‘ছায়া’
একতা প্রতিবেদক:
সরকার বলার চেষ্টা করছে, দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কোনো অবনতি হচ্ছে না। যেখানে যেখানে অবনতি হচ্ছে, সেখানে সরকার ধমক দিয়ে দিচ্ছে। এটা সরকারের দায়িত্ব, সেই দায়িত্ব সরকার ঠিকই পালন করছে।
তবু ছাত্ররা দেশে ধর্ষণ, নারী নির্যাতন-নিপীড়নের বিরুদ্ধে মিছিল করেছে। সেই মিছিল নিয়ে তারা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। পুলিশ তাদের বাধা দিয়েছে। তারা বলেছে, আমাদের প্রতিনিধিদল দপ্তরে যাবে। পুলিশ এই অভিপ্রায়ের বিনিময়ে বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলে পড়েছে। এতে অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। পুলিশ তারপর তাদেরকে শায়েস্তা করার জন্য মামলা দিয়েছে। মারের পর মামলা। বালাই ষাট, সরকার!
তবে এটা ঠিক, পুলিশের এইটুকু প্রশংসা করতেই হবে যে, তারা বাহিনীর পোশাকে বা সাদা পোশাকে একাই হামলা করেছে। বাইরের কারও সাহায্য নেয়নি। আওয়ামী লীগ সরকারের মত কোনো হেলমেট বাহিনী তাদেরকে সাহায্য করেনি।
যদিও কেউ কেউ আবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এটাও লিখে ফেলেছে যে, এই ঘটনার মধ্যে নাকি তারা হেলমেট বাহিনীর ‘ছায়া’ দেখতে পেয়েছেন। তা পেতেও পারেন। কারণ, তারা তো চোখের মাথা খায়নি। আর সেদিন রৌদ্রজ্জ্বোল ছিল, ছায়া পড়া বিচিত্র কিছু না।
কথা হচ্ছে ছায়া বড় না হলেই হলো। ছায়া বড় হলে মানুষের হতাশা বাড়বে। সারাদেশে মাজার-মন্দির ভাঙা হচ্ছে। পুলিশের শক্ত ভূমিকা থাকলে এগুলো না-ও ঘটতে পারত। কিন্তু ওই যে, সরকার ধমকের মত বিবৃতি দিয়েই দায় সারে। আর ছাত্র পেটানোর জন্য একেবারে একপায়ে দাঁড়িয়ে থাকে।
ব্যাপারটা তো এমন না যে, এটা এই প্রথম দেখা যাচ্ছে। এটা সব সরকারের আমলেই চলে আসছে। মনে হয়, দুদিন পর মানুষ বলতে শুরু করবে ‘পরিবর্তন আসেই পরিবর্তন না হওয়ার জন্য’।
প্রথম পাতা
নির্বাচন নিয়ে বিলম্ব দেশকে বিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যাবে
লেনিনের একটি দিন
সাম্রাজ্যবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়াই এখনও শেষ হয়নি
সরকারের বোরো ধান সংগ্রহ ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষা করবে
গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি করে বিনিয়োগকারীদের লাগাম টানার চেষ্টা করছে সরকার
‘রঙ্গ’
চাল-আটাসহ বাড়তি দাম সবজির
রানা প্লাজা হত্যাকাণ্ডের একযুগ, শ্রমিকের জীবন...
শ্রমিকনেতা আবু তাহেরের মুক্তি দাবি সিপিবির
তেলের দাম বাড়িয়ে সরকার ব্যবসায়ীদের তোষণ করছে
আশা-নিরাশার বর্ষবরণ
Login to comment..