নিত্যপণ্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধিতে উদ্বেগ বাম জোটের
একতা প্রতিবেদক :
বাম গণতান্ত্রিক জোট কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সমন্বয়ক ও বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বজলুর রশীদ ফিরোজ এবং কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সদস্য সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম, বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাসদ (মার্কসবাদী)-র সাধারণ সম্পাদক মুবিনুল হায়দার চৌধুরী, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহ্বায়ক হামিদুল হক গত ১০ অক্টোবর এক যুক্ত বিবৃতিতে চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজ, সবজিসহ নিত্যপণ্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে বাজার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার আওতায় রাখার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে চরমভাবে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে চলেছে। বার বার সময় বাড়িয়েও বোরো ধান-চাল ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি। চালকল ও চাতাল মালিকদের সিন্ডিকেটের কাছে চালের বাজার আজ জিম্মি, সরকার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে বরং তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে। পেঁয়াজের দাম গত বছর ৩০০ টাকা কেজি হয়েছিল, এবারেও ১০০/১২০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। গত বছরের সংকট থেকে কোন শিক্ষাই সরকার নেয়নি, ফলে এবারেও পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে গেছে। আলুর দাম গত বছরের দ্বিগুণ হয়ে ৪৫/৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ৫০ টাকা কেজির নিচে কোন সবজি নাই। করলা, টমেটো ১০০/১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। মসুর ডালের দামও বেড়েছে। সয়াবিন তেল লিটার প্রতি ৫/৭ টাকা বেড়েছে। এ অবস্থায় জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, করোনা সংকটে সকল মানুষের আয় কমেছে, কর্মহীন হয়েছে অনেকে; দারিদ্র বেড়েছে। এ অবস্থায় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্ধ্বগতি জনজীবনকে পর্যদুস্ত করে ফেলছে।
বিবৃতিতে বাজার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ, খাদ্য পণ্যের বেসরকারি বাণিজ্য বন্ধ করে রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণে আনা, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করে জনগণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখা এবং গ্রাম-শহরে শ্রমজীবী ও মধ্যবিত্তদের জন্য আর্মি রেটে রেশনিং ব্যবস্থা এবং গণবণ্টন ব্যবস্থা চালুর দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে মূল্যবৃদ্ধি রোধ ও বাজার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তোলার জন্য বাম-প্রগতিশীল-গণতান্ত্রিক শক্তির প্রতি আহ্বান জানান।
পরে ১৫ অক্টোবর বাম জোটের এক সভার প্রস্তাবেও চাল, ডাল, তেল, লবণ, পেঁয়াজ, আদা, রসুনসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন।
প্রস্তাবে বাজার সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম বন্ধ, বাজার মনিটরিং জোরদার করা, গ্রাম-শহরের গরীব-নিন্মমধ্যবিত্ত-মধ্যবিত্তদের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালুসহ গণবণ্টন ব্যবস্থা জোরদার করার আহ্বান জানানো হয়।
Login to comment..