একতা বিদেশ ডেস্ক : গণতন্ত্রপন্থী দলকে হটিয়ে ক্ষমতা দখলের পর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে সামরিক জান্তা মিয়ানমারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে। সামরিক শাসনকে ক্ষমতার মসনদ থেকে নামাতে একজোট হয়ে আন্দোলন করছে গণতন্ত্রকামী ও বিচ্ছিন্নতাবাদী বেশ কয়েকটি দল। ইতোমধ্যেই তারা ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট নামে একটি ছায়া সরকার গঠন করেছে। সরকার তাদের বিপ্লবকে এগিয়ে নিতে বরাবরই জনগণের আর্থিক অনুদানের ওপর নির্ভর করে আসছে। এবার আর্থিক সহায়তার পরিসর আরও বাড়াতে বন্ড ছাড়া হয় সরকারের পক্ষ থেকে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ছাড়ার প্রথম তিন ঘণ্টাতেই ৩ মিলিয়ন ডলারের বন্ড বিক্রি হয়। আর দিনের শেষে তা দাঁড়িয়েছে ৬.৩ মিলিয়ন যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। সরকারের লক্ষ্য হলো ১ বিলিয়ন ডলারের বন্ড বিক্রি করা। ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট (এনইউজি)’র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ১০০ ডলার, ৫০০, ১০০০ ও ৫০০০ ডলার মূল্যের দুই বছর মেয়াদী এসব বন্ড প্রধানত বিদেশে অবস্থানকারী মিয়ানমারের নাগরিকদের কাছে বিক্রি করা হয়। এই বন্ডগুলো থেকে কোনো মুনাফা না পাওয়া গেলেও দেশটির নাগরিকরা তা কিনছেন। এ বিষয়ে এনইউজি’র মুখপাত্র ড. সাসা এক ফেসবুক পোস্টে বলেন, এর মাধ্যমে, ফ্যাসিস্ট মিলিটারি শাসনের ভিতকে উপড়ে ফেলতে মানুষের উৎসাহ দেখছি আমি। জান্তা সরকারের ভাষ্য অনুযায়ী, এনইউজি’র নামের এই ছায়া সরকার একটি ‘সন্ত্রাসী’ আন্দোলন পরিচালনা করছে। তবে বন্ডের বিষয়ে জান্তা সরকারের কারও বক্তব্য পায়নি বার্তা সংস্থা রয়টার্স। ২৭ বছর বয়সী একজন নাগরিক এই বন্ডের পেছনে ৫০০ ডলার বিনিয়োগ করেছেন। তিনি বলেছেন, দুই বছর পর এই বন্ডের টাকা ফেরত পাওয়ার আশা আমরা করি না। আমরা এটা কিনছি, কারণ আমরাও এই বিপ্লবে অবদান রাখতে চাই।