
একতা বিদেশ ডেস্ক :
মানবাধিকার হরণে অভিযুক্ত মিসরের কাছে ২০ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। তবে একই অভিযোগে অভিযুক্ত সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে অস্ত্র বিক্রির সিদ্ধান্ত পর্যালোচনার ঘোষণা দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। নতুন দায়িত্ব নেওয়া এই প্রশাসন বলছে, কায়রোর কাছে অস্ত্র বিক্রি করলেও মানবাধিকার ইস্যুতে তাদের ওপর চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রাখা হবে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধে মানবাধিকার হরণের অভিযোগে সৌদি আরবকে সমর্থন দেওয়া বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। একই কারণে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে সামরিক বিমান বিক্রির সিদ্ধান্ত পর্যালোচনার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে তারা। তারপরও মানবাধিকার হরণে অভিযুক্ত মিসরের কাছে ১৬৮টি ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ১৯ কোটি ৭০ লাখ ডলারের বিনিময়ে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো কেনার আবেদন করে মিসরের নৌবাহিনী। উপকূলীয় এলাকা এবং লোহিত সাগর অঞ্চলের নিরাপত্তার প্রয়োজনে এসব অস্ত্র প্রয়োজন বলে জানায় তারা। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর জানিয়েছে, ওই আবেদন অনুমোদন করা হয়েছে। ওই বিবৃতিতে মধ্যপ্রাচ্যে মিসরকে গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত সহযোগী আখ্যা দেওয়া হয়েছে। এর আগেও মিশরের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল ২০টি মানবাধিকার সংস্থা। তা সত্ত্বেও আব্দেল ফাতাহ এল-সিসিকে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ জানিয়েছিল, মিশরের কাছে অস্ত্র বিক্রি চালিয়ে যাবে তার দেশ। একদা মিশরে বিপুল হারে অস্ত্র বিক্রি করেছে জার্মানী। মার্কিন এবং ইউরোপীয় অস্ত্র সজ্জিত মিশরীয় সশস্ত্র বাহিনী কাদির ২০২০-তে ব্যাপক পরিমাণে সামরিক মহড়া চালিয়েছে।