লকডাউনে শ্রমজীবীদের জন্য প্রণোদনার পরিমাণ বাড়ানোর দাবি ক্ষেতমজুর সমিতির

Facebook Twitter Google Digg Reddit LinkedIn StumbleUpon Email
একতা প্রতিবেদক : বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডা. ফজলুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন রেজা এক বিবৃতিতে বলেছেন, করোনা মোকাবেলায় দেওয়া ‘লকডাউন’ বা বিধিনিষেধে ক্ষতিগ্রস্ত নিম্নআয়ের মানুষের সহায়তায় ৩২’শ কোটি টাকার নতুন প্রণোদনা ঘোষণা করেছে সরকার। পাঁচটি প্যাকেজের আওতায় এ প্রণোদনা দেওয়া হবে। এর মধ্যে একটিতে নিম্নআয়ের ১৭ লাখ ২৪৫ হাজার ৪৭০ জন শ্রমজীবী মানুষকে এককালীন নগদ আড়াই হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য ৪৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে যার মধ্যে দিনমজুর ১৪ লাখ ৩৭ হাজার ৩৮৯ জন। কিন্তু অর্থনীতিবিদদের হিসাবে দেশে বর্তমানে হতদরিদ্র পরিবারের সংখ্যা ১ কোটিরও ওপরে। আর এককালীন আড়াই হাজার টাকা দিয়ে একটি ছোট পরিবারের সাতদিনও চলে না। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ উপকারভোগী শ্রমজীবী মানুষের সংখ্যা ও প্রণোদনার পরিমাণ বৃদ্ধি করে ৫ হাজার টাকা করার দাবি জানান। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, গত প্রায় দেড় বছর ধরে করোনাকালীন সময়ে ক্ষেতমজুরসহ গ্রামীণ মজুর ‘যারা দিন এনে দিন খায়’ তারাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। করোনা মহামারির শুরু থেকে সরকারের বিভিন্ন প্রণোদনা ও খাদ্য সহায়তা বিতরণে দেখা গেছে এসব বরাদ্দ সাধারণ গরিব মানুষ খুব কমই পাচ্ছেন। বেশিরভাগ অর্থ, খাদ্য সহায়তা স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বার ও সরকারদলীয় লোকজন তাদের পছন্দ অনুযায়ী দলীয় লোকজনকে, টাকার বিনিময়ে প্রয়োজন নেই এমন লোকদের দিয়ে দিচ্ছেন। বিবৃতিতে ক্ষেতমজুর নেতারা ক্ষতিগ্রস্ত নিম্নআয়ের মানুষের তালিকা করার সময় ক্ষেতমজুরদের প্রতিনিধিদের যুক্ত করার আহ্বান জানিয়ে বলেন এসব তালিকা করে তা জনসম্মুখে প্রকাশ করতে হবে। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, বর্তমান প্রণোদনা প্যাকেজে স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে ৩৩৩ নম্বরে ফোনে জনসাধারণের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে খাদ্য সহায়তা দেওয়ার জন্য ১০০ কোটি টাকার বিশেষ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। কিন্তু অনেক সাধারণ মানুষ এ তথ্যটি জানেন না। আবার দেখা যাচ্ছে, অনেকে ফোন করেও সহায়তা পান না। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, গ্রামীণ এলাকার কর্মসৃজনমূলক কার্যক্রমে অর্থায়নের জন্য পল্লী কর্মসংস্থান ব্যাংক ও পিকেএসএফের মাধ্যমে ৪ শতাংশ সুদে ঋণ সহায়তা দিতে আগের বরাদ্দের অতিরিক্ত ১৫’শ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। কিন্তু গতবছর ঋণের বড় একটা অংশ সরকারের কোষাগারে ফেরত গেছে। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে সাধারণ গরিব মানুষ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। ঋণ নিয়ে তা ফেরত দিতে পারবে কিনা, তা নিয়েও তারা চিন্তিত। এ কারণে ঋণ নিতে তারা কম আগ্রহী। এজন্য নেতৃবৃন্দ ঋণে বরাদ্দ কমিয়ে নগদ সহায়তার পরিমাণ বাড়ানোর দাবি জানান। নেতৃবৃন্দ সরকারি ও এনজিও ঋণের কিস্তি আপতকালীন সময়ে স্থগিত রাখারও দাবি জানান।

Print প্রিন্ট উপোযোগী ভার্সন



Login to comment..
New user? Register..