শিক্ষক লাঞ্ছনার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল

Facebook Twitter Google Digg Reddit LinkedIn StumbleUpon Email
একতা প্রতিবেদক : নারায়ণগঞ্জে স্কুলশিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে লাঞ্ছনার ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন হাইকোর্টে জমা দেওয়া হয়েছে। আগামী ২২ জানুয়ারি বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের বেঞ্চে প্রতিবেদনটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হবে। ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম শেখ হাফিজুর রহমান ৬৫ পৃষ্ঠার ওই প্রতিবেদনটি গত ১৯ জানুয়ারি উপস্থাপনের জন্য নিয়ে আসেন। এ দিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় সেটি সংশিষ্ট শাখায় জমা দেওয়া হয়। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জানান, ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম বিভিন্ন ধাপে সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন, ভিডিও ফুটেজ, অডিও রেকর্ডসহ বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করেছেন। মোট ৬৫ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন হলফনামা আকারে আদালতে দাখিল করেছেন। রাষ্ট্রপক্ষও এর অনুলিপি পেয়েছে। তবে শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে কান ধরে উঠ-বসের ঘটনায় স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ বিচারিক তদন্তে পাওয়া গেছে কি না- সে বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হননি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা। নারায়ণগঞ্জের পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট ছাত্র ও তার মা, জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও মসজিদের ইমামের সাক্ষ্য ওই প্রতিবেদনে রয়েছে। ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে গত বছরের ১৩ মে পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তিকে তারই স্কুলের প্রাঙ্গণে লাঞ্ছিত করা হয়। ঘটনাটি প্রকাশ পেলে দেশ জুড়ে নিন্দা-প্রতিবাদের ঝড় বয়ে যায়। ওই ঘটনার ভিডিওতে প্রধান শিক্ষককে কান ধরে উঠ-বসের নির্দেশ দিতে দেখা যায় স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানকে। এরপর তার শাস্তির দাবিও ওঠে। ওই ঘটনা নিয়ে সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে এলে গত বছরের ১৮ মে হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুলসহ অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেয়। রুলে সেলিম ওসমানসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়। আদালতের নির্দেশে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ একটি প্রতিবেদন দিলেও ‘সেলিম ওসমানকে ছাড় দিয়ে দায়সারা’ ওই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে ১০ আগস্ট বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। শ্যামল কান্তিকে কানধরে উঠ-বসের ঘটনায় সেলিম ওসমান জড়িত কিনা- তা খতিয়ে দেখে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমকে ৩ নভেম্বরে মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয় ওই আদেশে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা পড়েনি। এ ব্যাপারে রাষ্ট্রপক্ষ জানায়, প্রথমত নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ হয়নি। দ্বিতীয়ত, যে আদালত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন সে আদালতের বিচারিক এখতিয়ার পরিবর্তন হওয়ায় এবং অন্য কোনো আদালতে তা উপস্থাপন না হওয়ায় তা কার্যতালিকায় আসেনি।
শেষের পাতা
রাষ্ট্রীয় খাতেই আধুনিকায়ন করে পাটকল চালু করতে হবে
লুটেরাদের বিকল্প ক্ষমতা কেন্দ্র গড়ে তোলার আহ্বান
ছাত্র রাজনীতি বন্ধ সমাধান নয় বলছেন শিক্ষার্থীরা
সন্ত্রাসী ছাত্র সংগঠনগুলোর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে
‘বাড়তি টাকা নিয়ে এসেও কুলাতে পারছি না’
শিক্ষা বাণিজ্যের বিরুদ্ধে ছাত্র সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান
উপজেলা নির্বাচনে জামানত বৃদ্ধি দেশকে লুটেরাদের হাতে তুলে দেয়ার চক্রান্ত
ক্ষেতমজুর নেতা ছাইদার আলী মণ্ডলের মৃত্যুতে শোক
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল ও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ প্রতিষ্ঠাসহ ৮ দফা দাবি সিপিবির
খাল-বিলের পানি সেচে চলছে মাছ ধরার ধুম
সিন্ডিকেটকারীদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে না
৭ দিনের সংবাদ...

Print প্রিন্ট উপোযোগী ভার্সন



Login to comment..
New user? Register..