নেতানিয়াহুর ওপর ভ্রমণনিষেধাজ্ঞা আরোপ করল স্লোভেনিয়া
একতা বিদেশ ডেস্ক :
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ওপর ভ্রমণনিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইউরোপের দেশ স্লোভেনিয়া। সরকারি এক বিবৃতিতে এ খবর জানানো হয়। এর আগে গত জুলাইয়ে দেশটির দুই কট্টর ডানপন্থী মন্ত্রীর ওপরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল।
স্লোভেনিয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্যরাষ্ট্র। দেশটি গত বছর ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। চলতি বছরের আগস্টে দেশটি ইসরায়েলের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা জারি করে। একই সঙ্গে ইসরায়েল-অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে উৎপাদিত পণ্য আমদানিতেও নিষেধাজ্ঞা দেয়।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় সংঘটিত যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ২০২৪ সালের নভেম্বরে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
এর আগে গত আগস্টে স্লোভেনিয়া প্রথম ইইউ দেশ হিসেবে ইসরায়েলের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। তারও আগে দেশটির দুই মন্ত্রী ইতামার বেন-গভির ও বেজালেল স্মোট্রিচকে ‘অবাঞ্ছিত ব্যক্তি’ ঘোষণা করেছিল দেশটি। ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ‘জাতিগত নিধনমূলক’ মন্তব্য করায় তাঁদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
২০২৪ সালের জুনে নরওয়ে, স্পেন ও আয়ারল্যান্ডের পথ অনুসরণ করে স্লোভেনিয়াও ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। গাজায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডের সমালোচনায় সবচেয়ে সোচ্চার ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে স্লোভেনিয়া অন্যতম।
দেশটির প্রেসিডেন্ট নাতাশা পির্ক মুসার গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলাকে ‘জাতিগত নিধন’ বলে বর্ণনা করেছেন।
সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট মুসার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেন। সেখানে তিনি গাজায় জাতিগত নিধন বন্ধ করতে সব দেশকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
স্লোভেনিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমাদের সঠিক কাজটি করা উচিত। আমরা হলোকাস্ট থামাতে পারিনি, রুয়ান্ডার গণহত্যা থামাতে পারিনি, স্রেব্রেনিৎসার জাতিগত নিধনও থামাতে পারিনি। আমাদের অবশ্যই গাজায় জাতিগত নিধন বন্ধ করতে হবে। এখন আর কোনো অজুহাত নেই। কোনো অজুহাতই চলবে না।’
Login to comment..








প্রিন্ট উপোযোগী ভার্সন