আমার দেখা সুনীল রায়

Facebook Twitter Google Digg Reddit LinkedIn StumbleUpon Email

দুলাল সাহা : তখন মুক্ত স্বাধীন বাংলাদেশ। ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চ হবে। এ মুহূর্তে তারিখটা মনে নেই। বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা সম্মেলন, গোদনাইল উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। তিন সাড়ে তিন শত ছাত্র-ছাত্রী, কিন্তু সাধারণ মানুষ হাজারেরও বেশি। জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেছেন সাদা পাজামা পাঞ্জাবি পরা এক ব্যক্তি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতাও শুনলাম নাতিদীর্ঘ। ছাত্রদের সমস্যা, শ্রমিকদের সমস্যা, সাধারণ মানুষের সমস্যার সমাধান হবে কিভাবে? তাও বললেন, কিন্তু কাটা কাটা কথা কম কথায় সাধারণ ভাষায়। যার কথা বলছি উনিই কমরেড সুনীল রায়। আমার কাছের এবং প্রিয় মানুষ। মনে কোন প্রশ্ন দেখা দিলে যার কাছে প্রাণ খুলে বলতে পারতাম, সমাধান কিভাবে তার কাছ থেকে জানতে চাইতাম তিনিই আমার সুনীল দা। আমার কেন আমাদের সুনীল দা। মা সচীবালা রায় ও বাবা বেদান্দ্র চন্দ্র রায়ের ঘরে বর্তমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর থানার শ্যামগ্রামে ১৯২১ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর নিম্ন মধ্যবিত্ত ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন কমরেড সুনীল। কয় ভাই বোন সঠিক তথ্য জানা নেই, কখনও বলেন নাই এই কমরেড। কৈশোরেই চলে আসতে হয় নারায়ণগঞ্জে মাসির কাছে। ইচ্ছে ছিল পড়াশুনা চালিয়ে যেতে পারবেন। কিন্তু হল না। মামা ছিলেন চিত্তরঞ্জন কটন মিলের বড় মাপের কর্মকর্তা। মামিও চেয়েছিলেন ভাগ্নে বাসায় থেকে স্কুলে পড়াশুনা করবে। তাও হল না। কারখানার শ্রমিকের অভাব অনটনের কথা শুনে তাদের হাজারো সমস্যার কথা জেনে মিল মালিকের অত্যাচারে নির্যাতনের কথা শুনে বাঘা বাঘা শ্রমিক নেতাদের বক্তৃতা সাধনের উপায় শ্রমিক রাজ তথা সমাজতন্ত্রই মুক্তি। জড়িয়ে পড়লেন শ্রমিকদের জীবনের পথে। ইতোমধ্যে পরিবারের অভাব অনটন আরও শোচনীয় রূপ ধারণ করলো। বাধ্য হয়েই চাকুরি নিলেন চিত্তরঞ্জন কটন মিলে। শ্রমিকের চাকুরি। তাছাড়া উপায় কি? শিক্ষাগত যোগ্যতা ৭ম/৮ম শ্রেণি। শুরু হলো নতুন চাকুরি নতুন জীবন। সুনীল দা’র বয়স তখন ১৩/১৪। এই কিশোর বয়সে নিজের জীবনের সাথেই মিলে গেলো শ্রমজীবী মানুষের জীবন, তার চারপাশে তখন ৪/৫টা সুতাকল ও অন্যান্য কারখানার হাজার হাজার শ্রমিক। যাদের জীবনের সঙ্গে নিজের জীবনের এমন গভীর মিল। আর তার থেকে মুক্তি পাওয়ার আকাক্সক্ষা নেয়া। যা পেয়েছৈন অনিল, নেপাল নাগ, মৃণাল চক্রবর্তী সহ বাঘা বাঘা কমিউনিস্ট শ্রমিক নেতাদের কাছ থেকে। তাছাড়া পারিবারিক সূত্রে শিশু বয়সেই তার নিজ গ্রামের আশেপাশের ৪/৫টা গ্রামে ছিল বৃটিশ বিরোধী স্বদেশীরা, ছিল অগ্নিযুগের বিপ্লবীরা। সুভাষ বোসের অনুসারী অনুশীলন গ্রুপের বিপ্লবীরা। তাদের প্রভাব শিশু অবস্থার ছিল। কিশোর অবস্থায় শ্রমিক হিসেবে কমিউনিস্টদের তথা সমাজ তত্ত্বের প্রতি বিশ্বাস। এইভাবেই চিত্তরঞ্জন কটন মিলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলেন সুনীল দা। ক্রমে হয়ে উঠলেন শ্রমিকদের প্রিয় নেতা। আপদে বিপদে শুধু কারখানার মধ্যে বা শ্রমিক কলোনিতেই সীমাবদ্ধ নয় এলাকার সাধারণ মানুষ শ্রমিকদের বাড়িঘর পরিবার বলা যায় সবার মধ্যে হয়ে উঠলেন সুনীল রায়। কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য হওয়ার কাজটা উনি শুরু করছেন ১৯৩৬ সাল থেকে। নেতারা দেখলেন পার্টি গড়ে তোলার চেষ্টা বাড়িয়ে দিলেন সুনীল। ফলে তার নিজের স্থানে যেতে বেগ পেতে হল না। ১৯৪২ সালে কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যপদ লাভ করলেন কমরেড সুনীল রায়। সেই সময় কমিউনিস্ট পার্টি প্রকাশ্যে রাজনীতি করার সুযোগ পায়। কমরেড সুনীল রায় শ্রমিকদের অর্থনৈতিক লাইব্রেরি-শৌচালয়-অন্যান্য দাবি দাওয়ার আন্দোলনের পাশাপাশি রাজনৈতিক আন্দোলনের একজন সামনের সারির নেতা হয়ে উঠলেন। যার জন্য ১৯৪২ সালে তাকে জেলে যেতে হয়। চার বছর পর ১৯৪৬ সালে মুক্তি পান তিনি। ১৯৪৭ সালেই মিল কর্তৃপক্ষ আফসার উদ্দিন নামে আরেক শ্রমিক নেতাসহ তাকে চাকুরিচ্যুত করলেন। শুরু হলো চুকুরির দাবিতে আন্দোলন লাগাতার আন্দোলণ, ধর্মঘট শুধু এই মিলেই সীমাবদ্ধ থাকল না আসে পাশের কারখানাগুলোতেও আন্দোলন ছড়িয়ে পড়লো। পুলিশের গুণ্ডা বাহিনী এমনকি সেনাবাহিনীকেও ডাকা হলো আন্দোলন থামানোর জন্য। ৮ জন শ্রমিক নিহত শতাধিত আহত। নির্যাতন গ্রেফতার চলতে থাকে। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর সঙ্গে মিলিত হয়ে মিল কর্তৃপক্ষ দমন নীতি বাড়িয়ে দিল। কিন্তু শ্রমিক আন্দোলন দমন করা গেলো না। এক পর্যায়ে কমিউনিস্ট ও শ্রমিক নেতাদের আত্মগোপনে যেতে বাধ্য করা হলো। আত্মগোপন অবস্থায় ১৯৫০ সালে দ্বিতীয় দফায় গ্রেফতার সুনীল মুক্তি পান ১৯৫৩ সালে। মুক্তির পর ঢাকার সূত্রাপুরের বাসায় নতুন করে আদমজী জুট মিলে চাকুরি নিয়ে আন্দোলন সংগ্রামে যুক্ত থাকলেন। ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের হয়ে কাজ করেন। যুক্তফ্রন্ট নির্বাচিত হলো, কিন্তু শ্রমিক শ্রেণির ভাগ্যের ন্যূনতম পরিবর্তন হল না। সাম্প্রদায়িক উস্কানি চললো। আবার আত্মগোপন পুলিশি হয়রানি এই অবস্থায় পুনরায় গ্রেফতার হলেন ১৯৬০ সুনীল। আবারও চার বছর। মুক্তি পেলেন ১৯৬৪ সালে। তখন শ্রমিক নেতাদের উপর নির্যাতন ক্রমশ বাড়তে থাকে। এর মধ্যেই আন্দোলন সংগ্রাম চলতে থাকে। সিদ্ধান্ত নারায়ণগঞ্জ থেকেই কাজ করবেন ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যূত্থানের পূর্বেই গ্রেফতারি পরোয়ানা, আবার আত্মগোপনে। এই অবস্থায় পার্টির সাথে যুক্ত থাকলেন সুনীল। নারায়ণগঞ্জের সুতাকল পাটকলগুলোতে শ্রমিক আন্দোলন রাজনৈতিক সামাজিক আন্দোলনের শুধু নেতাই ছিলেন না এক পর্যায়ে উনিই ছিলেন প্রধান নেতা। স্বাধীনতা সংগ্রামে সুনীল রায় মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে কাজ করেছেন। মুক্তিযুদ্ধে গেরিলা বাহিনীর ক্যাম্পে ছিল তাঁর অন্যান্য সাধারণ ভূমিকা। ন্যাপ ছাত্র ইউনিয়ন কমিউনিস্ট পার্টির যৌথ গেরিলা বাহিনীর শত শত মুক্তিযোদ্ধা এই এলাকা থেকেই যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। যার প্রেক্ষিতে বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ে কমরেড সুনীল রায়ের ফটোগ্রাফটি শোভা পাচ্ছে। স্বাধীনতার পর সূত্রাপুর থাকলেও প্রথম দিকে নারায়ণগঞ্জের পার্টির দায়িত্ব ছিল কমরেড সুনীল রায়ের উপর। তার কাছ থেকে মার্কসবাদের প্রাথমিক ধারণা পাই। তাই গর্বের সাথে বলতে পারি উনিই আমার রাজনৈতিক প্রথম এবং প্রধান গুরু। ছোটদের রাজনীতি ছোটদের অর্থনীতি সাম্যবাদের ভূমিকা এই বইগুলো উনিই ব্যাখ্যা করে বুঝিয়েছেন। যার একাডেমিক শিক্ষা ৭ম/৮ম শ্রেণি এই শিক্ষা নিয়ে কিভাবে সম্ভব কর্মীদের রাজনৈতিক ভাবে শিক্ষিত করে গড়ে তোলা। রবীন্দ্র সাহিত্য নিয়ে মাঝে মাঝে আলোচনা করতে লক্ষ্য করা গেছে। আর এই অসম্ভব কাজটা সম্ভব হয়েছে কাজের পাশাপাশি পড়াশুনা করার মধ্য দিয়ে। আত্মগোপনে থাকা জেলের মধ্যে অন্যান্য মার্কসবাদীদের সম্পর্ক গড়ে উঠে। নিজের একান্তিক প্রচেষ্টার কারণে যা আমাদের সমাজে শুধু নয় এখন অনেক বড় মাপের কমিউনিস্ট নেতৃবৃন্দের মধ্যে লক্ষ্য করা যায় না। একটা সময় কমরেড সুনীল রায় নারায়ণগঞ্জ শহরের আশেপাশের দায়িত্বে ছিলেন না। বৃহত্তর ঢাকা জেলায় দায়িত্বে চলে যান তিনি। এই কারণে আমার মনে হয় নারায়ণগঞ্জ পার্টিতে যথেষ্ট পরিমাণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাঁর অভিজ্ঞতা ত্যাগ পার্টি গড়ে তোলার জন্য আন্দোলন এর কৌশল সর্বোপরি কোন কমরেডকে কোথায় কাজে লাগানো এইসব দূরদর্শী কাজগুলো উনি সঠিকভাবে করতে পারতেন। কয়েকটা ঘটনায় আমাকে উপরোক্ত কথাগুলো হয়েছে। আমরা যখন ছাত্র ইউনিয়ন করি আমাদের সর্বসাধারণ এই ছাত্রনেতা আমাদের প্রায় তিন বৎসর পরে পার্টির সাদস্য পদ পান। কিন্তু ওর পারিবারিক ঝামেলা ছিল। বিশেষ করে মা বাবার সাথে স্বাভাবিক আচরণ করতেন না। এগুলো আমাদের পক্ষে খুবই আপত্তিজনক ছিল। আমরা প্রাথমিক চেষ্টা করে ব্যর্থ হই এবং তাঁকে পার্টি থেকে বের করে দেই। কমরেড সুনীল রায় এই ঘটনা জানতে পেরে আমাদের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে কিছুই করেন নাই। কিন্তু উনি ঐ কমরেডের সাথে যোগাযোগ রাখতেন তার বাসায় থাকতেন খেতেন এবং সময় কাটাতেন। ঐ কমরেড এখনও আমাদের শুভানুধ্যায়ী। এ থেকে বুঝা যায় পার্টির সিদ্ধান্তকে মেনে নিলেন সাথে সাথে ঐ কমরেড যাতে শত্রু শিবিরে না যায় তার জন্য তার সাথে যোগাযোগ রাখতেন। বিলোপবাদের জন্মের পরে একজন ভাল কমরেড কমিউনিস্ট কেন্দ্রের সাথে যোগাযোগ রাখতেন। কমরেড সুনীল রায় নারায়ণগঞ্জ এসে তাঁর বাসায় থাকতেন, খাওয়া-দাওয়া করতেন। ঐ কমরেড শত্রু শিবিরে যান নি। কমিউনিস্ট কেন্দ্রের সাথে সম্পর্ক রাখলেন না ছাত্রাবস্থায় আমরা কয়েকজন মোটামোটি সিদ্ধান্ত নিয়ে দেখলাম বিপ্লব করতে হলে বেশি একাডেমিক লেখাপড়া দরকার নাই এবং বিয়ে করাও ঠিক না। উনি পড়ের ঘটনাটা জেনে কেন বিয়ে করার দরকার এবং মানুষের স্বাভাবিক জীবনে বাধাগ্রস্ত যাতে না হয় তা ব্যাখ্যা করেন আমাদের শিশু সুলভ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন সাহায্য করছেন। অনেক ছোট ছোট ঘটনা আসলে কত বড় তা বুঝা যায় এখন। একদিন এক শ্রমিক তার স্ত্রীকে পেটাচ্ছে। তখন পাশের বাড়িতেই ছিলেন কমরেড সুনীল রায়। খবর পেয়ে ছুটে গেলেন এবং ঐ শ্রমিকটিকে নিরস্ত্র করলেন, বৌ পেটানো অন্যায় এই বলে তাকে ধমকালেন। মজার ব্যাপার ঐ শ্রমিকের স্ত্রী তখন সুনীল রায়ের উপর ক্ষেপে গেলেন এবং বললেন আমার স্বামী আমাকে মারুক কাটুক তাতে আপনার কি। অথচ এই পরিবার পার্টির সাথে খুবই ঘনিষ্ট স্বামী-স্ত্রী উভয়েই কমরেডকে শুধু ভালবাসেন তাই নয় আত্মগোপন এর সময় তাদের বাড়িতেও থাকতেন শুধু স্বামী-স্ত্রী নয় সমস্ত পরিবারই সুনীল রায়কে ভালবাসেন। এই ব্যাপারে আমরা আমাদের সমাজের পুরুষতান্ত্রিকতার কুফলের পরিচয় পাই। ডা. হিসেবে সুনীল রায়কে অনেক জানতেন। শ্রমিক পরিবারে অসুখ লেগে থাকাটা স্বাভাবিক। উনি সাধারণ রোগের চিকিৎসায় রোগীকে দেখে সেই অনুযায়ী ওষুধের নাম লিখে কিভাবে খাওয়াতে হবে তা বলে দিতেন। প্রায় সবাই সুস্থ হয়ে উঠতেন, যার ফলে অনেকেই তার কাছে চিকিৎসার জন্যও আসতেন। সুনীল দা জীবনের শেষ সময়টা অসুস্থ অবস্থায় নারায়ণগঞ্জেই কাটিয়েছেন। আমরা তাঁকে নারায়ণগঞ্জে রাখার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। সিদ্ধান্তটি সঠিক ছিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। জেলার প্রায় সব কমরেডই তাকে সেবা করার দায়িত্ব অনুভব করেছেন। শুধু পার্টির কমরেড এই নয় যারা পার্টি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন তারাও টাকা পয়সা দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। অনেকেই স্বশরীরে সেবা যতেœর দায়িত্ব পালন করেছেন। কমরেড সুনীল রাজনীতি শুরু করেছেন নারায়ণগঞ্জ থেকে। শেষ নিঃশ্বাসও ত্যাগ করলেন এই নারায়ণগঞ্জেই। সুনীল দা যে সত্যিকারের শ্রমিকশ্রেণির বন্ধু ছিলেন তাই নয়, শ্রমিক শ্রেনির মুক্তির জন্য মার্কসবাদ-লেলিনবাদের আদর্শ একমাত্র পথ এটা বুঝেছেন, ধারণ করেছেন এবং করতে গিয়ে শত অত্যাচার নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত লাল পতাকা ছাড়েননি। বাংলাদেশের বিবেচনায় উনি হয়তো বড় মাপের নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন না, কিন্তু তার কাজ তাঁকে সত্যিকারের কমিউনিস্ট করে তুলেছেন। একটা অভিযোগ ‘অক্ষের লেঞ্জায় ছেলা যায়’ এখনও আমি বিশ্বাস করি। সুনীল দাকে যদি সব সময়ের জন্য পার্টির দায়িত্বে রাখা হতো তাহলে গোদনাইল শিল্পাঞ্চলসহ নারায়ণগঞ্জ জেলায় আরও শক্তিশালী পার্টি থাকতো। শত শত কমিউনিস্ট থাকতো। শেষ করছি আমাদের পার্টির নেতা বিখ্যাত দার্শনিক সরদার ফজলুল করিমের কথা দিয়ে। উনাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল- কমিউনিস্ট মানে কি? উনি উত্তরে বলেছিলেন- ‘কমিউনিস্ট কি আমি জানি না। তবে একজন ভাল মানুষই কমিউনিস্ট। সেই অনুযায়ী কমরেড সুনীল রায় একজন সত্যিকারের কমিউনিস্ট।’ লেখক: সদস্য, সিপিবি, নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটি।

Print প্রিন্ট উপোযোগী ভার্সন



Login to comment..
New user? Register..