নিচ্ছে। সম্রাট আকবরের সময়কাল থেকেই পহেলা বৈশাখ উদ্?যাপন শুরু হয়। তখন প্রত্যেককে বাংলা চৈত্র মাসের শেষ দিনের মধ্যে সকল খাজনা, মাশুল ও শুল্ক পরিশোধ করতে বাধ্য থাকত। এর পর দিন অর্থাৎ পহেলা বৈশাখে ভূমির মালিকরা নিজ নিজ অঞ্চলের অধিবাসীদেরকে মিষ্টান্ন বিতরণ। এ উপলক্ষে বিভিন্ন উৎসবের আয়োজন করা হত। এই উৎসবটি একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে পরিণত হয়। বৈশাখ ফিরে এসেছে। নতুনত্ব। অবশ্যই এবারের কাঠফাটা তপ্ত রোদের ভেতরও এবারের বৈশাখ নতুন বার্তা জানাতে চায়। এই রকম বার্তার ভেতর অসাম্প্রদায়িক-সার্বজনীনতা আহবান ছিল। নতুন করে এখন যুক্ত হবে মৌলবাদ-ফ্যাসিবাদ-সামন্তবাদের বিরোধিতা। হঠাৎ করেই ক্ষমতার আশে-পাশে মানুষের আনুকূল্যে সাম্প্রদায়িক ও মৌলবাদী গোষ্ঠী আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। আবহমান বাঙালির সাহিত্য-সংস্কৃতির বিকাশে বৈশাখের আবেদন অনেকখানি। রমনা বটমূলে হামলাসহ নানা মাত্রার হামলা, নস্যাৎ করার তৎপরতার মধ্যে ক্রমে ক্রমে বৈশাখকে ম্লান করতে পারেনি। সার্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে। এইবারও এতো হুমকি-ধামকি, চক্রান্তে দাবিয়ে রাখতে পারবে না নিশ্চয়। বাঙালি তার সংস্কৃতিকে টিকিয়ে রাখতে সবসময় প্রস্তুত। দুই. আমাদের পাড়ার কাকা বাবু। কাকা বাবু আমাদেরকে অনেক ভালোবাসতো মুক্তিযুদ্ধের সময় তার কোনো স্বজন চলে গেছে ওই পারে, শরর্ণাথী হয়ে। কাউকে কাউকে হারিয়ে ফেলেছেন এ যুদ্ধে। তাকে পাকসেনারা ধরে নিয়ে গিয়েছিল। ওদের অনেক হত্যাচার সহ্য করেছিলেন। তিনি এদেশ ছেড়ে যান নি। এ দেশটাকে তারা বড় আপন মনে করেন। তিনি বলতেন, কাকু কোথায় যাবো? এ দেশেই আমি জন্মেছি। কাকা বাবু ভিটে-মাটি আকড়ে ধরে রেখেছেন। ভীষণ ভালোবাসতেন। চোখের চশমাটা এখন তার ঝাপসা হয়ে গেছে। তিনি মুছতে চান না। বলেন, মুছে কী হবে, দ্যাশটা তো পরিষ্কার নাই এখন। কাকা বাবুর ভীষণ মন খারাপ। একদিন এদেশের ইতিহাস তারাই গড়েছিল। তারা কি কখনো বলেছে তোমরা আমাদের ধর্মকম্ম করো। বলেনি তো! কাকা বাবু বড় অসহায়। মাঝে মাঝে কাকা বাবু বলেন: আসসালামু আলাইকুম। লেখক : সদস্য, যুব ইউনিয়ন, কেন্দ্রীয় কমিটি

Print প্রিন্ট উপোযোগী ভার্সন



Login to comment..
New user? Register..