সাতক্ষীরায় বাড়ছে লবণসহিষ্ণু ধানের আবাদ

Facebook Twitter Google Digg Reddit LinkedIn StumbleUpon Email
সাতক্ষীরা সংবাদদাতা : লবণাক্ততা বাড়ার কারণে আবাদযোগ্যতা হারাচ্ছে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরার ফসলি জমি। এ প্রতিকূলতার মাঝে কৃষকদের আশার আলো হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ পরমাণ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) উদ্ভাবিত লবণসহিষ্ণু জাতের ধান। কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, কলারোয়া ছাড়া সাতক্ষীরার বাকি সব উপজেলায় ফসলি জমিতে লবণাক্ততা বাড়ছে। এসব উপজেলায় বিনা-১০, ৬৭ ও ৪৭ জাতের ধান আবাদ করে ভালো ফলন পাওয়া গেছে। এ কারণে পুরো জেলায় লবণসহিষ্ণু ধানের আবাদ বাড়ছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি ২০১৯-২০ মৌসুমে সাতক্ষীরার সাত উপজেলায় ৮০ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় ২৫ হাজার ৫০০ হেক্টর, কলারোয়ায় ১৪ হাজার হেক্টর, তালায় ২০ হাজার ২০০ হেক্টর, দেবহাটায় ৬ হাজার হেক্টর, কালিগঞ্জে ৫ হাজার ৪০০ হেক্টর, আশাশুনিতে সাত হাজার এবং শ্যামনগরে ১ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হবে। এরই মধ্যে ৬৭ হাজার ৩৬১ হেক্টর জমিতে ধান আবাদ শেষ হয়েছে। কৃষি কর্মকর্তারা জানান, উপকূলীয় এ জেলার বিভিন্ন ফসলি জমিতে ৮ থেকে ১৪ টিডিএস মাত্রার লবণাক্ততার উপস্থিতি রয়েছে। এ তীব্রমাত্রার লবণাক্ততার কারণে ফসল উৎপাদন প্রায় অসম্ভব। তবে এসব জমিতেও বিনা-১০, ৬৭ ও ৪৭ জাতের ধান আবাদ করে ভালো ফলন পাওয়া যায়। এ তিন প্রজাতির ধান ১২ থেকে ১৪ টিডিএস মাত্রা পর্যন্ত লবণ সহ্য করতে পারে। গত মৌসুমে কৃষকরা এসব জাতের আবাদ করে ভালো ফলন পেয়েছেন। তাই জেলায় লবণাক্ততা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লবণসহিষ্ণু ধানের আবাদ বাড়ছে। আশাশুনি উপজেলার আইতলা গ্রামের কৃষক পলাশ হোসেন জানান, তার এলাকার অধিকাংশ ফসলি জমিতে লবণাক্ততার পরিমাণ বেশি। এ কারণে কয়েক বছর বোরো আবাদ করে ফলন না পেয়ে লোকসান গুনতে হয়েছে। গত মৌসুমে স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে ১৫ বিঘা জমিতে লবণসহিষ্ণু বিনা-৬৭ জাতের বোরো ধান আবাদ করেন। এতে ভালো ফলন পাওয়ায় এবার ৪০ বিঘা জমিতে বিনা-১০ ও ৬৭ জাতের আবাদ করেছেন বলে জানান তিনি। মহাজনপুর গ্রামের কৃষক নুর ইসলাম জানান, চলতি মৌসুমে ২০ বিঘা জমিতে লবণসহিষ্ণু বিনা-৪৭ জাতের ধান আবাদ করেছি। গত মৌসুমে একই পরিমাণ জমিতে এ জাতের ধান চাষ করে বিঘাপ্রতি ২০ থেকে ২২ মণ পর্যন্ত ধান উৎপাদন হয়েছিল। সদর উপজেলার বাটকেখালী গ্রামের কৃষক তুহিন হোসেন বলেন, চলতি মৌসুমে ২৫ বিঘা পরিমাণ জমিতে বোরো ধান আবাদ করেছি। এর মধ্যে বেশির ভাগ জমিতে বিনা ১০ জাতের ধান লাগিয়েছি। এ জাত যেমন লবণসহিষ্ণু, তেমনি ফলনও খুব ভালো। গত মৌসুমে বিঘাপ্রতি ১৭ থেকে ১৮ বস্তা (প্রতি বস্তায় ৬০ কেজি) পর্যন্ত ধান পেয়েছিলাম। এর আগে যেসব জাতের ধান চাষ করেছিলাম, তাতে ধান পেয়েছিলাম সর্বোচ্চ ১৪ বস্তা। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক অরবিন্দু বিশ্বাস জানান, কলারোয়া বাদে সাতক্ষীরার বাকি উপজেলাগুলোয় ফসলি জমিতে তীব্রমাত্রার লবণাক্ততা পাওয়া গেছে। এসব জমিতে ৮ থেকে ১৪ টিডিএস মাত্রা পর্যন্ত লবণাক্ততা রয়েছে। তাই চলতি মৌসুমে এসব এলাকার প্রায় ৯০ শতাংশই লবণসহিষ্ণু উচ্চফলনশীল জাতের ধান আবাদ করা হচ্ছে। বিশেষ করে বিনা-১০, ৬৭ এবং ৪৭ জাতের ধান আবাদ হচ্ছে বেশি। এ তিন প্রজাতির ধান ১২-১৪ ডিএস মাত্রার লবণ সহ্য করতে পারে। এসব জাত আবাদ করে হেক্টরপ্রতি ছয় টন পর্যন্ত ধান পাওয়া সম্ভব। তিনি বলেন, এবার জেলায় ৮০ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরই মধ্যে ৮৫ শতাংশ লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে।
শেষের পাতা
রাষ্ট্রীয় খাতেই আধুনিকায়ন করে পাটকল চালু করতে হবে
লুটেরাদের বিকল্প ক্ষমতা কেন্দ্র গড়ে তোলার আহ্বান
ছাত্র রাজনীতি বন্ধ সমাধান নয় বলছেন শিক্ষার্থীরা
সন্ত্রাসী ছাত্র সংগঠনগুলোর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে
‘বাড়তি টাকা নিয়ে এসেও কুলাতে পারছি না’
শিক্ষা বাণিজ্যের বিরুদ্ধে ছাত্র সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান
উপজেলা নির্বাচনে জামানত বৃদ্ধি দেশকে লুটেরাদের হাতে তুলে দেয়ার চক্রান্ত
ক্ষেতমজুর নেতা ছাইদার আলী মণ্ডলের মৃত্যুতে শোক
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল ও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ প্রতিষ্ঠাসহ ৮ দফা দাবি সিপিবির
খাল-বিলের পানি সেচে চলছে মাছ ধরার ধুম
সিন্ডিকেটকারীদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে না
৭ দিনের সংবাদ...

Print প্রিন্ট উপোযোগী ভার্সন



Login to comment..
New user? Register..