নির্বাচনী বন্ড ব্যবস্থা অসাংবিধানিক রায় ভারতের সুপ্রিম কোর্টের

Facebook Twitter Google Digg Reddit LinkedIn StumbleUpon Email
একতা বিদেশ ডেস্ক : নির্বাচনের ঠিক আগে বড় ধাক্কা খেল ভারতের কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকার। ইলেক্টোরাল বন্ড বা নির্বাচনী বন্ড ব্যবস্থা অসাংবিধানিক বলে রায় দিলেন সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন ৫ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ সর্বসম্মতভাবে এ রায় দিয়ে জানান, বেনামি নির্বাচনী বন্ডের ফলে নাগরিকদের তথ্য জানার অধিকার হরণ হচ্ছে। ফলে সংবিধানের ১৯ (১) (ক) ধারা ভঙ্গ হচ্ছে। তাই অবিলম্বে এ প্রকল্প প্রত্যাহার করতে হবে। নরেন্দ্র মোদি সরকার ২০১৮ সালে এ ব্যবস্থা চালু করেছিল। সরকারের দাবি ছিল, ফলে নির্বাচনে কালো টাকার ব্যবহার বন্ধ হবে। নির্বাচনী তহবিলে স্বচ্ছতা আসবে। মামলার বিরোধিতা করে সরকার সর্বোচ্চ আদালতকে জানিয়েছিল, রাজনৈতিক দল কে, কার কাছ থেকে কত টাকা পাচ্ছে, তা জানার অধিকার ভোটারদের থাকতে পারে না। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছেন, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়াকে অবিলম্বে এ ব্যবস্থায় অর্থ সংগ্রহ বন্ধ করে দিতে হবে। এত দিন ধরে ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক বন্ড মারফত কার কাছ থেকে কত টাকা সংগ্রহ করেছে, কোন দল কার কাছ থেকে কত অর্থ পেয়েছে, সব জানাতে হবে। এযাবৎ বন্ড মারফত রাজনৈতিক দলগুলো যত অর্থ সংগ্রহ করেছে, দেখা গেছে, তার সিংহভাগ (প্রায় ৯০ শতাংশ) পেয়েছে শাসক দল বিজেপি। অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফমর্সের (এডিআর) সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২–২৩ অর্থবর্ষে জাতীয় দলগুলো বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও করপোরেট সংস্থা থেকে ৮৫০ কোটি টাকার বেশি অর্থিক অনুদান পেয়েছে। এর শীর্ষে রয়েছে বিজেপি। এই অর্থের মধ্যে শুধু তাদের প্রাপ্তি ৭১৯ কোটি ৮০ লাখ রুপি। কংগ্রেস পেয়েছে ৮০ কোটি রুপির মতো। প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় ছাড়াও ওই বেঞ্চের ছিলেন বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, বি আর গাভাই, জে বি পর্দিওয়ালা ও মনোজ মিশ্র। পাঁচ বিচারপতির সিদ্ধান্তই সর্বসম্মতভাবে গৃহীত।

Print প্রিন্ট উপোযোগী ভার্সন



Login to comment..
New user? Register..