একতা প্রতিবেদক :
দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করলেন মাহমুদুল হাসান জয়। তার এই ইনিংসের উপর ভর করেই ইতিহাস গড়ে প্রথমবারের মতো আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। ৬ ফেব্রুয়ারি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে টাইগার যুবারা। এর আগে প্রথম সেমিফাইনালে পাকিস্তানকে ১০ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে ভারত। ৯ ফেব্রুয়ারি ফাইনালে দুই ফাইনালিস্ট মুখোমুখি হবে।
যুব বিশ্বকাপে এই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ফাইনালে উঠল। এর আগে ২০১৬ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত আসরে বাংলাদেশ সেমিফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরে বিদায় নিয়েছিল।
৬ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ আফ্রিকার পচেফস্ট্রুমে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে নিউজিল্যান্ডের দেয়া ২১২ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৪৪.১ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। জয় ব্যক্তিগত ১০০ রানে আউট হন। তৌহিদ হৃদয় করেন ৪০ রান। ৪০ করে অপরাজিত থাকেন শাহাদাৎ হোসেন।
শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে ধাক্কা খেয়েছিল বাংলাদেশ। দলীয় ২৩ রানে ওপেনার তানজিদ ফিরে যান। ৩২ রানে ফেরেন ইমন। এরপর জয় ও হৃদয় ৬৮ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। দলীয় ১০০ রানে হৃদয় প্যাভিলিয়নে ফিরলে জয় ও শাহাদাৎ ১০১ রানের জুটি গড়ে জয়ের ভিত গড়ে দেন। ৪৩তম ওভারের পঞ্চম বলে চার মেরে ব্যক্তিগত সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন জয়। পরের বলেই বোলারের হাতে ক্যাচ হয়ে ফিরে যান তিনি। পরে শাহাদাৎ ও শামীম মিলে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২১১ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। কিউই যুবাদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭৫ রান করে অপরাজিত থাকেন গ্রিনাল। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন লিডস্টোন। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে পেসার শরিফুল ইসলাম ৪৫ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন। এছাড়া শামীম হোসেন ২টি, রাকিবুল হাসান ১টি ও হাসান মুরাদ ২টি করে উইকেট নেন।
এবারের আসরের শুরু থেকেই বাংলাদেশ ছিল দুর্দান্ত। ‘সি’ গ্রুপে নিজেদের প্রথম দু’ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে ৯ উইকেটে ও স্কটল্যান্ডকে ৮৯ রানে হারায়। পাকিস্তানের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হলেও ৩ ম্যাচে ৫ পয়েন্টের সঙ্গে রান রেটে এগিয়ে থেকে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠে টাইগাররা।
সেখানে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১০৪ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠে বাংলাদেশ। শেষ আটে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২ উইকেটে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছিল নিউজিল্যান্ড।