পাপুয়া নিউ গিনিতে অস্ট্রেলিয়ার বন্দিশিবির বন্ধ হচ্ছে

Facebook Twitter Google Digg Reddit LinkedIn StumbleUpon Email
একতা বিদেশ ডেস্ক : আশ্রয়প্রার্থীদের আর পাপুয়া নিউ গিনির বন্দিশিবিরে পাঠাবে না অস্ট্রেলিয়া। প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে দুটি দেশের মধ্যে পাপুয়া নিউ গিনি একটি, যাদেরকে বন্দিদের আটক রাখার জন্য অর্থ দিয়ে থাকে ক্যানবেরা। যেসব মানুষ অবৈধপথে নৌকাযোগে অস্ট্রেলিয়ায় শরণার্থী হিসেবে প্রবেশ করতে চান এবং যারা অস্ট্রেলিয়ায় আশ্রয় প্রার্থনা করেন, তাদেরকে আটক করে ওই বন্দিশিবিরে পাঠানো হতো। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া বলেছে, এ বছরের শেষে পাপুয়া নিউ গিনির সঙ্গে তাদের এ চুক্তি শেষ হচ্ছে। তবু তারা তাদের এই বিভক্তিকারী অফসোর প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখবে প্রত্যন্ত নাউরু দ্বীপে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যারেন অ্যানড্রুজ বলেছেন, সীমান্ত সুরক্ষা বিষয়ক কঠোর নীতি পরিবর্তন করেনি অস্ট্রেলিয়া। যেকেউ, যদি অবৈধ উপায়ে বোটে করে অস্ট্রেলিয়া পৌঁছার চেষ্টা করেন, তাহলে তাকে ফেরত পাঠানো হবে, না হয় নাউরু দ্বীপে পাঠিয়ে দেয়া হবে। আশ্রয় প্রার্থনা কি অবৈধ এ বিষয়ে কোনো পরিষ্কার মন্তব্য না করেই তিনি এসব বলেন। এখনও পাপুয়া নিউ গিনির বন্দিশিবিরে অবস্থান করছেন ১২০ জন আশ্রয়প্রার্থী বা শরণার্থী। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে পাপুয়া নিউ গিনির চুক্তি শেষ হয়ে যাওয়ায় তাদেরকে এখন সেখানেই বসতি স্থাপন করতে হবে। না হয় পাঠিয়ে দিতে হবে নাউরু দ্বীপের বন্দিশিবিরে। আট বছর ধরে পাপুয়া নিউ গিনিতে অবস্থান করছে অস্ট্রেলিয়া। এ সময়ে সেখানকার বন্দিশিবিরে বড় রকমের সহিংসতা হয়েছে। হয়েছে অনশন ধর্মঘট, দাঙ্গা। এমনকি আশ্রয়প্রার্থী একজন ইরানিকে হত্যা করেছেন প্রহরীরা। সহিংসতা, অপর্যাপ্ত মেডিকেল সুবিধার কারণে অথবা আত্মহত্যা করে এ পর্যন্ত পাপুয়া নিউ গিনি এবং নাউরু দ্বীপে অস্ট্রেলিয়ার বন্দিশিবিরে মোট ১৩ জন মারা গেছেন। সেখানে বন্দি থাকা সাবেক বন্দি ও শরণার্থী থানুস সেলভারাসা বলেছেন, পাপুয়া নিউ গিনিতে বন্দিশিবির বন্ধ করে দেয়া একটি ভাল সিদ্ধান্ত। কিন্তু আট বছর সেখানে বন্দিশিবির পরিচালনা করা হয়েছে। এ এক লম্বা সময়। শরণার্থীদের পুনর্বাসনের জন্য পাপুয়া নিউ গিনি নিরাপদ নয়। তিনি আরো বলেন, আমরা অস্ট্রেলিয়া এসেছিলাম আশ্রয়ের সন্ধানে। কিন্তু আমাদেরকে অফসোর প্রক্রিয়ায় সরিয়ে আনা হয়েছে। তারা প্রতিটি সময় নীতি পরিবর্তন করেছে। তারা আমাদের জীবন নিয়ে রাজনীতি করছে। অন্য অধিকারকর্মীরা অস্ট্রেলিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাকিদের নিরাপদ পুনর্বাসনের। শরণার্থী মর্যাদা প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর পাপুয়া নিউ গিনিতে এ পর্যন্ত পাঠানো হয়েছে কমপক্ষে ১৯০০ মানুষকে। বহু মানুষ সেখানে বছরের পর বছর অবস্থান করেছেন। কারণ, অস্ট্রেলিয়ার ২০১৩ সালের অভিবাসন আইন কঠোর করা হয়েছে। তাতে বোটে করে যাওয়া আশ্রয়প্রার্থীদের পুনর্বাসনের ভিসা প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।

Print প্রিন্ট উপোযোগী ভার্সন



Login to comment..
New user? Register..